রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫  |   ৩২ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে নেতাকর্মীদের ঢল

প্রকাশ : ১৮ মে ২০২৫, ০৮:২৮

ফিলিস্তিনে বাংলাদেশিদের প্রথম এতিমখানা উদ্বোধন

আফছার হোসাইন, মিশর থেকে
ফিলিস্তিনে বাংলাদেশিদের প্রথম এতিমখানা উদ্বোধন

গাজার খান ইউনিসের আল-মায়াউশি এলাকায় উদ্বোধন করা হলো বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদিত মানবিক সংস্থা আলহাজ্ব শামসুল হক ফাউন্ডেশন (আশ ফাউন্ডেশন) পরিচালিত প্রথম বাংলাদেশি এতিমখানা ‘খাদীজা বিনতে খুয়াইলিদ (রা.) অরফানেজ সেন্টার’।

১৫ মে ২০২৫ (বৃহস্পতিবার) মা-বাবাহীন শিশুদের হাতে অভিভাবকত্বের স্বীকৃতি পত্র ও নগদ অর্থ সহায়তা তুলে দিয়ে উদ্বোধন করা এতিমখানায় প্রাথমিকভাবে ৫০ জন মা-বাবাহীন শিশুকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। এই এতিমখানার শিশুদের জন্যে বহু সংখ্যক বাংলাদেশি অভিভাবকের দায়িত্ব নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।

ইসরাইলিদের বর্বর হামলায় যুদ্ধ বিধ্বস্ত এই অঞ্চলে এতিম শিশুদের জন্যে স্থায়ী আশ্রয় ও পুনর্বাসনের লক্ষ্যেই ফাউন্ডেশনটি এ মহতী উদ্যোগ গ্রহণ করে বলে জানিয়েছেন আশ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মুহাম্মদ নাছির উদ্দিন।

মিশরে এই প্রতিনিধিকে তিনি বলেন, গাজার তাঁবুতে নির্মিত বাংলাদেশিদের সহায়তায় এতিমখানাটি কেবল একটি আশ্রয়স্থল নয়, বরং এটি আমাদের ভালোবাসা, দায়িত্ববোধ ও মানবিক সংহতির প্রতীক। বাংলাদেশের মানুষের পক্ষ থেকে এটি গাজার এতিম শিশুদের জন্যে একান্ত হৃদয়ের উপহার। আমরা বিশ্বাস করি, সকলের সহযোগিতায় ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতে গাজায় আরও অনেক এতিমখানা নির্মাণ সম্ভব হবে।”

তিনি আরো বলেন, শুধু এতিমখানা নয়, আশ ফাউন্ডেশন গাজায় নিয়মিত খাবার, পানির ব্যবস্থাসহ নানাবিধ জরুরি কর্মসূচি পালন করার পাশাপাশি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রথম মসজিদ নির্মাণ, সোলার বিদ্যুৎ প্রকল্প, স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট স্থাপন, পানির কূপ খনন ও মোটর বসিয়ে ক্যাম্পে পানি সরবরাহসহ একাধিক মানবিক প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। এসব উদ্যোগ গাজার সংকটাপন্ন মানুষদের জীবনে আশার আলো জ্বালাচ্ছে। এই মহতী কার্যক্রম বাংলাদেশের মানবিক ভূমিকা ও মুসলিম উম্মাহর প্রতি দায়িত্ববোধের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

আলহাজ্ব শামসুল হক ফাউন্ডেশন (অঝঐ ঋড়ঁহফধঃরড়হ) ২০২৩ সাল থেকে গাজার নির্যাতিত জনগণের পাশে দাঁড়াতে মিশর সীমান্তে মানবিক সহায়তা দিয়ে তাদের কার্যক্রম শুরু করে। পরবর্তীতে গাজা ভূখণ্ডের ভেতরেই জরুরি প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে তারা সরাসরি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রথম সংস্থা হিসেবে উপস্থিতি নিশ্চিত করে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়