বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫  |   ২৭ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২২:৫৩

দর্শনার্থীশূন্য লক্ষ্মীপুরের কৃষি প্রযুক্তি মেলা, সরকারি অর্থ অপচয়

তাবারক হোসেন আজাদ, রায়পুর (লক্ষ্মীপুর)।।
দর্শনার্থীশূন্য লক্ষ্মীপুরের কৃষি প্রযুক্তি মেলা, সরকারি অর্থ অপচয়

লক্ষ্মীপুরের কৃষি ও প্রযুক্তি মেলায় খরা পড়েছে দর্শনার্থীদের। বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫) দিনভর এমন চিত্র দেখা যায়। খোশগল্পে সময় পার করছেন আয়োজকরা। দায়সারা মেলায় সরকারি অর্থ অপচয় বলছেন স্থানীয়রা।

জানা গেছে, ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার এন্ড ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট প্রকল্প (ডিএইপার্ট)-এর আওতায় ক্লাইমেট স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তি মেলার আয়োজন করে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। চাষাবাদে আধুনিকায়ন, উন্নত কলাকৌশল ও নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত করার লক্ষ্যে ৩ দিনব্যাপী মেলাটি হয়। মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর ২০২৫) সদর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে মেলার উদ্বোধন করেন অতিথিরা। মেলায় ১০ টি স্টলে বিভিন্ন প্রজেক্ট প্রদর্শন করেন আয়োজকরা।

বুধবার (৩ সেপ্টম্বর ২০২৫) মেলার প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, মেলার মধ্যে হাতেগোণা দু-একজন ঘোরাঘুরি করছেন। তারা সকলে উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন দপ্তরে সেবা নিতে এসেছেন। এখানকার ১০ টি স্টলের মধ্যে ৮টিতে দেখা যায়নি আয়োজকদের। বাকি স্টলগুলোতে ৫ জন কৃষি কর্মকর্তা খোশগল্প করছেন। দেখা যায়নি সদর ও জেলা কৃষি কর্মকর্তাদের।

ফয়সাল হোসেন সহ উপজেলা পরিষদে সেবা নিতে আসা কয়েকজন বলেন, ব্যানারে কৃষি প্রযুক্তি মেলা লেখা থাকলেও বাস্তবতা ভিন্ন। এখানে প্রদর্শিত প্রজেক্টগুলো অনেক পুরানো। কোনো কৃষক ও দর্শনার্থী নেই। আয়োজকদের একটি স্টলে দেখা গেলেও অন্যান্য স্টল ছিলো ফাঁকা।

সাংবাদিক রবিউল ইসলাম খান বলেন, এটি কৃষি প্রযুক্তি মেলা নয়। মেলার নামে সরকারি অর্থের অপচয়। নামমাত্র প্রজেক্ট স্টলগুলোতে প্রদর্শন করা হয়েছে। মেলার প্রচারণাও করা হয়নি। এজন্যে মেলায় দর্শনার্থী নেয়। আয়োজকদেরও দেখা যায়নি মেলাতে। বুধবার মেলা প্রাঙ্গণে একাধিকবার গিয়ে একই চিত্র দেখেছি। এ ধরনের মেলার প্রচারণা বেশি হওয়ার কথা ছিলো। এখানে কৃষক, বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও দর্শনার্থীদের ভিড় থাকতো। কিন্তু কৃষি অফিস প্রচারণা না করে দায়সারা মেলার আয়োজন করেছে। এই মেলা লক্ষ্মীপুরবাসীর কোনো উপকারে আসেনি।

এ বিষয়ে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাসান ইমাম বলেন, মেলার প্রচারণায় কোনো ঘাটতি ছিল না। অনেক দর্শনার্থীও হয়েছে মেলাতে। আগামীকাল কৃষক এবং অন্যান্য দর্শনার্থী আসবেন। তাছাড়া মেলায় বরাদ্দের বিষয়ে কাগজপত্র দেখে বলা যাবে। অফিসে আসেন, বিস্তারিত কথা বলবো।

প্রতিবেদকের এক প্রশ্নের জবাবে কৃষি কর্মকর্তা হাসান ইমাম বলেন, আপনারা যখন গিয়েছেন তখন দর্শনার্থীরা ছিল না। আয়োজকরা নাস্তা ও লাঞ্চ করতে গিয়েছেন। এজন্যে কয়েকটি স্টল ফাঁকা ছিলো।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়