চাঁদপুরের মাটি এমনিতেই সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে ভরপুর :জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে চাঁদপুর নজরুল সংগীত শিল্পী পরিষদের আয়োজনে এক বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। চাঁদপুর শহরের কবি নজরুল সড়কের রোটারী ভবনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানটি ছিলো কবি নজরুলের জীবন, সঙ্গীত ও সাহিত্যচর্চাকে ঘিরে এক গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন।

তিনি বলেন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম আমাদের জাতিসত্তার অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাঁর বিদ্রোহী চেতনা, মানবতাবাদী দর্শন এবং অসাম্প্রদায়িক মূল্যবোধ আজও আমাদের পথ দেখায়। চাঁদপুরের মাটি এমনিতেই সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে ভরপুর। এখানকার মানুষ সাহিত্য ও সংগীতপ্রেমী–তারা কবিতায় মুগ্ধ হয়, সুরে আবিষ্ট হয়। আমি নিজেও গান ভালোবাসি। বিশেষ করে নজরুল সংগীত আমার হৃদয়ে এক ভিন্ন রকম আবেগ তৈরি করে। তাঁর সৃষ্টিতে যে বৈচিত্র্য, যে সাহসিকতা, তা আজকের দিনে আরও বেশি প্রয়োজন।

তিনি বলেন, এ ধরনের আয়োজন আমাদের সংস্কৃতিচর্চাকে বেগবান করে, নতুন প্রজন্মকে পরিচয় করিয়ে দেয় আমাদের গৌরবময় সাংস্কৃতিক ইতিহাসের সঙ্গে। আমি চাঁদপুর নজরুল সংগীত শিল্পী পরিষদকে এই চমৎকার আয়োজনের জন্যে ধন্যবাদ জানাই এবং আশা করি ভবিষ্যতেও তারা আরও সৃজনশীল আয়োজনের মাধ্যমে নজরুল চেতনা ছড়িয়ে দেবে।

চাঁদপুর নজরুল সংগীত শিল্পী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শরীফ চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর আনন্দধ্বনি সংগীত শিক্ষালয়ের অধ্যক্ষ রফিক আহমেদ মিন্টু, বাবুরহাট স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোশারেফ হোসেন, বিশিষ্ট কবি ও নাট্যকার মঈনুদ্দিন লিটন ভূঁইয়া, চাঁদপুর সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্রের সভাপতি তপন সরকার, জাতীয় নজরুল সম্মিলন পরিষদ চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি মাহমুদ হাসান খান, জয়ধ্বনি সংগীত বিদ্যায়তনের অধ্যক্ষ সুদীপ কর তন্ময়সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের সংস্কৃতি কর্মীরা।

চাঁদপুর নজরুল সংগীত শিল্পী পরিষদের সভাপতি কণ্ঠশিল্পী রূপলী চম্পকের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে নজরুল সংগীতের ওপর নৃত্য, বিভিন্ন নজরুল সঙ্গীত, দলীয় ও একক নৃত্য পরিবেশনা এবং আলোচনার মাধ্যমে নজরুল চেতনার বহুমাত্রিক দিক তুলে ধরা হয়।

বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানটি প্রাণবন্ত হয়ে উঠে। সংস্কৃতি অঙ্গনে এমন সৃজনশীল আয়োজন চাঁদপুরের সাহিত্য ও সংগীতের পরিমণ্ডলকে আরও সমৃদ্ধ করবে বলে মতামত ব্যক্ত করেন উপস্থিত সকলে।