বুধবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২৫
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জ যৌথ বাহিনীর ভ্রাম্যমাণ চেকপোস্ট ৯০ যানবাহনে তল্লাশি।। ১২ মামলায় ৬০ হাজার টাকা জরিমানা, ৬ গাড়ি জব্দ
  •   হরিণা থেকে দু মাদক ব্যবসায়ী আটক
  •   কয়েক কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৩৯ জনের তথ্য চেয়েছে দুদক

প্রকাশ : ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:১৬

কোনো রাজনৈতিক দলের এমন আয়োজন বিরল

অনলাইন ডেস্ক
কোনো রাজনৈতিক দলের এমন আয়োজন বিরল

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানকেন্দ্রিক চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যার ফলে এই একাডেমির মিলনায়তন ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে যায়, আর চাঁদপুর শহরের সংস্কৃতি অঙ্গন স্থবিরতায় আক্রান্ত হয়। অভ্যুত্থানের বেশ ক’মাস পর চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের প্রচেষ্টায় মিলনায়তনটি মোটামুটি ব্যবহার উপযোগী হলে সাংস্কৃতিক কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু ডেকোরেটরের সরঞ্জাম ভাড়া করে আনতে হয় বলে আগের মতো ব্যয়সাশ্রয়ী না হওয়ায় সীমিত সামর্থ্যের অনেক সাংস্কৃতিক সংগঠনই জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তন ব্যবহার করতে না পেরে সুলভে ব্যবহারযোগ্য অন্যান্য স্থান বেছে নেয়। কিন্তু দুধের স্বাদ ঘোলে না মিটার অবস্থা দাঁড়ায় এ সংগঠনগুলোর। এর ফলে শিল্পকলাকেন্দ্রিক স্থবিরতা যেনো কাটছিলো না। বিষয়টি জেলা বিএনপির সভাপতি সহ অন্য নেতৃবৃন্দের পর্যবেক্ষণে কম-বেশি অনুভূত হয়। সেজন্যে তাঁরা জেলা বিএনপির উদ্যোগে শিল্পকলা একাডেমিতে ‘মেইড ইন চাঁদপুর কালচারাল ফেস্টিভ্যাল’ নামে ১৬দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক উৎসবের আয়োজন করে। যে উৎসবে চাঁদপুরের কিছু সাংস্কৃতিক সংগঠন ছাড়া বলা যায় নব্বই শতাংশেরও বেশি সংগঠন অংশগ্রহণ করার সুযোগ পায় এবং উজ্জীবিত হয়। চলতি অক্টোবর মাসের ৯ থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত বিস্তৃত এ সাংস্কৃতিক উৎসব চাঁদপুরের সংস্কৃতি অঙ্গনে নূতন মাত্রা যোগ করে। কেননা স্বাধীনতাপূর্ব ও স্বাধীনতোত্তর কোনো রাজনৈতিক দল চাঁদপুরে এমন উৎসবের আয়োজন করেনি। সেজন্যে স্মরণকালে এমন আয়োজনকে বিরলই বলতে হবে।

রাজধানী ও বিভাগীয় শহরগুলোর বাইরে চাঁদপুর দেশের এমন একটি জেলা শহর, যেখানে সীমিত সুযোগ ও সামর্থ্যের মধ্যেও দেশের অন্যান্য অনেক জেলার চেয়ে সংস্কৃতিচর্চা বেশি হয়। যার ফলে এই শহরে অপরাধ প্রবণতা অনেক কম এবং রাজনৈতিক মতভেদ সত্ত্বেও সংস্কৃতি কর্মীদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক সৌহার্দ্যপূর্ণ। যেটা জেলা বিএনপির সাংস্কৃতিক উৎসবেও স্পষ্টভাবে লক্ষ্য করা গেছে। এটা অবশ্যই ইতিবাচক। যেটাকে বলা যায় সংস্কৃতি চর্চার প্রশ্নে একতাবদ্ধ থাকার সুন্দর প্রয়াস।

চাঁদপুরে ১৬দিনব্যাপী নয়, মাসব্যাপী সাংস্কৃতিক উৎসব করার রেকর্ড আছে। ২০১৫ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত চলে এই উৎসব। তৎকালীন জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সবুর মন্ডলের বদান্যতায় জেলা প্রশাসন ছিলো এই উৎসবের পৃষ্ঠপোষক। এই উৎসবে চাঁদপুরের সর্বোচ্চ সংখ্যক সাংস্কৃতিক সংগঠন অংশ নেয়। এর পাশাপাশি ১৯৯২ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা ছিলো অনেক বড়ো সাংস্কৃতিক উৎসব। উপরোল্লিখিত দুটি উৎসবের বাইরে ২০২৫ সালের অক্টোবরে জেলা বিএনপির ১৬দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক উৎসব নিঃসন্দেহে অনেক বড়ো সাংস্কৃতিক আয়োজন, যেটি অনাগত দিনে চাঁদপুরের ইতিহাসে মর্যাদার সাথেই ঠাঁই পাবে বলে সংস্কৃতিবোদ্ধাদের অভিমত। আমরা এ আয়োজনের প্রধান উদ্যোক্তা চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি সংস্কৃতিমনস্ক ব্যক্তিত্ব শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকসহ সংশ্লিষ্ট অন্য সকলকে ধন্যবাদ জানাই। সামনের বছরগুলোতে এমন আয়োজনের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকুক সে প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়