সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলকদ ১৪৪৫  |   ২৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   এসএসসি সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ

প্রকাশ : ০৯ মার্চ ২০২৪, ০০:০০

নিষ্ঠাবান দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক শওকত হোসেন

প্রতিযোগিতার পূর্ব রাতে স্বপ্নেও বিতর্ক দেখি

অনলাইন ডেস্ক
প্রতিযোগিতার পূর্ব রাতে স্বপ্নেও বিতর্ক দেখি

চাঁদপুর সদর উপজেলাধীন মৈশাদী ইউনিয়নের হামানকর্দ্দি পল্লীমঙ্গল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হচ্ছেন শওকত হোসেন। তিনি এই বিদ্যালয়ের বিতর্ক দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক। তিনি চাঁদপুর বিতর্ক একাডেমির অন্যতম প্রশিক্ষকও। দ্বাদশ পাঞ্জেরী-চাঁদপুর কণ্ঠ বিতর্কে তাঁর দলটি এখন পর্যন্ত অপরাজিত। তিনি শুধু নন, তাঁর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বিতর্ক চর্চায় অনেক আন্তরিক। গত ২ মার্চ তিনি ‘বিতর্কায়নে’র মুখোমুখি হন।

বিতর্কায়ন : বিতর্কে আপনার বিদ্যালয়ের উল্লেখযোগ্য সাফল্য কী কী?

শওকত হোসেন : আমি হামানকর্দ্দি পল্লীমঙ্গল উচ্চ বিদ্যালয়ে যোগদান করি ২০১৪ সালে। তখন আমাদের স্কুলকে পাঞ্জেরী-চাঁদপুর কণ্ঠ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্যে চিঠি দেওয়া হয়নি। তবুও স্কুলে বিতর্ক ক্লাব প্রতিষ্ঠা করে বিতর্ক চর্চা করি। ২০১৭ সালে বিদ্যালয়ে আয়োজন করি বিতর্ক প্রিমিয়ার লীগ। আয়োজনটি ব্য্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। ফাইনালে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয় চাঁদপুর বিতর্ক আন্দোলনের পথিকৃৎ কাজী শাহাদাত মহোদয়কে। ২০১৮ সালে পাঞ্জেরী-চাঁদপুর কণ্ঠ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানানো হয়। এটি প্রথম সফলতা। ২০১৯ সালে উক্ত প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় বারের মতো অংশগ্রহণ করে সেমি-ফাইনালে উত্তীর্ণ হই। ২০২৩ সালে পুষ্টি-প্রথম আলো জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতায় (চাঁদপুর ও লক্ষ্মীপুর) আঞ্চলিক পর্যায়ে রানার্সআপ হওয়ার গৌরব অর্জন করি।

বিতর্কায়ন : আপনি বিতর্ক চর্চায় জড়ালেন কীভাবে? কেন জড়ালেন?

শওকত হোসেন : নিজের ছাত্রজীবনে কোনো বিতর্ক করার সুযোগ পাইনি। তবে শিক্ষক হিসেবে প্রশিক্ষণ গ্রহণকালে প্রথম বিতর্কের সাথে পরিচিত হই এবং বিতর্কে অংশগ্রহণ করে জয়লাভ করি। সেই থেকেই শুরু। এখনও চলছে বিতর্ক চর্চায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করা। বিতর্কের প্রতি কেনো জানি একটা ভালো লাগা কাজ করে। সত্যি কথা বলতে, বিদ্যালয়ের যদি কোনো বিতর্ক প্রতিযোগিতা থাকে তখন রাতে ঘুমের মধ্যে স্বপ্নেও বিতর্ক দেখি। নিজেকে বিতর্ক শ্রমিক হিসেবে পরিচয় দিয়ে বিতর্কে আমৃত্যু থাকতে চাই।

বিতর্কায়ন : ‘যে আসে বিতর্কে সে হারে না’- কথাটিতে আপনার অভিমত কী?

শওকত হোসেন : এই কথাটি একদম সঠিক। বিতর্কে নম্বরের ব্যবধানে হয়তো একটি দল পরাজিত হয়। কিন্তু বিতর্ক এমন একটি শিক্ষা, যা কথা বলতে শিখায়। শুদ্ধ উচ্চারণ করতে শিখায়, নিজের মতকে প্রতিষ্ঠিত করতে শিখায়, অন্যের মতকে শ্রদ্ধা জানাতে শিখায়, তাই যে বিতর্কে আসে, যে হারে না। হয় জিতে না হয় শিখে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়