সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলকদ ১৪৪৫  |   ২৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   এসএসসি সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ

প্রকাশ : ০৬ মে ২০২৪, ০০:০০

বেশি দূরত্বের যাত্রার আগে একটু ভাবুন

অনলাইন ডেস্ক
বেশি দূরত্বের যাত্রার আগে একটু ভাবুন

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় শাহরাস্তি উপজেলার পিতা-পুত্রসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। ৩ মে শুক্রবার রাত পৌনে ২টার সময় এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই আলমগীর হোসেন (৫৫), তার ছেলে মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী মোঃ জহিরুল ইসলাম ও আলমগীর হোসেনের মামী লায়লা খাতুন (৬০) প্রাণ হারান। এ ঘটনায় আলমগীর হোসেনের বড় ছেলে নজরুল ইসলাম গুরুতর আহত হয়ে বর্তমানে স্কয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, শাহরাস্তি উপজেলার চিতোষী পূর্ব ইউনিয়নের কাদরা গ্রামের আলী হোসেন মেম্বার বাড়ির কুয়েত প্রবাসী আলমগীর হোসেন গত সপ্তাহে ১৫ দিনের জন্যে বাংলাদেশে আসেন। তিনি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঢাকার ডেমরা থানার সারুলিয়া এলাকায় নিজ বাড়িতে বসবাস করতেন। ৩ মে শুক্রবার তিনি তার দুই ছেলেকে নিয়ে প্রাইভেটকারযোগে শাহরাস্তির কাদরা গ্রামের নিজ বাড়িতে আসেন। বাড়ির জায়গা সম্পত্তির পরিমাপ শেষে রাত সাড়ে ১০টায় দুই ছেলে ও বাড়িতে থাকা তার মামীকে চিকিৎসার জন্যে তাদের সাথে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা করেন। রাত পৌনে ২টায় তাদের বহনকারী প্রাইভেটকারটি গজারিয়া এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পানিতে পড়ে যায়। এ সময় গাড়ির চালক দরজা খুলে বের হলেও দরজা লক হয়ে যাওয়ায় আলমগীর হোসেনের পরিবারের সদস্যরা বের হতে পারেননি। এলাকাবাসী ছুটে এসে গুরুতর আহত অবস্থায় নজরুল ইসলামকে উদ্ধার করতে সক্ষম হন। কিছুক্ষণ পরেই ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে গড়িটি উদ্ধার করেন। ততক্ষণে পানিতে শ্বাসরোধ হয়ে তিনজন প্রাণ হারান।

মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় শাহরাস্তির এই তিনজনের প্রাণহানিতে শোক-সমবেদনা প্রকাশ করা ছাড়া আর তেমন কী আছে? তারপরও একটু কথা বলার আছে। এ দুর্ঘটনাটি ড্রাইভারের কারণে কিংবা প্রাইভেট কারটি নিয়ন্ত্রণ হারানোর কারণে হয়েছে--এটা অনুমান। তবে ড্রাইভারের কারণে হয়েছে বলে আমাদের ধারণা। সারাদিন কাজকর্মে ক্লান্তির পর ড্রাইভারকে বিশ্রাম না দিয়ে মধ্যরাতের কিছু পূর্বে বেশি দূরত্বের পথে ঢাকা রওনা হওয়াটা আলমগীর হোসেনের জন্যে ঠিক হয়নি। নিজ বাড়িতে রাতে অবস্থান করে ঘুমিয়ে ক্লান্তি অবসান করে তিনি যদি পরদিন সকালে রওনা দিতেন, তাহলে গভীর রাতের দুর্ঘটনাটি এড়াতে পারতেন। কিন্তু আলমগীর হোসেনের মতো অনেকেই নিজের ব্যস্ততায় সময় বাঁচাতে ড্রাইভারের ক্লান্তিকে গুরুত্ব না দিয়ে বেশি দূরত্বের পথে চলতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত নিজের জীবন আর বাঁচাতে পারেন না। সেজন্যে বেশি দূরত্বের পথে তথা লং জার্নিতে যাত্রার আগে গাড়ির ফিটনেস পরীক্ষা করিয়ে নেয়ার পাশাপাশি ড্রাইভারের শারীরিক ফিটনেস নিয়ে কম-বেশি ভাবা উচিত। এতে সড়ক দুর্ঘটনা যে এড়ানো যায়, সেটা অভিজ্ঞজন বলছেন। এই বলাটা গাড়িওয়ালা কিংবা যাত্রীদের গুরুত্ব দেয়া দরকার।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়