প্রকাশ : ২৮ মে ২০২৫, ০৯:১৪
আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতীক এম এ মতিন স্যারের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা

একজন সৎ, আদর্শবান, সমাজসেবক, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক সবটুকুই যাঁর নামের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, তিনি হলেন বারবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য জননেতা মরহুম এম এ মতিন স্যার। এ অঞ্চলের বিএনপির ধারকবাহক হিসেবে যাঁর তুলনা তিনি নিজেই। উন্নয়ন, রাজনীতি, সামাজিক সেতুবন্ধনের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত এম এ মতিন। তাঁর হাত ধরেই ডাকাতিয়া নদীর উপরে দুপাড়ের সেতুবন্ধনের সূচনা হয়। তাঁর আন্তরিক প্রচেষ্টায় ৫০ শয্যার আধুনিক হাসপাতাল কমপ্লেক্স নির্মাণ হয়। এছাড়া টেলিফোন ভবন, ফায়ার সার্ভিসের মতো দৃশ্যমান উন্নয়নগুলো আজও স্যারের স্মৃতি বহন করে চলছে। তাঁর দ্বারাই সম্ভব হয়েছে শাহরাস্তিবাসীর গ্যাসের লাইন পাওয়া।
রাজনীতিতে তিনি ছিলেন সফল একজন মানুষ। কখনোই রাজনৈতিক পদপদবীর আকাঙ্ক্ষা তাঁকে স্পর্শ করতে পারেনি। তাঁর কার্যকালে বিএনপি ছিলো ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী। বিএনপির কমিটিগুলোর নেতা নির্বাচিত হতো কর্মীদের প্রত্যক্ষ ভোটে। কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে জাঁকজমকপূর্ণভাবে হতো বিএনপির সম্মেলন। কোনো পকেট কমিটির রেওয়াজ ছিলো না তখন। শুধু বিএনপি নয়, ছাত্রদলের কমিটিও হতো কাউন্সিলরদের সরাসরি ভোটের মাধ্যমে। তাঁর নেতৃত্বে কখনো বিএনপির মধ্যে গ্রুপিং দেখা যায়নি। শাহরাস্তি-হাজীগঞ্জ এলাকার জনগণ নির্বিঘ্নে নিরাপদে বসবাস করতো। ছিলো না কোনো বৈষম্য। হিন্দু-মুসলিম বিভেদ কিংবা সাম্প্রদায়িকতার অভিযোগ ছিলো না তাঁর সময়ে। একজন শিক্ষক থেকে জনপ্রতিনিধি হয়ে মানুষের মন জয় করে নিয়েছেন তিনি।
শাহরাস্তি-হাজীগঞ্জ এলাকার শান্তির জনপদের মহান কারিগর এম এ মতিন স্যার। এম এ মতিন স্যারের সময় স্থানীয় কোনো নির্বাচন নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেনি। সুষ্ঠু, সুন্দর, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের প্রতিনিধি নির্বাচিত হতো। কোনো দল অথবা ব্যক্তির হস্তক্ষেপ মুক্ত নির্বাচনের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন তিনি। দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে তিনি সকলের মন জয় করে নিয়েছিলেন। শুধু শাহরাস্তি নয়, হাজীগঞ্জ উপজেলার রাজনীতি ও উন্নয়নে একইভাবে কাজ করে গেছেন। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আস্থাভাজন হিসেবে বিএনপিকে নিয়ে গেছেন জনগণের দোরগোড়ায়। মরহুম এম এ মতিনের শূন্যস্থান কখনো পূরণ হবার নয়। মহান আল্লাহ পাক তাঁকে জান্নাতবাসী করুন। আমিন।