প্রকাশ : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭:২২
লৌহজংয়ে অগ্নিকাণ্ডে ছয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভস্মীভূত, ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে উপজেলা প্রশাসন
রাতের আগুনে সব হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা

মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার কুমারভোগে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মুহূর্তেই ছাই হয়ে গেছে ছয়টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়া হতাশ ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়িয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
|আরো খবর
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ক্ষতিগ্রস্ত মালিকদের হাতে জরুরি সহায়তার চেক তুলে দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. নেছার উদ্দিন।
পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তের মাওয়া–লৌহজং সড়কের পাশে অবস্থিত কুমারভোগ এলাকায় এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
এতে কারখানা, দোকান ও ওয়ার্কশপসহ মোট ৬টি প্রতিষ্ঠান ভস্মীভূত হয়।
প্রতিটি ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানের মালিককে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়।
চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. শহিদুজ্জামান,
কুমারভোগ ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি কাউসার তালুকদার, মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপি নেতা আসলাম ঢালী, দিনার মেম্বার, স্বপন বেপারী, আল আমিন ঢালী, নাসির খানসহ স্থানীয় ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ।
স্থানীয় ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, রবিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন দোকান ও কারখানায়। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের দাবি, আগুনে প্রায় এক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শিমুলিয়া ঘাট থেকে ফেরার পথে কয়েকজন মোটরসাইকেল আরোহী আগুন দেখতে পেয়ে স্থানীয়দের খবর দেন। খবর পেয়ে লৌহজং ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে। পরে শ্রীনগর ফায়ার সার্ভিসের আরও দুটি ইউনিট যোগ দিলে ভোর সাড়ে চারটার দিকে প্রায় দেড় ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী নাসির খান জানান, “রাত সাড়ে তিনটার দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দেখি আমার ওয়ার্কশপ জ্বলছে। মালামালসহ প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।”
শ্রীনগর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার দেওয়ান আজাদ হোসেন বলেন, “লৌহজং ও শ্রীনগরের মোট চারটি ইউনিট একসাথে কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে।”
এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত সুমি বেগম (৩৮) কান্নাজড়িত কণ্ঠে সাংবাদিকদের বলেন, “আমার দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। মাত্র ১০–১২ দিন আগে কিস্তিতে নতুন ফ্রিজ কিনেছিলাম, সেটিও পুড়ে গেছে। এখন আমি কোথায় যাব?”
ক্ষয়ক্ষতি পরিদর্শন শেষে ইউএনও মো. নেছার উদ্দিন বলেন, “আপনাদের ক্ষতি সত্যিই অপুরণীয় ও অত্যন্ত দুঃখজনক। প্রাথমিকভাবে সহায়তা দেওয়া হলো। তবে লৌহজং উপজেলা প্রশাসন সবসময় আপনাদের পাশে থাকবে।”
ডিসিকে/এমজেডএইচ