প্রকাশ : ০২ অক্টোবর ২০২৫, ২২:৪৬
চাঁদপুর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ ও হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের কৃতজ্ঞতা
ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে চাঁদপুর জেলার ২২৪টি পূজামণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তথা সেনাবাহিনী, পুলিশ, নৌ পুলিশ, র্যাব, কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস এবং রাজনৈতিক মহল ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সহায়তা করায় তাদের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন চাঁদপুর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ এবং জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ নেতৃবৃন্দ।
|আরো খবর
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর ২০২৫) রাতে বিজয়া দশমীর দিনে এই দুটি সংগঠনের পক্ষ থেকে পৃথক এ কৃতজ্ঞতা জানানো হয়।
চাঁদপুর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুভাষ চন্দ্র রায় ও সাধারণ সম্পাদক তমাল কুমার ঘোষ এবং চাঁদপুর জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. বিনয় ভূষণ মজুমদার ও সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অজিত সাহা বলেন, কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এবং শঙ্কা ছাড়াই সুন্দর ও উৎসবমুখর পরিবেশে আমাদের জেলার প্রতিটি পূজামণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব সুসম্পন্ন হয়েছে। পূজোর এ আয়োজনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রতি মুহূর্তে আমাদের পূজামণ্ডপগুলোর নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক টিমের পাশাপাশি সার্বিক নিরাপত্তায় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট, বিদ্যুৎ বিভাগ, রাজনৈতিক মহল ও সনাতনী নেতৃবৃন্দসহ যারা যে অবস্থায় সহায়তা করেছেন সবার প্রতিই আমরা বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
তাঁরা আরো বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সর্বদা অটুট রেখে এক ও অভিন্ন হয়ে যে কাজ করা যায় তারই অনন্য নজির হচ্ছে এই শারদীয় দুর্গোৎসব। আমাদের পূজা উদযাপন পরিষদের জেলা, উপজেলা ও পৌর এবং ঐক্য পরিষদ, যুব ঐক্য পরিষদ, ছাত্র ঐক্য পরিষদ ও অন্যান্য সনাতনী সংগঠনও নির্বিঘ্নে পূজো সমাপ্ত করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে। তারা যাতে এভাবেই সবসময় সমন্বয় রেখে যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় কাজ করে যেতে পারে এ প্রত্যাশাই রাখছি।
উল্লেখ্য, এবার মা দুর্গা এসেছিলেন গজে এবং দোলায় গমন হয়। চাঁদপুর শহরের প্রতিমা বিসর্জন হয় চৌধুরী ঘাট, পুরাণবাজার রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতাল, ডিগ্রি কলেজ ঘাটের ডাকাতিয়া নদীতে, হরিসভা ও পুরাণবাজার এলাকার মেঘনা নদীতে।