প্রকাশ : ২০ মে ২০২৫, ১৮:১৭
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির আট দিনের কর্মসূচি ঘোষণা

|আরো খবর
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে ৮ দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটি। ২৫ মে থেকে ২ জুন পর্যন্ত চলবে এই স্মরণ-অনুষ্ঠানমালা। ঈদুল আজহার আগমনী ব্যস্ততার কারণে কর্মসূচির সময়সীমা সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দলটি।
মঙ্গলবার (২০ মে) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দল ও অঙ্গসংগঠনের যৌথসভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আনুষ্ঠানিকভাবে কর্মসূচির ঘোষণা দেন। সভায় ভার্চুয়ালি সভাপতিত্ব করেন থাইল্যান্ডের ব্যাংককে চিকিৎসাধীন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রুহুল কবির রিজভী জানান, "চলতি বছর ঈদুল আজহা ৭ জুন অনুষ্ঠিত হতে পারে, সে কারণে আমাদের কর্মসূচি সংক্ষিপ্ত করে ৮ দিনে সীমাবদ্ধ করেছি। ৩০ মে জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ দিবসে দলীয় শ্রদ্ধাঞ্জলি, আলোচনা সভা, দুঃস্থদের মাঝে খাদ্য ও বস্ত্র বিতরণসহ থাকবে নানা কর্মসূচি।"
ঘোষিত কর্মসূচির বিস্তারিত
- ২৫-২৬ মে: নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়, গুলশানের চেয়ারপারসনের কার্যালয়সহ সারা দেশের দলীয় কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন ও বিএনপির পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে।
- ২৭-২৮ মে: ঢাকা মহানগরের উদ্যোগে 'তারুণ্যের সমাবেশ' অনুষ্ঠিত হবে। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরবর্তীতে জানানো হবে।
- ২৯ মে (বিকেল ৩টা): রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জিয়াউর রহমানের স্মরণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
- ৩০ মে (সকাল সাড়ে ১০টা): শেরেবাংলা নগরে শহীদ রাষ্ট্রপতির কবরে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ ও দোয়া মাহফিল। সারা দেশে মসজিদে মসজিদে মিলাদ ও গণদোয়ার আয়োজন করা হবে।
- ২৫ মে – ২ জুন: ঢাকার বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ডসহ সারাদেশে দুঃস্থদের মধ্যে চাল, ডাল, খাদ্যসামগ্রী ও বস্ত্র বিতরণ করবে মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনসমূহ।
- পোস্টার ও ক্রোড়পত্র: শহীদ জিয়াউর রহমানের জীবন, আদর্শ ও অবদানের ওপর পোস্টার প্রকাশ এবং জাতীয় দৈনিকে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে।
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট
১৯৮১ সালের ৩০ মে, রাষ্ট্রপতি থাকা অবস্থায় চট্টগ্রামের সার্কিট হাউজে একদল সেনা সদস্যের গুলিতে নিহত হন জিয়াউর রহমান। তিনি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার ও স্বাধীনতার ঘোষক। ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর 'সিপাহি-জনতার বিপ্লব'-এর পর তিনি সেনাপ্রধান থেকে রাষ্ট্রপতির দায়িত্বে আসেন। বিএনপি দিনটিকে 'শাহাদাৎ দিবস' হিসেবে পালন করে থাকে।
যৌথসভায় উপস্থিত ছিলেন
যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, আবদুস সালাম আজাদ, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতারা।
রিজভীর বক্তব্য
বক্তব্যে রিজভী আরও বলেন, "জিয়াউর রহমান ছিলেন জাতির ইতিহাসের এক গৌরবময় অধ্যায়। তার আদর্শেই আজ বিএনপি রাজনীতি করছে এবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।"
ডিসিকে/এমজেডএইচ