প্রকাশ : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭:৪৫
বর্তমান পৌর প্রশাসক মুহাম্মদ হেলাল চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে ডাম্পিং স্টেশনের জন্যে ২ একর জমি ক্রয়
কচুয়া পৌরসভা প্রথম শ্রেণির হলেও গড়ে উঠেনি ডাম্পিং স্টেশন

কচুয়া পৌরসভায় বসবাসরত নাগরিকদের নাগরিক সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ১১.২ বর্গ কিলোমিটারের তৃতীয় শ্রেণির পৌরসভা। পৌরসভাটি ২০০৬ সালে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত হয়। পরবর্তীতে ২০১৪ সালে প্রথম শ্রেণির পৌরসভায় উন্নীত হয়। কিন্তু নানা প্রতিকূলতায় প্রথম শ্রেণির সেবা মিলেনি নাগরিকদের।
প্রথম শ্রেণির পৌরসভা গঠনের শর্তানুযায়ী, পৌর এলাকায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাজার, শিল্প এলাকা ও নাগরিক সুযোগ-সুবিধা থাকতে হবে। এছাড়া সামাজিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন, রাস্তাঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, পানি ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থা থাকতে হবে। সর্বোপরি নির্দিষ্টসংখ্যক জনসংখ্যা ও উন্নত অবকাঠামো থাকতে হবে। তবে প্রথম শ্রেণির পৌরসভা প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত গড়ে ওঠেনি ডাম্পিং স্টেশন।
হাজীগঞ্জ-কচুয়া-গৌরিপুর সড়কের পাশেই ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা। দীর্ঘ সময় ধরে এ কার্যক্রম চালিয়ে আসছে পৌর কর্তৃপক্ষ। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকি বেড়েই চলছে নাগরিকদের। বর্তমান উপজলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক মুহাম্মদ হেলাল চৌধুরীর উদ্যোগে পৌরবাসীর বর্জ্য অপসারণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফখরুল ইসলাম ও নির্বাহী প্রকৌশলী কাজী মো. ফজলুল হক জানান, পৌর প্রশাসক মুহাম্মদ হেলাল চৌধুরীর আন্তরিক প্রচেষ্টায় দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ অবসান হয়েছে। সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫) ডাম্পিং স্টেশনের জন্যে ক্রয়কৃত জমি পরিদর্শন করেন ইউএনও মুহাম্মদ হেলাল চৌধুরী, এসি (ল্যান্ড) আবু নাছির, ওসি মো. আজিজুল ইসলাম, উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল আলীম লিটন, শিক্ষা অফিসার শাহীনা আক্তারসহ বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তাবৃন্দ।
পৌর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হায়াতপুর এলাকায় ২ একর জমিতে আধুনিক ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পৌরসভার কড়ইয়া মৌজার হায়াতপুর এলাকায় ডাম্পিং স্টেশনের জন্যে ২ একর জায়গা ক্রয় করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই দু্র্ভোগ কেটে যাবে।পৌর প্রশাসক মুহাম্মদ হেলাল চৌধুরী জানান, দিনের পর দিন পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে ময়লা ফেলার কারণে পৌরসভাবাসী স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ছিলো। যার ফলে ভবিষ্যতে পৌরসভাটি বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়বে। এতে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ২৬ বছরের পুরানো পৌরসভায় গড়ে উঠেনি ডাম্পিং স্টেশন। এজন্যে পৌরসভার অব্যবস্থাপনাকেই দুষছেন ভুক্তভোগীরা।
এ ব্যাপারে স্থানীয়রা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সড়কের পাশে পৌরসভার ময়লা ফেলা হচ্ছে। প্রতিবাদ করলেও কেউ কথা শোনে না। তবে বর্তমান পৌর প্রশাসক ও ইউএনও মুহাম্মদ হেলাল চৌধুরী এ সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ নিয়ে দরিয়া হায়াতপুর এলাকায় ২ একর জমি ক্রয় করেছেন। এজন্যে আমরা পৌরবাসী তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ।