শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর, ২০২৫  |   ২৫ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ০২ অক্টোবর ২০২৫, ২৩:৪৪

রায়পুরে তিন সাংবাদিককে নিয়ে ফেসবুকে কুরুচিপূর্ণ স্ট্যাটাস প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার, থানায় জিডি

রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি।।
রায়পুরে তিন সাংবাদিককে নিয়ে ফেসবুকে কুরুচিপূর্ণ স্ট্যাটাস প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার, থানায় জিডি

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কার্যালয়ের কর্মকর্তা ডা. মোফাজ্জল হোসেনের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) সাংবাদিকদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদ জানিয়ে বুধবার (১ অক্টোবর ২০২৫) রাতে রায়পুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন তিন সংবাদকর্মী।

‎ওই কর্মকর্তা মোফাজ্জল হোসেন তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে তিন সাংবাদিকের ছবি পোস্ট করে তিনি লিখেছেন "সবাই এই সকল সাংবাদিক লেবাসধারী লোকদের ভুয়া নিউজের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদের দুর্গ গড়ে তুলুন এবং সমাজের চাঁদাবাজি বন্ধ করুন। এখনই সময় উচিত জবাব এবং শিক্ষা দেওয়ার এসব এহেন কার্যকলাপের। এমন লোকের কারণে সমাজ ও পরিবেশ প্রতিনিয়ত বিনষ্ট। সাংবাদিকতা নামক পেশাটাও ইনাদের মতো লোকদের জন্যেও এখন হুমকির মুখে। আসুন সকলে মিলে এদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হই।"

‎এমন মন্তব্যে সাংবাদিকদের মাঝে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মী সহ বিভিন্ন মহল তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। এ ঘটনায় তিন সংবাদকর্মী জাকির হোসেন (আমার দেশ), মোবারক হোসেন (গনমুক্তি) ও নাঈম হোসেন (সকালে সময়) রায়পুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। তবে এ বিষয়ে অভিযুক্ত মোফাজ্জল হোসেন বলেন, জাকিরসহ তিনজন আমার অফিসে এসে বিরুক্ত করে। চাঁদা দাবি করেছে। তাই আমার ফেসবুকে প্রতিবাদ জানাই। অপসাংবাদিকদের বিরুদ্ধে আমি আইনি লড়াইয়ে প্রস্তুত আছি।

‎রায়পুর উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক তাবারক হোসেন আজাদ বলেন, প্রাণী সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোফাজ্জল হোসেনের কর্মকাণ্ডে সাংবাদিক সমাজের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই । এমন অপপ্রচার সাংবাদিক সমাজ মেনে নিবে না। ওই কর্মকর্তাকে প্রকাশ্যে সাংবাদিকদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। না হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

‎সাধারণ ডায়েরির বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা রায়পুর থানার এসআই সুদীপ্ত নাথ দীপ্ত বলেন, "রায়পুর প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের ডা. মোফাজ্জল হোসেনের বিরুদ্ধে করা অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। রোববারে আদালতে যথাসময়ে প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে। "

‎জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. একেএম ফজলুল হক বলেন, অনিয়ম থাকলে যে কারো বিরুদ্ধে সাংবাদিকরা লিখতে পারেন। অসত্য সংবাদের জন্যে আইনি ব্যবস্থা নেয়া যায়, কিন্তু সাংবাদিকদের জড়িয়ে ফেসবুকে অপপ্রচার ছড়ানো যায় না, এটা দুঃখজনক। বিষয়টি শুনলাম আমি বিষয়টি তদন্ত করবো।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়