বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫  |   ২৭ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:৫৬

আগামী ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশকে টাইফয়েড মুক্ত করার লক্ষ্য সরকারের

টাইফয়েড টিকাদান কর্মশালায় চাঁদপুরের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ নুর আলম দ্বীন

কবির হোসেন মিজি
টাইফয়েড টিকাদান কর্মশালায় চাঁদপুরের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ নুর আলম দ্বীন

ছবি ক্যাপশন : চাঁদপুরে টাইফয়েড টিকাদান কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ নুর আলম দ্বীন।

চাঁদপুরে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন ২০২৫ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর ২০২৫) সকালে চাঁদপুর সদর উপজেলা অডিটোরিয়ামে এ কর্মশালার আয়োজন করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চাঁদপুরের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ নূর আলম দ্বীন

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. রফিকুল হাসান ফয়সলের সভাপতিত্বে এবং সদর উপজেলার এমওডিসি ডা. শফিকুর রহমানের সঞ্চালনায় কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার একে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ইলিয়াস হোসেন এবং শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ডা. নাসরিন পারভিন, ডা. রওশবা নাসরিন রুমি ও ডা. বিউটি রাণী সরকার সহ বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও মাদরাসার শিক্ষক, শিক্ষিকাগণ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ নূর আলম দ্বীন বলেন, টাইফয়েড জ্বর থেকে শিশুদের সুরক্ষা দিতে বাংলাদেশ সরকার বিশেষ গুরুত্ব নিয়ে কাজ করছে। আমাদের দেশের বাস্তবতায় এখনো পানিবাহিত রোগের মধ্যে টাইফয়েড অন্যতম। এজন্যেই এ টিকাদান কর্মসূচি অত্যন্ত সময়োপযোগী ও জরুরি।

তিনি আরও বলেন, কোনো স্বাস্থ্য কর্মসূচি একা সফল করা সম্ভব নয়। যেমন টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি— এটি সফল করতে শিক্ষা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন, শিক্ষক সমাজ, অভিভাবকসহ সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। আগামী ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশকে টাইফয়েড মুক্ত করার লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। এজন্যে প্রত্যেককে নিজের দায়িত্ব মনে করে এগিয়ে আসতে হবে।

তিনি জানান, এই কর্মসূচির আওতায় ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী সকল শিশু-কিশোরকে টাইফয়েডের টিকা দেওয়া হবে। এখানে সবচেয়ে বড়ো বিষয় হচ্ছে সচেতনতা। তিনি উল্লেখ করেন, অনেক সময় বিভিন্ন দেশের ভ্যাকসিন নিয়ে ভিত্তিহীন গুজব ছড়ানো হয়। কিন্তু কোনো দেশ বা সরকার জনগণের ক্ষতির জন্যে কোনো ভ্যাকসিন অনুমোদন দেয় না। তাই এ ধরনের গুজবে কান দেওয়ার কোনো কারণ নেই।

ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানো গুজব জাতীয় কর্মসূচির জন্যে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। তাই শিক্ষক সমাজ ও অভিভাবকদের বিশেষভাবে দায়িত্ব নিতে হবে। শিশুদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে বিভ্রান্তিকর তথ্য এড়িয়ে সচেতন ভূমিকা রাখতে হবে।

সিভিল সার্জন বলেন, টাইফয়েড টিকাদান শুধু একটি স্বাস্থ্য কর্মসূচি নয়, এটি জাতির ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুরক্ষিত রাখার একটি বড় পদক্ষেপ। তাই এ কর্মসূচিকে সফল করা আমাদের সবার দায়িত্ব।

ডিসিকে/এমজেডএইচ

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়