প্রকাশ : ১৯ জুলাই ২০২৫, ০০:৪৯
প্রতাপ সাহা রোডে কয়েক যুগেও হয়নি সংস্কার
দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত অবস্থায় রয়েছে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি

চাঁদপুর শহরের প্রাণকেন্দ্রের কাছেই অবস্থিত নতুন আলিম পাড়া-প্রতাপ সাহা রোড। গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত অবস্থায় পড়ে আছে। ভাঙ্গাচুরা সড়কজুড়ে খানাখন্দে ভরা। একটু বৃষ্টি হলেই কাদায় মাখামাখি হয়ে যায় পুরো সড়কটি। ফলে এ সড়কে চলাচল করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। বিশেষ করে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, বয়স্ক ও শিশুদের জন্যে এটি হয়ে উঠেছে এক ভয়ংকর যন্ত্রণা।
|আরো খবর
সরজমিনে দেখা গেছে, সড়কটির আলিম পাড়া হতে যে প্রতাপ সাহা রোডটি মিশন রোড-ট্রাকরোড পর্যন্ত রয়েছে, পুরো সড়কটিতে তেমন কোনো পিচ ঢালাই নেই। সাথে আবহাওয়া অফিসমুখী সড়কটিও রয়েছে। কয়েক যুগে আগে করা পাকা ঢালাই ও পিচ ঢালাই উঠে গিয়ে সেটি এখন মাটির কাঁচা সড়কে পরিণত হয়েছে। পুরো সড়কের বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় গর্তে কাদা পানি জমে আছে।
সড়কের একপাশে রয়েছে সম্পূর্ণ খোলা ড্রেন। এ ড্রেন থেকে দুর্গন্ধ ছড়ায় এবং বৃষ্টির পানি জমে গিয়ে হাঁটাচলা আরও দুর্বিষহ করে তোলে। একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তাটিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
রাস্তার পাশের বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, অনেকবার স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পৌরসভার দৃষ্টি আকর্ষণ করেও কোনো কার্যকর উদ্যোগ দেখেননি তারা।
শহরের যানজট নিরসনে অনেকটা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে এই সড়কটি। শহরের গুরুত্বপূর্ণ আবাসিক এলাকার প্রতাপ সাহা রোডটি যদি মেরামত করা হয়, তাহলে শহরের মূল সড়কের যানজটও অনেকাংশে কমে যাবে। বিকল্প রোড হিসেবে এই সড়ক ব্যবহার করলে প্রধান সড়কের চাপ কমানো সম্ভব বলে মনে করছেন অনেকে।
এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি, শহরের অন্যান্য এলাকার মতো এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কটিও যেনো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পুনঃসংস্কার করা হয়। বিশেষ করে খোলা ড্রেনের ঢাকনা দেয়া, রাস্তার খানাখন্দ ভরাট এবং নতুন করে পাকা সড়ক নির্মাণ তাদের প্রধান দাবি।
নতুন আলিম পাড়া, প্রতাপ সাহা রোডের সুমন খান, মনির হোসেন, সৈয়দ আহমেদসহ বেশ কয়েকজন প্রবীণ বাসিন্দা বলেন, প্রায় দু যুগ ধরে আমরা একই সমস্যায় ভুগছি। কোনো সরকার বা পৌরসভা এই সড়কটির দিকে নজর দেয়নি। আমরা বারবার বলেছি, কিন্তু প্রতিশ্রুতি ছাড়া কিছুই পাইনি।
চাঁদপুর শহরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটির দ্রুত মেরামত ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নয়নের মাধ্যমে জনদুর্ভোগ কমানোর পাশাপাশি শহরের যানজট সমস্যারও সমাধান সম্ভব। এজন্যে পৌরসভা ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপই এখন এলাকাবাসীর প্রধান প্রত্যাশা।
ডিসিকে/এমজেডএইচ