প্রকাশ : ০৩ জুলাই ২০২৫, ১৪:০৮
ফরিদগঞ্জে ছয় গ্রামের অধিবাসীদের একমাত্র রাস্তা পাকাকরণের দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি পেশ

মুঠোফোনের জগতে আমরা ফাইভ জি যুগে প্রবেশ করলেও আমাদের ছয় গ্রামের অধিবাসীদের গত ৫০ বছর ধরে চলাচলের একমাত্র চলাচলের পথটি কাঁচাই রয়ে গেছে। ফলে অন্তহীন দুর্ভোগের কারণে আমরা বাধ্য হয়েছি পথে নামতে। আজ আমরা মানববন্ধন করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছি।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই ২০২৫) ফরিদগঞ্জের পাইকপাড়া-নদোনা-কবিরূপসা-রূপসা রাস্তা পাকাকরণের দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে এ কথা বলেন বক্তারা।
জানা গেছে, উপজেলার ৭নং পাইকপাড়া উত্তর ও ৮নং পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের দক্ষিণ পাইকপাড়া, নদোনা, কবিরূপসা, রূপসা, জামালপুর এবং বিষুরবন্দ গ্রামের একাংশের চলাচলের একমাত্র পথ পাইকপাড়া-নদোনা-কবিরূপসা-রূপসা সড়কটি। ৫কি. মি. দীর্ঘ এই সড়কটিতে গত ৫০ বছরেও একবারেও পাকাকরণের চিহ্ন লাগেনি। টিআর কাবিখা দিয়ে কিছু অংশে ইটের সলিং করা হলেও সেগুলো নষ্ট হওয়ার পথে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন রহিমা আক্তার কলি, কাজী হুমায়ুন রশিদ, মিজানুর রহমান , মোশারফ হোসেন, আবুল কালাম আজাদ ও রোকেয়া বেগম। তারা আরো বলেন, এই গ্রামগুলোর শিক্ষার্থীরা আশপাশের ১০/১২ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই পথ দিয়েই যাতায়াত করে। বর্ষাকালে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে রাস্তার বেহাল দশার কারণে কারণে। একজন প্রসূতি মাকে জরুরি হাসপাতালে নিতে হলে কাঁধে তুলে নেয়া ছাড়া উপায় থাকে না। কয়েক বছর পূর্বে নদোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন নারী শিক্ষক গুরুতর অসুস্থ হয়ে ঢাকায় মৃত্যুবরণ করার পর তার লাশ বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছতে পারেনি অ্যাম্বুলেন্স। গ্রামের ঠেলাগাড়ি যোগে বাড়ি পর্যন্ত নিতে হয়েছে এই রাস্তার কারণে।
মানববন্ধন শেষে ওই গ্রামের অধিবাসীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।