প্রকাশ : ২৪ জুলাই ২০২৪, ১৫:৩১
চাঁদপুরেও বিদ্যুতের প্রিপেইড গ্রাহকদের উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা ॥ সচেষ্ট বিদ্যুত বিপণন বিভাগ

কোটা আন্দোলনের প্রেক্ষিতে গত ১৭ জুলাই রাত থেকে সারাদেশে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের নৈরাজ্য বন্ধের লক্ষ্যে সরকার কারফিউর পাশাপাশি ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেয়। তাছাড়া কোটা আন্দোলনের পাশাপাশি ভাঙচুর, জ¦ালাপোড়ায় দেশের ইন্টারনেট সেবা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরইপ্রেক্ষিতে বন্ধ হয়ে যায় ইন্টারনেট সেবা।
ইন্টারনেট সেবা বন্ধ হওয়ায় সারাদেশের ন্যায় চাঁদপুরেও বিদ্যুতের প্রিপেইড গ্রাহকরা রিচার্জ ভোগান্তিতে পড়েন। বিশেষ করে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিকাশ, নগদ ও রকেটের ন্যায় অ্যাপগুলোর কার্যকারিতা বন্ধ হয়ে যায়। সাধারণত বিদ্যুতের প্রিপেইড গ্রাহকরা নিজে বা কোনো দোকানির সহায়তায় এইসব অ্যাপের মাধ্যমে রিচার্জ করে থাকে।
চাঁদপুরের প্রিপেইড গ্রাহকরা তাদের বাসাবাড়িতে ব্যবহারের বিদ্যুত চলে যাওয়ায় যখন উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা নিয়ে ছুটাছুটি করছিলেন, তখনই সরকারের ঘোষণানুযায়ী চাঁদপুরের বিদ্যুৎ বিপণন বিভাগ ম্যানুয়ালি হাজার হাজার গ্রাহকের বিদ্যুত রিচার্জে এগিয়ে আসেন। অবশ্য এতে সারাদেশের ন্যায় চাঁদপুরের বিদ্যুৎ বিপণন বিভাগকেও হিমশিম খেতে হয়।
চাঁদপুরের নতুন বাজারস্থ বিদ্যুৎ বিপণন অফিসে গিয়ে দেখা যায়, গ্রাহকদের উপচে পড়া ভীড়। মূল সড়ক থেকে অফিসের ভিতর পর্যন্ত মহিলাসহ ৩টি লাইনে কয়েক হাজার বিদ্যুতের প্রিপেইড গ্রাহক লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছে প্রিপেইড মিটার রিচার্জের জন্য।
এ বিষয়ে কথা হয় চাঁদপুর বিদ্যুত বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: মেহেদী হাসানের সাথে। তিনি বলেন, আমরা ৩টি বুথের মাধ্যমে ম্যানুয়ালি চেষ্টা করছি এই সমস্যা সমাধানের। হঠাৎ করে এতোটা চাপ পড়বে, তা কখনো ভেবে উঠতে পারিনি। তবে আমাদের কর্মীরা যথেষ্ট আন্তরিকতার সাথে এ সমস্যা সমাধানে কাজ করে যাচ্ছে। তবে এতোটা চাপ পড়ার কথা নয়, অনেক সাধারণ গ্রাহক তাদের মিটারে টাকা থাকা স্বত্বেও উদ্বেগ ও উৎকষ্ঠায় তাদের প্রিপেইড মিটারে বেশি করে টাকা ঢুকিয়ে রাখছে, জানি না কখন এ সমস্যার সমাধান হয়।