প্রকাশ : ১৩ জুন ২০২৫, ১৮:৪৭
ইসরায়েলের হামলায় নিহত ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড প্রধানসহ ২০ শীর্ষ কমান্ডার
তেহরানজুড়ে ভয়াবহ বিমান হামলা, নিহত পরমাণু বিজ্ঞানীসহ সামরিক ও নিরাপত্তা বাহিনীর হাই-প্রোফাইল কর্মকর্তারা

১৩ জুন শুক্রবার ভোরে ইসরায়েলি বাহিনী তেহরানসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আকস্মিক বিমান হামলা চালায়।
|আরো খবর
নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাকেরি,
ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডস কর্পস (IRGC) প্রধান মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি এবং
আইআরজিসির আকাশ প্রতিরক্ষা বাহিনীর কমান্ডার আমির আলি হাজিজাদেহ।
এছাড়া নিহত হয়েছেন পরমাণু বিজ্ঞানী মোহাম্মদ মেহেদী তেহেরানচি, যিনি ইসলামি আজাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ছিলেন, এবং আণবিক শক্তি সংস্থার সাবেক প্রধান ফেরেদউন আব্বাসি-দাভানি।
এই বিজ্ঞানীদের মৃত্যুতে ইরানের পরমাণু কর্মসূচির ভবিষ্যৎ নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
ইসরায়েলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এ হামলা ছিল ইরানের পারমাণবিক এবং সামরিক সক্ষমতা দুর্বল করার লক্ষ্যেই চালানো। একে “Operation Rising Lion” নামে আখ্যা দেওয়া হয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতের নতুন দিগন্ত খুলে গেছে।
রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে জানা যায়, তেহরানের বিভিন্ন আবাসিক ভবনে হামলার কারণে সাধারণ মানুষ, নারী ও শিশু নিহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ধ্বংসস্তূপের নিচে মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
সামরিক স্থাপনাগুলোর পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণা কেন্দ্র ও একাধিক পারমাণবিক সংস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এ হামলার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইরান। সরকার একে “যুদ্ধ ঘোষণা” হিসেবে উল্লেখ করেছে
এবং শীর্ষ পর্যায়ের নিরাপত্তা বৈঠক ডেকে প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের হুমকি দিয়েছে।
বিশ্বনেতারা এই পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং উত্তেজনা প্রশমনে কূটনৈতিক পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন।বিশ্লেষকদের মতে, এই হামলার মাধ্যমে ইসরায়েল একটি বিপজ্জনক কৌশলগত বার্তা পাঠিয়েছে
যা শুধুমাত্র ইরান নয় বরং পুরো মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতিকে ঘনীভূত করতে পারে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে এখন প্রশ্ন—এই সংঘাত কতদূর গড়াবে?
ডিসিকে/এমজেডএইচ