সাংস্কৃতিক উৎসবটি সফল হোক

চাঁদপুরের সংস্কৃতি অঙ্গন ও সংস্কৃতি কর্মীদের উজ্জীবিত করার লক্ষ্যে ৮ দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক উৎসব ২০২৫-এর শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। চাঁদপুর সাংস্কৃতিক অঙ্গনের আয়োজনে শুক্রবার (২০ জুন ২০২৫) বিকেলে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এ উদ্বোধনী পর্ব সম্পন্ন হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাংস্কৃতিক উৎসব উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক ও চাঁদপুর জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. নূরুল আমিন খান আকাশ। উৎসব পরিচালনা পরিষদের মহাসচিব এবং স্বরলিপি নাট্যদলের সভাপতি এমআর ইসলাম বাবুর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন প্রধান সমন্বয়কারী, নতুন কুঁড়ির ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক উপদেষ্টা অ্যাড. নুরুল হক কমল, উৎসব পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ও নতুন কুঁড়ির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অ্যাড. আবুল কালাম সরকার, উৎসব উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব ও শিশু থিয়েটারের সভাপতি পিএম বিল্লাল। সান্ধ্যকালীন পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চাঁদপুর জেলা শাখার সেক্রেটারী অ্যাড. মো. শাহজাহান মিয়া। সাংস্কৃতিক উৎসব উদযাপন পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাড. মো. নুরুল হক কমলের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর জজ কোর্টের অতিরিক্ত পিপি অ্যাড. মো. শাহজাহান খান ও সহকারী পিপি অ্যাড. আব্দুল কাদের খান। বৈকালীন পর্বে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদ চাঁদপুর জেলা শাখার আহ্বায়ক কাজী রাসেল, সংগীতশিল্পী অ্যাড. বিশ্বজিৎ কর রানা, গিটার বাদক দিলীপ ঘোষ, চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমির পরিচালক (গ্রন্থাগার, সেমিনার ও শিশুসাহিত্য) আশিক বিন রহিম, ইলিশা সাংস্কৃতিক সংগঠনের পরিচালক ফরহাদ ও সংস্কৃতি সংগঠক নূরে আলম। উদ্বোধনী দিনে ‘ওল্ড ইজ গোল্ড’ নামে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে নতুন কুঁড়ি ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। ৮ দিনের সাংস্কৃতিক উৎসবে ২৫টির অধিক সংগঠন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করবে। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানে চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তন মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হবার পর চাঁদপুরের সংস্কৃতি অঙ্গনে অন্তত ছয় মাস ধরে স্থবিরতা বিরাজ করে। কিছু সংগঠন বিকল্প ভেন্যু হিসেবে চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন ও চাঁদপুর রোটারী ভবন কিংবা অন্য কোথাও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড সম্পন্ন করে সংস্কৃতি অঙ্গনকে চাঙ্গা করার চেষ্টা করে। এটা দুধের স্বাদ ঘোলে মিটানোর মতো অবস্থা। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তন সংস্কারে সম্ভাব্য সহযোগিতা প্রদানের পর এটি ডেকোরেটরের মাধ্যমে ব্যবহার উপযোগী করা গেছে। এমতাবস্থায় সাংস্কৃতিক কার্যক্রম সম্পাদন ব্যয়বহুল হলেও চাঁদপুরে শুক্রবার (২০ জুন) থেকে আটদিনব্যাপী সাংস্কৃতিক উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। নিঃসন্দেহে দুর্দিনে এমন আয়োজন সংশ্লিষ্ট সংস্কৃতি সংগঠকদের অদম্য সংস্কৃতিপ্রেম ও আন্তরিকতার পরিচায়ক। আমরা এই সাংস্কৃতিক উৎসবের সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করছি।