বাড়ি বাড়ি শাক বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছেন মিছির আলী

চঁাদপুর সদর উপজেলার সেনের দিঘির পাড় এলাকার বাসিন্দা মিছির আলী। প্রতিদিন ভোরের আলো ফোটার আগেই শুরু হয় তার কর্মযজ্ঞ। মাথায় বা কঁাধে ঝুড়ি নিয়ে তিনি বাড়ি বাড়ি ঘুরে বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি বিক্রি করেন। এই শাক বিক্রিই তার একমাত্র পেশা।

মিছির আলী জানান, মৌসুমভেদে তিনি লাল শাক, পুঁই শাক, কলমি শাক, ডাটা শাকসহ বিভিন্ন দেশি শাক বিক্রি করে থাকেন। পাশাপাশি তিনি লাউ, কুমড়া ও অন্যান্য সবজিও মিশিয়ে বিক্রি করেন। এসব শাকসবজি তিনি স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে সংগ্রহ করেন অথবা নিজ উদ্যোগে চাষ করে থাকেন।

প্রতিদিন সকালে বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় ঘুরে শাক বিক্রি করে যা আয় হয়, তা দিয়েই চলে তার সংসার। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির মধ্যেও অল্প লাভে শাক বিক্রি করে তিনি সাধারণ মানুষের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে ভূমিকা রাখছেন।

স্থানীয় এক ক্রেতা নূরে আলম বলেন, “মিছির আলীর শাক সব সময় টাটকা ও দামে সাশ্রয়ী। তাই আমরা তার কাছ থেকেই শাক কিনি।” অভাব-অনটনের মধ্যেও পরিশ্রম ও সততার সঙ্গে জীবন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন মিছির আলী।

তরপুরচণ্ডী ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি অফিসার পারভিন আক্তার জানান, মিছির আলীর মতো তৃণমূল পর্যায়ের শাক বিক্রেতারাই গ্রামীণ জনগণের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে নীরবে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন।