সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলকদ ১৪৪৫  |   ২৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   এসএসসি সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ

প্রকাশ : ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৬:৫৪

সাকিবের যে ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল

অনলাইন ডেস্ক
সাকিবের যে ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল

[বিসিবির সাবেক সভাপতি আ হ ম মোস্তফা কামালের সাথে সাকিবের এই ছবিটির পেছনের গল্প]

সাকিব আল হাসান, মোস্তফা কামালের পায়ের কাছে বসে ক্ষমা চাওয়ার মতো হাত ধরে কথা বলছেন এমন একটা ছবি আবারও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। দীর্ঘ ১৪ বছর আগের ঘটনা অনেকের কাছেই নতুন আবার ঐসময়ে যারা ক্রিকেট ফলো করতেন তাদের স্মৃতিতেও হয়তো আবছা হয়ে আসছে। তাই ভাবলাম ভুল ভ্রান্তিগুলো ক্লিয়ার করা যাক।

শুরু থেকেই শুরু করি, ২০০৯ সালে হুট করে ক্যাপ্টেন্সি পাওয়ার পরেও ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়েছিলো সাকিব এবং সাকিবের লাল-সবুজের বাংলাদেশ। এরপর জিম্বাবুয়ে সিরিজেও দারুণ পারফর্ম করায় বিসিবি খেলোয়াড়দের পুরষ্কারের ঘোষনা দেয়।

পুরষ্কারের ডেট ছিলো ২০১০ সালের জানুয়ারিতে ভারতের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট শেষে দ্বিতীয় টেস্টের আগে। প্রথম টেস্ট এ ব্যক্তিগত নৈপুণ্য দেখানোয় পাঁচ খেলোয়াড়কে এরই মাঝে পুরষ্কৃত করেছিলেন বিসিবি সভাপতি। কিন্তু পূর্বঘোষিত পুরষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠানেই ভোল পাল্টে যায় বিসিবি সভাপতির।

অনুষ্ঠানের মাঝেই মাইক্রোফোন কড়া সমালোচনা করেন খেলোয়াড়দের। এমনকি প্রশ্ন তোলেন খেলার মাঠে খেলোয়াড়দের ডেডিকেশন নিয়ে ও।

সেসময় মঞ্চে স্বাভাবিকভাবেই উপস্থিত ছিলেন ক্যাপ্টেন সাকিব। নিজের সহযোদ্ধাদের নিয়ে সবার সামনে এমন কথা বলা একদমই পছন্দ হয়নি সাকিবের। তিনিও স্বভাবসুলভ-ভাবে জবাব দেন খোলামেলাভাবেই।

সাকিব ঐ মুহুর্তে মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে বলেন, খেলার মাঠে সবাই শতভাগ দিয়েই খেলে এবং যদি কেউ সন্দেহ করে তবে সেটা তার ভুল।

সেসময় বিসিবি সভাপতির এমন বক্তব্যে মন্তব্য করেছিলেন ধোনি। তিনি মোস্তফা কামালের উদ্দেশ্যে বলেন,'এ ধরনের মন্তব্য করা কখনোই ঠিক নয়।'

এই ব্যাপারটি মিডিয়াপাড়ায় প্রচার করা হয় সাকিবের সাথে কামালের স্নায়ুযুদ্ধ নাম দিয়ে। এসময় মোস্তাফা কামালের পায়ের কাছে বসে থাকা সাকিবের একটি ছবি নিয়ে দৈনিক কালের কন্ঠ সংবাদ করে ক্ষমা চাচ্ছেন সাকিব।

এখান থেকেই মূলত গুজবের সৃষ্টি হয় এবং ব্যাপরটা অনেকদূর গড়ায়।

অনেকদূর গড়ালেও ব্যাপারটা নিয়ে দ্রুতই মুখ খোলেন সাকিব এবং মোস্তফা কামাল। কালের কন্ঠ যে গুজব রটিয়েছে তা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশ করে বিসিবি।

এই ব্যাপারটা নিয়ে সাকিব বলেন, 'এটা সম্পূর্ণ ভুল। ক্ষমা চাওয়ার কোনো ঘটনাই ঘটেনি। আমি তো ক্ষমা চাওয়ার মতো কিছু বলিনি। শেষ পর্যন্ত ক্ষমাই যদি চাইব তাহলে তো তখন ওনার কথার প্রতিবাদ করতাম না। অনুষ্ঠান শেষে সভাপতি আমাকে ডেকে দ্বিতীয় টেস্টের দল সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছেন। দল পরিচালনায় অধিনায়ক হিসেবে আমার আর কী ধরনের সাহায্য লাগবে সেটা জানতে চেয়েছেন। এ ছাড়া আর কোনো বিষয়ে কথা হয়নি আমাদের।'

মোস্তফা কামাল বলেন, 'মাফ চাইবে কেন? ও জাতীয় দলের অধিনায়ক, আমি বোর্ড সভাপতি- আমাদের মধ্যে তো মাফ চাওয়ার সম্পর্ক না। আমি ওর কাছে জানতে চেয়েছি, দলের ভালোর জন্য বোর্ড থেকে আর কী ধরনের সাহায্য তাকে করা যায়। সাকিব সেসব আমাকে জানিয়েছে এবং আমরা চেষ্টা করব তার সব দাবি মেটানোর।''

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিসিবি জানায়ঃ

• অনুমাননির্ভর এবং ছবিটির ক্যাপশন লেখা ভুল ধারণার বশবর্তী হয়ে হয়েছে। বোর্ড সভাপতির সঙ্গে জাতীয় দল অধিনায়কের কথোপকথনের একটি মুহূর্তে ওই ছবি তোলা হয়েছিল। ক্যাপশনে যা বোঝানোর চেষ্টা হয়েছে, তা সঠিক নয়।

• পুরস্কার বিতরণী শেষে বিসিবি সভাপতি ও জাতীয় দলের অধিনায়ক জাতীয় দল নিয়ে নিজেদের মধ্যে কথা বলছিলেন। বোর্ড সভাপতি অনেক ব্যাপারে অধিনায়কের মতামত জানতে চেয়েছেন। এই আলোচনা খুবই আন্তরিকতাপূর্ণ পরিবেশে হয়েছে এবং আলোচনায় কখনোই এমন কিছু ঘটেনি যাতে ক্ষমা চাওয়ার মতো পরিস্থিতির উদ্ভব হয়।

• বিসিবি মনে করে, বিসিবি সভাপতি এবং জাতীয় দলের অধিনায়কের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতেই পরপর দুই দিন উদ্দেশ্যমূলকভাবে ওই ছবি ছাপানো হয়েছে। এটা জাতীয় দলের পারফরম্যান্সেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। [ সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রথম আলো থেকে নেওয়া]

বিষয়টা পুরোপুরিই গুজব ছিলো। একটি জাতীয় দৈনিক থেকে গুজবটি রটিয়ে যাওয়ায় ১৪ বছর পরেও ক্লারিফিকেশন এর প্রয়োজন হচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়