কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনের জন্যে জামায়াত সেবামূলক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর-৩ (সদর-হাইমচর) আসনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী অ্যাড. মো. শাহজাহান মিয়ার সমর্থনে গণসংযোগ ও মহিলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (১০ ডিসেম্বর ২০২৫) সকাল থেকে দিনব্যাপী এ গণসংযোগে নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে সাধারণ ভোটারদের সাথে কথা বলেন এবং তাদের স্থানীয় নাগরিক সমস্যার কথা শুনেন দাঁড়িপাল্লার প্রার্থী শাহজাহান মিয়া।

তিনি এদিন সকাল ৮টা থেকে আশিকাটি ইউনিয়নের সেনগাঁও, হোসেনপুর, পাইকাস্তা, কুমারডুগি, ঘোষেরহাট এলাকায় গণসংযোগ করেন। সন্ধ্যায় রালদিয়া ছৈয়াল বাজারে মাগরিব নামাজ আদায়ের পর মুসল্লিদের দোয়া প্রত্যাশা করেন এবং বাজারের ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সাথে কথা বলেন।

এছাড়া তিনি হোসেনপুর মাল বাড়ি এবং পাইকাস্তা গাজীবাড়িতে মহিলা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।

দিনব্যাপী এসব নির্বাচনী কর্মসূচিতে উপস্থিত ভোটার ও নারীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্যে তিনি বলেন, আজকের গণসংযোগে আমি সব ধর্মের লোকদের কথা শুনেছি। তাদের কথায় বুঝতে পারলাম, গত ৫৪ বছরে তারা বাংলাদেশে ইনসাফ পাননি। এছাড়া এখন পর্যন্ত সরকারি সেবা নিতে এখনো টাকা দিতে হয়। এ ধরনের সমস্যাগুলো চলমান। এগুলো থেকে যদি আপনারা অবসান চান, তাহলে আমি লিখে নিলাম। আপনারা যদি ন্যায় ও ইনসাফের প্রতীক দাঁড়িপাল্লায় ভোট দেন, তাহলে আর এ ধরনের সমস্যা থাকবে না।

চাঁদপুর সদর উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি জুবায়ের হোসেন খান, আশিকাটি ইউনিয়নের জামায়াত মনোনীত সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী অহিদুর রহমান খান উৎপল, ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি নাছির উদ্দিন, সেক্রেটারি শাহজাহান, জামায়াত নেতা আলমগীর বন্দুকসীসহ নেতা-কর্মীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

তিনি বলেন, আজকের মহিলা সমাবেশে মায়েদের সাথে কথা বলে জানতে পারলাম এই ইউনিয়নসহ প্রায় প্রত্যেক ইউনিয়নে সমস্যা হলো যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো উন্নত করা। পাশপাশি মা-বোনদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা। রাতের বেলায় মায়েদের চিকিৎসা নিতে গিয়ে বড় ধরনের সমস্যায় পড়তে হয়। অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া যায় না। ইনশাআল্লাহ আমি কথা দিলাম, আপনারা আমাকে দায়িত্ব দিলে প্রত্যেক ওয়ার্ড পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা হবে। একই সাথে গ্রামের লোকজনের নাগরিক সেবা নিশ্চিত এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো উন্নত করা হবে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী একটি কল্যাণ রাষ্ট্র চায়। যে কারণে এই সংগঠন সারাদেশে অসংখ্য সেবামূলক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে। ইসলামী ব্যাংক, হাসপাতাল, বড়ো বড়ো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জামায়াতে ইসলামীর হাত ধরেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু যারা এখন ভোট চাইতে এসেছে, তারা নানা কথা বললেও এ ধরনের কোনো সেবামূলক প্রতিষ্ঠান তারা করতে পারেনি। আজকে আপনারা অসুস্থ হলে চাঁদপুর কিংবা ঢাকায় জামায়াতে ইসলামীর স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান খোলা রয়েছে। আমরা আপনাদের কথা দিলাম, জনগণের কল্যাণের জন্যে সব ধরনের ব্যবস্থা করে রেখেছি। দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পেলে সব ধরনের সেবার মান আরো বৃদ্ধি করা হবে ইনশাআল্লাহ।

সূত্র : দৈনিক চাঁদপুর দিগন্ত।