শুক্রবার, ০১ আগস্ট, ২০২৫  |   ২৭ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ৩১ জুলাই ২০২৫, ০৮:৪৪

তিন উপজেলার সংযোগ রক্ষাকারী সড়কটির দুরবস্থা দূর হোক

অনলাইন ডেস্ক
তিন উপজেলার সংযোগ রক্ষাকারী সড়কটির দুরবস্থা দূর হোক

কচুয়া-কাশিমপুর সড়কে টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে অনেক জায়গা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। কচুয়ার সাথে হাজীগঞ্জ ও মতলব দক্ষিণ উপজেলার মধ্যে চলাচলের গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের। ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কের অন্তত দশটি স্থানে পিচঢালাই ও পাথর উঠে গিয়ে বড়ো বড়ো গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। পৌরসভার পলাশপুর ও ফায়ার সার্ভিস সংলগ্ন এলাকা, কান্দারপাড়, বালিয়াতলী, চক মাহমুদপুর, গুলবাহার বাজার, কচুয়া সরকারি স্কুল এন্ড কলেজর সামনে, আশেক আলী খান স্কুল এন্ড কলেজের পশ্চিম পাশে রাস্তার পিচঢালাই ও পাথর উঠে গিয়ে বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এসব গর্তে হাঁটু পরিমাণ পানি জমে আছে। এসব গর্তে গাড়ি পড়ে গিয়ে দুর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে। ফলে প্রতিদিন যাত্রী সাধারণকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন ঢাকাগামী সুরমা পরিবহনের বাস, অটোবাইক, সিএনজি অটোরিকশা দিয়ে যাত্রী সাধারণের পাশাপাশি স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা নিয়মিত যাতায়াত করে। মালবাহী ট্রাকও চলাচল করে। স্থানীয়রা জানান, মাত্র দু মাস আগে সড়ক ও জনপথ বিভাগের মাধ্যমে এই সড়কটি সংস্কার করা হয়। সড়ক ও জনপথ বিভাগের তদারকির অভাবে বাস্তবে এই ১০ কিলোমিটার সড়কের বেশিরভাগ অংশেই বড়ো বড়ো গর্তের সৃষ্টি হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আবু হানিফ জানান, সড়ক ভেঙ্গে বড়ো বড়ো গর্ত হয়েছে ট্রাক চলাচলের কারণে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। অনুমোদন পেলে রাস্তা সংস্কার করা হবে।

কচুয়া থেকে হাজীগঞ্জ উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকা হয়ে মতলবের কাশিমপুর পর্যন্ত বিস্তৃত ১০ কিলোমিটার সড়কটির উপরোল্লিখিত দুরবস্থা উদ্বেগজনক ও অস্বস্তিকর। কেননা তিন উপজেলার অভ্যন্তরীণ সংযোগ রক্ষাকারী সড়কটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এটি দূরত্ব সংক্ষেপণে স্বস্তি দেয় ব্যবহারকারীদের এবং বিকল্প হিসেবেও দুর্যোগে দুর্বিপাকে কাজে লাগে। দুমাস আগে সংস্কার করা এ সড়কটি সড়ক ও জনপথ (সওজ) প্রকৌশলীর ভাষ্য মতে, ট্রাক চলাচলের কারণে এতোটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অথচ পর্যবেক্ষকদের অভিমত, সড়কটি সংস্কারের কাজ সওজ-এর সুষ্ঠু তদারকির অভাবে নিম্নমানের হয়েছে। যদি সড়কটিতে ট্রাক চলাচল করলে মারাত্মক ক্ষতি হবে এমনটি সওজ জানতো, তাহলে সংস্কারের পর ট্রাক চলাচলে নিষেধাজ্ঞার সাইনবোর্ড টানিয়ে দিলেই পারতো। কিন্তু সেটি তারা করে নি। সওজ-এর সে ভুলের মাশুল দিতে সড়কটি দ্রুত মেরামত করাটা যৌক্তিক। আশা করি এ যৌক্তিকতা মেনে নিয়ে সওজ যতো দ্রুত সম্ভব তিন উপজেলার সংযোগ রক্ষাকারী কচুয়া-কাশিমপুর সড়কটি সংস্কারে কার্যকর ব্যবস্থা নেবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়