বৃহস্পতিবার, ০৫ জুন, ২০২৫  |   ৩১ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   ঢাকা থেকে উড্ডয়নের পরপরই তার্কিশ এয়ারলাইন্সের ইঞ্জিনে আগুন

প্রকাশ : ০৩ জুন ২০২৫, ২১:৫৩

ফরিদগঞ্জের রূপসায় পৈত্রিক সম্পত্তি হারানোর শঙ্কায় প্রবাসী আরিফ

ফরিদগঞ্জ ব্যুরো
ফরিদগঞ্জের রূপসায় পৈত্রিক সম্পত্তি হারানোর শঙ্কায় প্রবাসী আরিফ

গত দু যুগেরও বেশি সময় ধরে জীবিকার টানে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবে চাকুরি করে এদেশের জন্যে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন। বাড়িতে একমাত্র ভাই শারীরিক প্রতিবন্ধী হলেও তাকে দেখভাল করার কেউ নেই। ফলে নিজের পৈত্রিক সম্পত্তি দেখাশোনা করার জন্যে বলতে গেলে তিনি ছাড়া দ্বিতীয় ব্যক্তি নেই। মাঝে মাঝে ছুটিতে বাড়িতে আসার পর পৈত্রিক সম্পত্তির কাগজপত্র হালনাগাদ করেছেন। কিন্তু তারপরও তার সম্পত্তি বেহাত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ফলে বাধ্য হয়ে তিনি নিজের পৈত্রিক ভূমির ওপর নিজেই মালিকানা স্বত্ব নিশ্চিত করতে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দিয়েছেন। ঘটনাটি ফরিদগঞ্জ উপজেলার রূপসা বাজারের।

সাইনবোর্ড লাগানোর কথা জানিয়ে ভুক্তভোগী প্রবাসী আরিফুর রহমান বলেন, রূপসা মৌজার সিএস ওয়ারিশ সূত্রে মালিক শর্তে বিএস ফাইনাল হওয়ার পরেও নিজেদের প্রকৃত মালিকানা থেকে বঞ্চিত হবার শঙ্কায় আমি আমার পরিবারের পক্ষে রূপসা উত্তর ইউনিয়নের রূপসা বাজার সংলগ্ন ভূইয়া বাড়ির সম্পত্তিতে সাইনবোর্ড লাগিয়েছি।

তিনি জানান, তার পিতা নূর মিয়া ও তার দু ভাই মালিক হন ২৭শতক জমির। সেই অনুযায়ী ১৪০নং রূপসা মৌজার সিএস ৮নং খতিয়ানে দাগ ১৭১৩, আরএস ২৩ খতিয়ান এবং বিএস চূড়ান্ত ৩১৪১, দাগে খারিজি ৩৪৪৩, তার পিতা নূর মিয়া মালিক হন ৯ শতক জমির। এর মধ্যে দু শতক জমি বিক্রি করার পরে অবশিষ্ট ৭ শতক জমির সকল বৈধ কাগজপত্র আমাদের নামে রেকর্ড রয়েছে। ওই জমির খারিজ সম্পন্ন করে আমি নিয়মিত খাজনাও পরিশোধ করছি।

এবার দেশে আসার পর জেনেছি, আমার চাচাতো ভাই গোলাম মাওলার ওয়ারিশরা হিস্যার বাইরে গিয়ে আমার অবর্তমানে আমাদের সম্পত্তি অন্যত্র বিক্রি করে দিয়েছে। যা আইনগতভাবে সঠিক নয়। আরিফুর রহমানের নিকটাত্মীয় রবিউল ইমাম বাবু জানান, আরিফুর রহমানের পৈত্রিক সম্পত্তির কাগজপত্র সঠিক রয়েছে। কিন্তু কোনোভাবেই যেন একজন প্রবাসী দেশে না থাকার সুযোগে নিজের জন্মভূমিতে নিজের সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত না হয় সেটাই কাম্য।

বর্তমানে এই জমির মালিকানা দাবি করা আশরাফুল আলম ও মাওলানা মোস্তফা কাজী জানান, তারা ওই জমি ক্রয়সূত্রে মালিক। স্থানীয়রা জানান, আশরাফুল আলম ও মোস্তফা কাজী মালিকানা স্বত্ববিহীন কাগজপত্র দিয়ে জমি ক্রয় করার কারণে এই জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। আরিফুর রহমানের ভাতিজা মৃত গোলাম মাওলার ওয়ারিশ গোলাম মাহমুদ গংকে না পাওয়ায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়