প্রকাশ : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০:৩২
রায়পুরে বসতঘরের পাশে জমি কিনে বিপাকে প্রবাসী জাহাঙ্গীর, মারধরের হুমকি

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে এক সৌদি প্রবাসী ওয়ারিশ সূত্রে তিন শতাংশ জমি কিনে বিপাকে পড়েছেন। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫) দুপুরে পৌরসভার মধুপুর গ্রামে হাজি এছহাক মিয়াজি বাড়ির ওই জমিতে ভবন করতে গেলে বাধা দেন এলাকার আবদুল খালেকসহ তার লোকজন।
|আরো খবর
নিজের জমিতে ভবন নির্মাণে বাধা দিয়ে কাজ বন্ধ রাখায় প্রতিকার চেয়ে থানায় অভিযোগ দিলেও কাজ হচ্ছে না বলে জানান মৃত আলী আহাম্মদের ছেলে ক্ষতিগ্রস্ত জাহাঙ্গীর আলম। স্থানীয়দের অভিযোগ, সৌদি প্রবাসী জাহাঙ্গীর ও তার পরিবার অভিযুক্ত আবদুল খালেকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করারও সাহস পাচ্ছেন না। আর ভয়ে এলাকাবাসীও প্রকাশ্যে প্রভাবশালী পরিবারটির বিরুদ্ধে কথা বলতে পারছেন না।
এ নিয়ে অভিযুক্ত পরিবারটির এক সদস্যদের সঙ্গে কথা বললে তিনি নিজেকে স্থানীয়ভাবে গণ্যমান্য ব্যক্তি হিসেবে দাবি করেন এবং এলাকার লোকজন তাদের সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলার সাহস পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন।
জানা গেছে, জাহাঙ্গীর আলম ২০১৮ সালের দিকে রায়পুর পৌরসভার মধুপুর মৌজার সিএস ২১২ নং খতিয়ানভুক্ত ২৩৮ নং দাগে হাল ২২২ নং দাগের অন্দরে পাঁচ শতাংশ জমি ওয়ারিশ সূত্রে ক্রয় করেন। কেনা সম্পত্তি ভোগ দখলে গিয়ে বসতবাড়ি করার উদ্দেশ্যে নিচু জমিটি বালি দিয়ে ভরাট করেন প্রবাসী জাহাঙ্গীর। ওই জমি দাবি করছেন স্থানীয় আবদুল খালেক ও তার পরিবারের সদস্যরা।
স্থানীয়রা জানায়, জাহাঙ্গীর হোসেন ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া জমির সাথে আরও তিন শতাংশ জমি ক্রয় করেন। সেখানে বহুতল ভবন করতে ভিমসহ সকল কিছু প্রস্তুত করে বিদেশ চলে যান জাহাঙ্গীর। সে প্রবাসে গিয়ে স্বাবলম্বী হয়ে তার পুরাতন বসতঘরের পাশের নতুন ভবন নির্মাণ মেনে নিতে পারছেন না আবদুল খালেক।
ভুক্তভোগী জাহাঙ্গীর হোসেনের অভিযোগ, জমিতে বাড়ি নির্মাণ করতে গেলে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে বাধা দেন আবদুল খালেক ও তার লোকজন। এতে ভয়ে এবং নিরূপায় হয়ে ওই জমিতে বাড়ি নির্মাণ কাজ বন্ধ রেখেছেন তিনি। চরম হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে তাকে।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আবদুল খালেক ও তার ভাই আব্দুর রশীদ বলেন, জাহাঙ্গীর এবং স্থানীয়রা যেসব অভিযোগ করেছেন সেগুলো মিথ্যা। এলাকার কোনো লোকজন সামনে এসে আমাদের বিরুদ্ধে এসব কথা বলতে পরবেন না। আমাদের পৈত্রিক সম্পতিতে বাধা দিয়েছি।
রায়পুর থানার ওসি নিজাম উদ্দিন ভুইয়া বলেন, জাহাঙ্গীর তার ওয়ারিশ সূত্র ও ক্রয় করা সম্পত্তিতে ভবন নির্মাণ করছেন। কিন্তু আবদুল খালেক ও আবদুর রশিদসহ তার লোকজন মিথ্যা অভিযোগ এনে বাড়ি করতে বাধা দিচ্ছেন। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।