বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫  |   ২৪ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   তীব্র গরম, দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় ২ মে পর্যন্ত বন্ধ

প্রকাশ : ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০

তাদের এই কারাবরণ অন্যদের মাঝে সতর্কতা সঞ্চার করুক

অনলাইন ডেস্ক
তাদের এই কারাবরণ অন্যদের মাঝে সতর্কতা সঞ্চার করুক

‘কচুয়ায় ভুয়া কাবিননামা তৈরি করে কাজী ও সহযোগী কারাগারে’ শিরোনামে গত বুধবার চাঁদপুর কণ্ঠে প্রকাশিত সংবাদটি পাঠকমাত্রেরই মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। সংবাদটিতে চৌধুরী ইয়াসিন ইকরাম লিখেছেন, কচুয়ার মুনতাসীর শাকিল নামে এক ব্যক্তির স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া কাবিননামা তৈরি করার দায়ে এই উপজেলার কাদলা ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার কাজী মোঃ মাহমুদুল হাসান ও তার সহযোগী মোহাম্মদ উল্লাহ আশরাফকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুরে তারা দুজন চাঁদপুর জেলা জজ আদালতে হাজিরা দিতে এলে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মহসিনুল হক তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের আদেশ প্রদান করেন। কাজী মোঃ মাহমুদুল হাসান ও তার সহযোগী মোহাম্মদ উল্লাহ আশরাফ কচুয়া উপজেলার বরইগাঁও গ্রামের মৃত মাওলানা আবদুর রবের ছেলে। তাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার বাদী হলেন কচুয়া উপজেলার আইনগীরী নাউলা গ্রামের নুরুল আমিনের ছেলে মুনতাসীর শাকিল।

মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ২৫ এপ্রিল মুনতাসীর শাকিল হাজীগঞ্জ আমলী আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। ওই মামলায় উল্লেখ করা হয়, নাউলা গ্রামের আবদুল হাকিমের মেয়ে লাহিনূর আক্তার লুনা (৩৬) কাদলা ইউনিয়নের কাজী মোঃ মাহমুদুল হাসান ও তার সহযোগী মোহাম্মদ উল্লাহ আশরাফের যোগাসাজশে মুনতাসীর শাকিলের স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া কাবিননামা তৈরি করেন, যখন শাকিল ওমানে ছিলেন। মামলাটি আদালত আমলে নিয়ে তদন্তের জন্যে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চাঁদপুর জেলা কার্যালয়ে পাঠায়। মামলাটি তদন্তের জন্যে দায়িত্ব পান পিবিআই উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ শরীফ উল্লাহ। তিনি তদন্ত করে ২০২৩ সালের ১২ ডিসেম্বর আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। সে আলোকে আদালতে হাজিরা দিতে এলে কাজী মোঃ মাহমুদুল হাসান ও তার সহযোগী আশরাফ কারাগারে যাবার আদেশ পান, যারা বিচার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সময়ান্তরে যথোপযুক্ত শাস্তি পাবেন বলে আশা করা যায়।

আমাদের দেশে ঢালাওভাবে নিকাহ রেজিস্ট্রার তথা কাজীদের অধিকাংশ অনিয়মের আশ্রয়গ্রহণ করেন--এমনটি বলার সুযোগ কারো নেই। তবে মাহমুদুল হাসানের মতো কিছু কাজী ও তাদের সহযোগীরা ভুয়া কাবিননামা তৈরি, বাল্যবিবাহ সম্পাদনে বয়স নিয়ে জালিয়াতির আশ্রয়গ্রহণসহ বহুবিধ অনিয়ম করে থাকে। এরা রাতারাতি অনেক টাকার মালিক হতে বিয়ে ও তালাক রেজিস্ট্রির কাজে অস্বাভাবিক/অতিরিক্ত ফি নেয়া সহ নানা প্রকার অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে থাকেন। এদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেন, এমনকি ইন্ধন দেন তৃণমূল পর্যায়ের কিছু জনপ্রতিনিধি ও গ্রাম্য মোড়ল এবং নানা ধরনের প্রভাবশালী লোকজন। এমনটি করে এরা খুব কমই ধরা পড়েন এবং শাস্তির মুখোমুখি হন। এমন বাস্তবতায় কচুয়ায় ভুক্তভোগী বাদীর দৃঢ়তায় দায়ের হয়েছে মামলা এবং পরিণতিতে কারাগারে গিয়েছেন এক কাজী ও তার সহযোগী। আশা করি তাদের কারাগারে যাবার খবর দেশের বিভিন্ন স্থানে অনিয়ম-জালিয়াতির প্রবণতায় ভোগেন যে সকল কাজী ও সহযোগী, তাদের মধ্যে কম/বেশি সতর্কতা সঞ্চার করবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়