রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলকদ ১৪৪৫  |   ২৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   এসএসসি সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ

প্রকাশ : ০৮ মে ২০২৪, ০০:০০

অনলাইন সাংবাদিকতা : প্রেক্ষিত চাঁদপুর

কাদের পলাশ
অনলাইন সাংবাদিকতা : প্রেক্ষিত চাঁদপুর

বাংলাদেশের প্রথম অনলাইন নিউজপোর্টাল বিডিনিউজ২৪.কম প্রতিষ্ঠা হয় ২০০৪ সালে। দেশের প্রখ্যাত সাংবাদিক আলমগির হোসেন বাংলাদেশের মিডিয়া ও সাংবাদিকতায় অনলাইন যুগের সূচনা করেন। অনলাইন সাংবাদিকতার পথিকৃৎ আলমগীর হোসেন-এঁর হাত ধরে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় অনলাইন নিউজপোর্টালটি। তারপর সংবাদ বিনোদন সারাক্ষণ স্লোগান নিয়ে ২০১০ সালের ১ জুলাই বাংলানিউজ যাত্রা শুরু করে। প্রতিষ্ঠাকালে পোর্টালটির প্রধান সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন প্রখ্যাত সাংবাদিক আলমগির হোসেন। সরকারি গণমাধ্যম অর্থাৎ বিটিভি বা বাসস-এর চেয়ে যে কোনো কারণে বেসরকারি অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলোর নিউজের বস্তুনিষ্ঠতাই মানুষ বিশ্বাস করেছে। বর্তমান সময়ে এর ব্যাপকতা ইর্ষণীয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

প্রসঙ্গত, চাঁদপুরে অনলাইনে প্রথম সাংবাদিকতা শুরু করেন বিডিনিউজ২৪.কম-এর চাঁদপুর প্রতিনিধি হিসেবে আলম পলাশ। তিনি বর্তমানে প্রথম আলোর চাঁদপুর প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছেন। অবশ্য নানা কারণে তিনি বিডিনিউজে বেশিদিন কাজ করেননি। এ সুবাদে বিডিনিউজে কাজ করার সুযোগ পান চাঁদপুরের অন্যতম সাংবাদিক নেতা চ্যানেল ২৪-এর প্রতিনিধি আল ইমরান শোভন। অর্থাৎ অনলাইনে সাংবাদিকতায় চাঁদপুরের দ্বিতীয় জন হচ্ছেন আল ইমরান শোভন। যিনি এখনো বিডিনিউজের চাঁদপুর প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। অনলাইন নিউজপোর্টালে কাজ করা তৃতীয় সাংবাদিক চাঁদপুরের জিএম শাহীন। তিনি বসুন্ধরা গ্রুপের বাংলানিউজ-এর চাঁদপুর প্রতিনিধি হিসেবে দুই বছর কাজ করেন। অর্থাৎ অনলাইন সাংবাদিকতায় চাঁদপুরের তৃতীয়জন জিএম শাহীন। যিনি চাঁদপুর টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরাম ও চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। অনলাইন সাংবাদিকতায় চাঁদপুরে কাজ করা চতুর্থ সাংবাদিকের নাম কাদের পলাশ।

অনলাইন সাংবাদিকতা আমার নামটি জুড়ে যাওয়া সৌভাগ্যের বিষয় বটে। ঢাকা শহরে তখন বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে বাংলানিউজ-এর ফেস্টুন ঝুলছে। একবুক স্বপ্ন নিয়ে ওসব পেস্টুনের দিকে তাকিয়ে থাকতাম। আর মনের অজান্তেই এমন প্রতিষ্ঠানে কাজ করার স্বপ্ন উঁকি দিত। ২০১১ সালের মাঝামাঝি সময়ে জানা গেল জিএম শাহিন ভাই বাংলানিউজ ছেড়ে দিয়েছেন। সত্যতা যাচাইয়ে নজর দিলাম বাংলানিউজ-এর ওয়েবসাইটে। সেখানে দেখা গেল চাঁদপুরসহ কয়েকটা জেলায় প্রতিনিধি চেয়ে একটা বিজ্ঞপ্তি ছাপানো হয়েছে। দেরি না করে ইমেইলে সিভি পাঠিয়ে দিলাম। ওই মেইল এড্রেসে নিয়মিত নিউজ পাঠাতে শুরু করলাম। কিন্তু আপলোড অর্থাৎ প্রচার বা প্রকাশ হচ্ছে না। হতাশ হতে থাকলাম। কিন্তু আমি মাঠ ছেড়ে দেয়া মানুষ না। চেষ্টা চলতে থাকলো। অথচ অফিস থেকে কোন রেসপন্স নেই। পরে জানতে পারি ওই মেইলে পাঠানো নিউজ নিউজরুম পর্যন্ত পৌঁছায় না। যে কারণে নিউজের গুরুত্ব বিবেচনার প্রশ্নই আসে না।

২০১২ সালের ২৯ জানুয়ারি। চাঁদপুর হাসান আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে যুবদলের সংঘর্ষের ঘটনায় আবুল ও লিমন ছৈয়াল নামে দুজন মারা যান। ঘটনা সকাল দুপুরের মাঝামাঝি সময়। মৃত আবুল হোসেনের মৃতদেহ মাঠের দক্ষিণ পশ্চিম কোনে পড়ে আছে। আর মুমূর্ষু অবস্থায় লিমন চটপট করছে মাঠের ঠিক মাঝ বরাবর। চারজন পুলিশ লিমনের হাত ও পায়ে ধরে পুলিশ ভ্যানে তুলছে। সে ছবি সে সময় সবগুলো মিডিয়ায় ছাপায়। এসব যখন আমি দেখছি তখন রেডিও টুডে অফিস ফোন দিয়ে ঘটনার বিবরণ জানাচ্ছি।

ফোনটা রাখতেই প্রথমে জিরো টু ঢাকার একটি টিএন্ডটি নম্বর থেকে আমার ফোনে কল। অপর প্রান্ত থেকে জানতে চাইলেন কাদের পলাশ বলছেন? আমি বিনীত স্বরে বললাম, জি বলছি। অপরপ্রান্ত থেকে ভদ্রলোক বললেন, আমি বাংলানিউজের হেড অব নিউজ মাহমুদ মেনন। আমি সালাম দিয়ে কুশল বিনিময় করলাম। তিনি জানতে, চাইলেন চাঁদপুরে কোন ঘটনা আছে কিনা? আমি ততক্ষণে ঘটনাস্থলেই অবস্থান করছি তিনি নিশ্চয় জানতেন না। বিস্তারিত জানালাম তিনি খুব খুশি হলেন। বলেন একটা ভালো ছবি পাঠান। আর কিছু তথ্য আপনি ফোনেই দিয়ে দেন। ছবি পাঠালাম, নিউজ পাঠালাম। চওড়া বুকে স্বপ্ন পূরণে কাছে দাঁড়িয়ে আছি। এমন ভাবনা মনকে শিহরিতো করে তুললো। তারপর থেকে নিউজ পাঠালে গুরুত্ব বিবেচনায় প্রকাশ হচ্ছে। এভাবে দুমাস চলে গেল। নিয়োগ দেয়ার কোনো খবর নেই।

এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে চাঁদপুরের এক সিনিয়র সাংবাদিক বড় ভাইয়ের নিউজ প্রকাশ হলো। আমি তো হতবাক। একটা ছোট্ট বিষয়ের নিউজ। তুলনামূলক কম গুরুত্বের। অর্থাৎ কয়েক মণ জাটকা কিছু কারেন্ট জাল জব্দ করেছে কোস্টগার্ড এমন একটা নিউজ যতদূর মনে পড়ে। নিউজের শেষের নামটা দেখে আমি হতভম্ব। ওই সিনিয়র বড় ভাই সাংবাদিকের সাথে আমার প্রতিযোগিতা যায় না। মনটা খুব খারাপ। তবে কী স্বপ্ন ভঙ্গের শেষ সীমানায় দাঁড়িয়ে? আমি অস্থির হয়ে উঠলাম। সাংবাদিকতায় কারো মনে কষ্ট দিয়ে কাজ করতে চাই না। নিজের সিদ্ধান্ত নিলাম। আর একদিনও কাজ করবো না নিয়োগ না হলে।

ততদিনে বাংলানিউজের অনেকের সাথেই পরিচয়। শিমুল আপা, শামীম হোসেন, আদিত্য আরফাত, জুয়েল মাজহার ন্যাশনাল ডেস্ক ইনচার্জ সাইফুল ইসলামসহ আরো অনেককেই চিনি। অফিসে ফোন করলাম। স্বভাবতই সাইফুল ভাইকেই ফোন করি। আমি বলতে চেষ্টা করলাম, তিনি বিষয়টি জানতেন না। আমি সিনিয়র সাংবাদিকের কাজ করার আগ্রহের কথা তুলে ধরলাম। আমি বুঝাতে চেষ্টা করলাম, যে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন, তিনি সিনিয়র সাংবাদিক। তাঁর সাথে আমার প্রতিযোগিতা যায় না। যদি তাকে নিতে চান নিয়ে নেন। আর না হয় আমাকে নেন।

পরদিন সাইফুল ভাই কথা বললেন আলমগির ভাইয়ের সাথে। আমার নিয়োগ টা কনফার্ম হলো। মেইলে নিয়োগ পত্র পাঠিয়ে দেয়া হলো। সাইফুল ভাইয়ের বদৌলতি আমার চাকরিটা হয়েছে। কারণ তার মতামতের ভিত্তিতেই আমাকে চূড়ান্ত ভাবে মনোনীত করা হয়। শুরু হলো অনলাইন সাংবাদিকতায় পথচলা আনুষ্ঠানিক পথ চলা। এর আগে যা করেছি ফ্রি সার্ভিসের মতো। তারপর ভালোবাসার প্রতিষ্ঠানটিতে তিন বছর কাজ করেছি।

২০১৫ সালের শেষ বা মাঝামাঝি সময়ে আমি চাকরিটা ছেড়ে দিই। ভেবেছি অনলাইনে আর কাজ করবো না। কারণ তখন একাত্তর টেলিভিশন প্রচুর পরিমাণে লাইভ দিতে হয়। কোন ঘটনা ঘটলেই বাংলানিউজকে তথ্য দেওয়াই আমার জন্য কঠিন হয়ে যেত। আমার কাছে মনে হয়েছে, প্রিয় এ প্রতিষ্ঠানটিকে যে কোনোভাবেই আমি না ঠকাই। চাকুরিটা ছেড়ে দিবো এমন কথা জানাই প্রিয় শিমুল আপাকে।

আপা মানলেন না। বললেন, থেকে যান। অন্তত জরুরি নিউজগুলো দিয়েন। বললাম আমি একটি স্কুলে সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগ দিয়েছি। আমার জন্য কাজ করা কঠিন। তিনি মানলেন না। বাধ্য হয়ে প্রিয়জন শামীম হোসেন ভাইয়ের সাথে কথা বললাম। তার কাছে কৌশল জানতে চাইলাম। কারণ আমি কাজ করবোই না। তারপর তিনি বললেন, আপনি একটি অব্যহতিপত্র মেইলে পাঠিয়ে দিন। আর ভালো দেখে কাজ করতে আগ্রহী একজনের সিভি পাঠান। আমি মাসুদ আলম ভাইয়ের সিভি যুক্ত করে অব্যহতিপত্র পাঠিয়ে দিলাম। তারপর থেকে মাসুদ আলম ভাই এখনো ডিস্ট্রিক্ট করেসপনডেন্ট হিসেবে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন।

তখন বাংলা নিউজের প্রচুর চাহিদা এবং অগণিত পাঠক। ৭১ টেলিভিশন যেহেতু লাইভ বেশি করছে সেহেতু এক্ষেত্রে বাংলানিউজকে তথ্য দিয়ে বা নিউজ দেয়া একটু জটিল হয়ে পড়ছে আমার জন্য। তাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত অনলাইনে কাজ করবো না। অনলাইন ছাড়া বেশিদিন থাকতে পারলাম না। নীলসাগর গ্রুপ নামের প্রতিষ্ঠানটি পরিবর্তন ডট কম নামে একটি অনলাইন চালাচ্ছে। আমাকে অফার দেয়া হলো। এক প্রকার ইচ্ছের বিরুদ্ধে কাজ করলাম ২০১৯ সাল পর্যন্ত।

যদিও ২০১১ সালের শেষে দিকে দৈনিক আলোকিত চাঁদপুর পত্রিকাটির অনলাইন ভার্সন চালু করি। কারণ পত্রিকাটির ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছি আমি। এর ফাঁকেই ২০১২ সালের শেষের দিকে চাঁদনিউজ২৪ নামে একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল খুলি আমি। আজকের খবর কাল নয় পড়ুন আজ এখনই এমন শ্লোগানে শুরু করি অনলাইন নিউজপোর্টালটি। বিষয়টি জানতে পেরে চাঁদপুরের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোঃ মহসিন খান অনলাইন নিউজপোর্টালটি তাকে দিয়ে দেয়ার প্রস্তাব দিলেন। যেহেতু মহসীন ভাই আমার প্রিয় মানুষ দিয়ে দিলাম। অনলাইনটির ডোমেইন হোস্টিং এখনো তিনি চালিয়ে রাখছেন। আছে ফেসবুক পেজও। কিন্তু নানা কারণে অনলাইনটি খুব সরব হতে পারলো না। শুনেছি আবার নতুন ভাবে শুরু করবেন তিনি।

এরপর অবশ্য চাঁদপুরে বেশ কিছু অনলাইন নিউজপোর্টাল মাঠে আসে। এখনো সেগুলো সরব রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য- চাঁদপুর টাইমস, প্রিয় চাঁদপুর.কম, নাগরিক বার্তা, ফোকাস মোহনা, পপুলার বিডি, চাঁদপুর পোস্ট, আর কে নিউজ ৭১ কিংবা মেঘনাপোস্টসহ আরো অনেক। এছাড়া আরো অনেকগুলো অনলাইন পোর্টাল কাজ শুরু করে আর ধরে রাখতে পারেনি। এছাড়া অনেকেই ফেসবুক পেজকে টিভি নাম ব্যবহার করে নিউজের মতো প্রচার করছে। সাধারণ মানুষ এসব বোঝার সাধ্য নেই। তারা দেখতে পায় ভিডিও দেখাচ্ছে। সাথে সাথে নিউজ আসছে। এসব নিউজকে কতটা গুরুত্ব দেয় সংশ্লিষ্ট দপ্তর সেটি মানুষ বুঝে না। অথবা বোঝার চেষ্টা করে না। তবে এ দিয়ে অনেকেই তাদের সাংবাদিকতা বাঁচিয়ে রাখছে। মান আর বস্তুনিষ্ঠ বিষয়টি কখনো কখনো উপক্ষিত থাকে।

জানা মতে, ২৪ এপ্রিল ২৪ তারিখ পর্যন্ত চাঁদপুরের কোনো নিউজপোর্টাল সরকার অনুমোদিত নয়। কেউ কেউ এ প্রক্রিয়ায় সামিল হয়েছেন। কিন্তু চূড়ান্ত অনুমোদন এখনো কেউ পায়নি। এ কারণে হয়তো প্রশাসন বা সংশ্লিষ্ট বিভাগের কাছে চাঁদপুরের অনলাইন নিউজপোর্টালগুলো গুরুত্ববহন করে না। অথচ এসব অনলাইন নিউজপোর্টালের বিষয়ে কার্যকর কোনো পদক্ষেপও নেয় না।

টেলিভিশন সাংবাদিকতায় যখন আমি পুরোদস্তুর মনোযোগী ছাত্র। অনলাইন নিউজপোর্টালের একটা জোয়ার বইতে শুরু করলো। অথচ আমার অনীহা আরো তীব্র হতে লাগলো। কারণ অনলাইন নিউজ পোর্টালের ক্ষেত্রে সরকারি কিছু নীতিমালা ছিলো না। যদিও পরে নীতিমালা তৈরি করে তা প্রয়োগ শুর হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রায় ২০০ অনলাইন নিউজ পোর্টাল সরকারি অনুমোদন পেয়েছে। অথচ এরপরেও সারাদেশে অসংখ্য নিউজ পোর্টাল নামে বেনামে চলছে। চাঁদপুরও এর বাইরে নয়। অনেকে তো অনলাইন নিউজ পোর্টাল তো খুলছেই না বরং ফেসবুকের নামেই সাধারণ মানুষের সাথে করছে প্রতারণা। কোন প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নেই একটা ফেসবুক পেজ দিয়েই তারা সাংবাদিকতা টিকিয়ে রাখছে অথবা অপব্যবহার করছে।

আশার বাণী হলো বর্তমান সরকার যেহেতু অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিয়ে নতুন নীতিমালা তৈরি করেছে নিশ্চয়ই এর সর্বোচ্চ প্রয়োগ সহসায় চোখে পড়বে। অন্তত যারা ন্যূনতম প্রক্রিয়া সম্পন্ন না করেই অনলাইন নিউজ পোর্টাল চালাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিবে সরকার। ফেসবুকে কোন নিউজ দেয়া যাবে না এমন বিষয়টিও নজরে আনা প্রয়োজন বলে মনে করছি।সাধারণ মানুষ এখন নিউজ আর ভিউজ তালে-গোবরে পাকিয়ে ফেলছে। মানুষের তথ্য জানার আগ্রহ বা কৌতূহলকে পুঁজি করে একটি শ্রেণি মাঠে উঠেপড়ে লেগেছে। কারণ ফেসবুকধারী অনেকেই নিউজ আর ভিউজ বুঝে না। চমকপ্রদ সুড়সুড়ি দেয়া তথ্য দেয়া হলেই সেটা নিজের টাইমলাইনে শেয়ার করে মানুষ। এক্ষেত্রে কিছু বিধি-নিষেধ সরকারের নেয়া উচিত। যাতে অপসংবাদিকতা বিষ দাঁত উপড়ে ফেলা যায়। অথবা এমন অপচর্চা প্রসারিত হওয়ার সুযোগ না পায়।

লেখক পরিচিতি : সম্পাদক, দৈনিক শপথ। স্টাফ করেসপনডেন্ট, যমুনা টেলিভিশন। স্টাফ রিপোর্টার, দৈনিক খোলা কাগজ। চাঁদপুর প্রতিনিধি, রেডিও টুডে, দি ডেইলি নিউনেশন। সাধারণ সম্পাদক : চাঁদপুর টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরাম।

সাংগঠনিক সম্পাদক : চাঁদপুর প্রেসক্লাব।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়