শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর, ২০২৫  |   ২৫ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ০২ অক্টোবর ২০২৫, ২৩:৩৭

রায়পুরে ডাকাতদের হামলার শিকার ডাক্তার, সাতদিনেও মামলা ও মালামাল উদ্ধার হয়নি!

রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি।।
রায়পুরে ডাকাতদের হামলার শিকার ডাক্তার, সাতদিনেও মামলা ও মালামাল উদ্ধার হয়নি!
ছবি--আহত ডাক্তার সামছুল আরেফিন।

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে বাড়ি ফেরার পথে রাতে সড়কে ডাকাতদের সশস্ত্র হামলার শিকার হয়েছেন এক ডাক্তার। এ সময় মোটরসাইকেল, দামি দুটি মোবাইল ও নগদ টাকা লুটে নিলেও সশস্ত্র ডাকাতদের বিরুদ্ধে গত সাত দিনেও মামলা গ্রহণ এবং মালামালগুলো উদ্ধারে ভূমিকা রাখছেন না বলে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন ডাক্তার সামছুল আরেফিন।

বিষয়টি ওসি নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া, এএসপি (সার্কেল) মোহাম্মদ জামিলুর রহমান এবং সরকারি হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. বাহারুল আলমকেও অবহিত করা হয়েছে।

গত ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ রাত সাড়ে ৩টার দিকে রায়পুরের কেরোয়া ইউনিয়নের পানপাড়া- সড়ক হয়ে মোটরসাইকেলযোগে রামগঞ্জ উপজেলা শহরে যাচ্ছিলেন ডাক্তার আরেফিন। পথিমধ্যে আমিন উল্যা মেস্তুরী বাড়ির সামনের দাস বাড়ি ব্রিজ এলাকায় পৌঁছলে সশস্ত্র ডাকাতদল এ হামলা করে ডাক্তারের উপর।

আহত ডা. আরেফিন জানান, তিনি রামগঞ্জ হোলি হোপ ও ল্যাবএইড হাসপাতালে পিজিটি (অ্যানেসথেসিয়া) চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত। ঘটনার রাতে রায়পুর শহরের সরকারি হাসপাতালের পাশে মা-মনি স্পেশালাইজড হাসপাতালে জরুরি সিজারিয়ান অপারেশন শেষে রাতে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে মুখোশধারী ডাকাতরা তার গতিরোধ করে কুপিয়ে সঙ্গে থাকা নগদ ৭ হাজার টাকা, একটি আইফোন, হর্নেন্ট-২ ভার্সনের মোটরসাইকেল, একটি মানিব্যাগ ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লুট করে নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার তিনি লিখিতভাবে রায়পুর থানায় অভিযোগ করেছিলেন। কিন্তু গত সাত দিন পার হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত মামলা গ্রহণ বা রেকর্ড বা লুট হওয়া মালামাল উদ্ধার বা কাউকে আটকও করতে পারেননি পুলিশ। এমনকি ঘটনাস্থলে থাকা টহল পুলিশের এসআই জসিম উদ্দিন কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো ডাক্তার আরেফিনকে পুলিশের গাড়িতে করে সীমান্ত এলাকা পানপাড়া বাজারে নামিয়ে রামগঞ্জে চলে যেতে বলেছেন।

এ ঘটনায় রামগঞ্জ ও রায়পুর উপজেলার চিকিৎসক সমাজ তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ডাকাতদের গ্রেফতার, মামলা গ্রহণ ও লুট হওয়া মালামাল উদ্ধারের দাবি জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে রায়পুর থানার ওসি নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ডাক্তারের লিখিত অভিযোগটি তদন্ত করা হচ্ছে। মোটরসাইকেলসহ মালামাল উদ্ধারে অভিযান চলছে। ডাক্তার তখন মামলা না করেই চলে গেছেন। এখনও চাইলে তিনি মামলা করতে পারেন। তাঁকেকেউ বাধা দেননি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়