প্রকাশ : ২৩ জুন ২০২৫, ১৮:০৩
মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে রহস্যজনক হামলা!
সিরিয়ার কাসরুকে বিস্ফোরণে কাঁপল মার্কিন ঘাঁটি, পেন্টাগন এখনও নীরব!

সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের হাসাকাহ প্রদেশের কাসরুক এলাকায় অবস্থিত একটি মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে রহস্যজনক হামলার ঘটনা ঘটেছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা মেহের নিউজ এজেন্সি এ খবর নিশ্চিত করলেও মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ এখনো এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয়নি।
|আরো খবর
স্থানীয় সূত্রের বরাতে জানা গেছে, সোমবার গভীর রাতে কাসরুক অঞ্চলের ঘাঁটিতে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শোনা যায়। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘাঁটির আশেপাশে টহল জোরদার করে মার্কিন সৈন্যরা। সাময়িক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লেও এখন পর্যন্ত কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির আনুষ্ঠানিক তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
“ঘাঁটির দিক থেকে একটি বিকট শব্দ আসে। আমরা ভয় পেয়ে যাই। এরপর মার্কিন বাহিনীর সাঁজোয়া যানগুলো দ্রুত মোতায়েন হয়,” – জানিয়েছেন এক স্থানীয় বাসিন্দা।
এদিকে হামলার পরপরই সিরিয়ার বিভিন্ন মিডিয়া এবং ইরান ঘনিষ্ঠ চ্যানেলগুলো এটি “প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ” হিসেবে উপস্থাপন করছে। তবে কে বা কারা এই হামলা চালিয়েছে, কিংবা এটি ক্ষুদ্র ড্রোন, মর্টার না রকেট হামলা—তা স্পষ্ট নয়।
পূর্বেও ঘটেছে হামলা
উল্লেখ্য, হাসাকাহ ও এর আশপাশে যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি ছোট-বড় ঘাঁটি রয়েছে, যেখানে মূলত কুর্দি বাহিনী SDF-এর সহায়তায় মার্কিন সৈন্যরা অবস্থান করে। এর আগেও Al-Shaddadi ও Kharab al-Jir ঘাঁটিতে সীমিত পরিসরে মর্টার বা ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটেছে।
তবে এবারের হামলার সময় ও পদ্ধতি অনেকটাই রহস্যজনক, কারণ মার্কিন সেনারা সরাসরি কোনও বিবৃতি দেয়নি। এমনকি পেন্টাগনও এ ঘটনার বিষয়ে এখনও নিশ্চুপ রয়েছে।
নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে
বিশ্ব গণমাধ্যমে এখনও এই হামলার ব্যাপক প্রতিফলন দেখা না গেলেও, সিরিয়ার রুশপন্থী এবং ইরানঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো একে “মার্কিন উপস্থিতির বিরুদ্ধে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ” হিসেবে চিহ্নিত করছে।
স্থানীয় পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ঘটনার পর থেকেই ঘাঁটিটির চারপাশে সতর্ক প্রহরা ও বিমান টহল বাড়ানো হয়েছে। মার্কিন পক্ষ থেকে ‘Silent Shield’ নামে অভ্যন্তরীণ সতর্কতা জারি করা হয়েছে বলেও গুজব ছড়িয়েছে।
“এটি যদি একটি বড় হামলার পূর্বাভাস হয়, তবে সিরিয়ায় মার্কিন উপস্থিতির কৌশল পুনর্বিবেচনা করা হতে পারে।” – মন্তব্য করেছেন এক মধ্যপ্রাচ্য পর্যবেক্ষক।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া অনুপস্থিত
এখনও পর্যন্ত জাতিসংঘ, ন্যাটো কিংবা যুক্তরাষ্ট্রের কোনো শীর্ষ পর্যায় থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। ফলে এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা, না কি বৃহত্তর সংঘাতের সূচনা—তা নিয়ে বিশ্লেষকরা দ্বিধায় রয়েছেন।
পর্যালোচনা ও ভবিষ্যৎ দৃষ্টিভঙ্গি
এই হামলা যদি সত্যি হয়ে থাকে এবং এটি ইরান-সমর্থিত কোনও প্রক্সি গ্রুপের কাজ হয়, তাহলে তা ভবিষ্যতের জন্য উদ্বেগজনক সংকেত। কারণ, সিরিয়া ও ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিগুলো আগে থেকেই আঞ্চলিক উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে।
প্রতিবেদন: ২৩ জুন ২০২৫ | তথ্যসূত্র: Mehr News, Syrian Local Channels, Military Review, Middle East Observer
ডিসিকে/এমজেডএইচ