শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর, ২০২৫
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৩৭

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু, শিক্ষক এবং ধারাবাহিক পেশাগত উন্নয়নের মধ্যে সম্পর্ক

রাশেদ আতিক রোজী
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু, শিক্ষক এবং ধারাবাহিক পেশাগত উন্নয়নের মধ্যে সম্পর্ক

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ধারাবাহিক প্রশিক্ষণ শিক্ষকদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস (Confidence) বাড়াতে সাহায্য করে। নতুন জ্ঞান অর্জন ও দক্ষতার উন্নয়ন শিক্ষকতা পেশায় তাদের সফলতা (Success) অর্জনের জন্য অনুপ্রেরণা যোগায়। এছাড়াও তাদের কর্মজীবনে অগ্রগতি ও পেশাগত উৎকর্ষ অর্জনের মাধ্যমে শিক্ষকরা নেতৃত্বদানকারী ভূমিকায় যাওয়ার জন্য বা বিশেষায়িত শিক্ষকের ভূমিকা নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করতে পারেন। অন্যদিকে-প্রতিফলনমূলক অনুশীলন ও প্রশিক্ষণ শিক্ষকদের তাদের বর্তমান শিক্ষণ অনুশীলনগুলি নিয়ে চিন্তা-ভাবনা (Reflection) করতে এবং সেরা কৌশলগুলি গ্রহণ করতে উৎসাহিত করে।

এজন্য প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশুদের শিখাতে হলে প্রত্যেকটা শিক্ষকের ধারাবাহিক পেশাগত উন্নয়ন সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে।

ধারাবাহিক পেশাগত উন্নয়ন (Continuous Professional Development), যা সংক্ষেপে CPD নামে পরিচিত, হলো একজন পেশাজীবীর জন্য তার কর্মজীবন জুড়ে জ্ঞান, দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা অর্জনের এক ক্রমাগত ও সুচিন্তিত প্রক্রিয়া।

এটি কেবল কোনো একটি নির্দিষ্ট প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশগ্রহণ করা নয়, বরং নিজের পেশাগত জীবনে উৎকর্ষ সাধন (Improvement) করার একটি মানসিকতা (Mindset) এবং অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়া। CPD শিক্ষকদের কেবলমাত্র দক্ষতাই বাড়ায় না, বরং তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তোলে এবং শ্রেণিকক্ষে নতুন উদ্যম নিয়ে আসতে সাহায্য করে। এটি নিশ্চিত করে যে একজন শিক্ষক পরিবর্তনশীল বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে শিশুদের বিশ্ব নাগরিক হিসেবে প্রস্তুত করতে সক্ষম। ধারাবাহিক পেশাগত প্রশিক্ষণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বদলে যাওয়া শিক্ষার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে, শিক্ষার গুণগত মান বজায় রাখতে এবং শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ ফলাফল নিশ্চিত করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত শিশু শিক্ষার্থীদের শিখন চাহিদা সময়ের সাথে পরিবর্তিত হয়। একজন শিক্ষককে প্রতিটি শিশুর ব্যক্তিগত ও বিকাশের চাহিদা অনুযায়ী পাঠদানকে উপযোগী করে তুলতে হয়।

প্রতিটি শিশুর বিকাশ এবং শিখন আচরণ বিষয়ে শিক্ষকগণের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করা থাকলে-পাঠদানের জন্য শিক্ষকগণ প্রতিটি শিক্ষার্থীকে ভালোভাবে বুঝতে, এবং তাদের জন্য উপযোগী পাঠ পরিকল্পনা (Tailored Lesson Plans) তৈরি করতে সাহায্য করে।

মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য শিক্ষকদের পেশাগত জ্ঞান ও প্রায়োগিক দক্ষতার উন্নয়ন একান্ত প্রয়োজন। এই গুরু দায়িত্বটি প্রতিটি উপজেলায় “উপজেলা প্রাইমারি ট্রেনিং এডুকেশন সেন্টার” সুন্দর ও পরিকল্পিতভাবে গত কয়েক দশক ধরে করে আসতেছে নিরলস ভাবে।

শিক্ষকের দক্ষতা ও জ্ঞানকে যুগোপযোগী রাখা

সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে শিক্ষাক্রম (Curriculum) এবং পাঠ্যপুস্তক (Textbooks) পরিমার্জন করা হয়। নতুন শিক্ষা নীতি, শেখানোর নতুন পদ্ধতি ও কৌশল, এবং শিশুদের বিকাশ ও শিখন আচরণ সম্পর্কে আধুনিক ধারণাগুলি শিক্ষকদের জানতে ও আয়ত্ত করতে হয়।

নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন: শিক্ষাক্রমে যখন ব্যাপক রূপান্তর ঘটে, তখন তা সফলভাবে প্রয়োগের জন্য শিক্ষকদের নতুন কৌশল ও বিষয়বস্তু সম্পর্কে ধারণা থাকা আবশ্যক।

কার্যকর শিখন-শেখানো কৌশল: প্রশিক্ষণ শিক্ষকদের হাতে-কলমে (Hands-on) শিখন-শেখানোর কার্যকর কৌশল বা শিক্ষণ পদ্ধতি (Pedagogical Methods) প্রয়োগে দক্ষ করে তোলে, যা শিক্ষার্থীদের জন্য আরও অর্থবহ শেখার অভিজ্ঞতা তৈরি করে।

প্রযুক্তির সাথে খাপ খাওয়ানো

শিক্ষাক্ষেত্রে প্রযুক্তির দ্রুত উত্থান (Rapid Rise of Technology) ঘটেছে। ডিজিটাল সরঞ্জাম, অনলাইন প্ল্যাটফর্ম এবং ডিজিটাল সাক্ষরতা (Digital Literacy) সম্পর্কে শিক্ষকদের জ্ঞান অপরিহার্য।

প্রযুক্তিগত দক্ষতা: প্রশিক্ষণ শিক্ষকদের শ্রেণিকক্ষে প্রযুক্তি ব্যবহারে এবং ডিজিটাল মাধ্যমে পাঠদানে সক্ষম করে তোলে। প্রথম যে জিনিসটা সবার আগে চোখে পড়ে শিশুদেরকে “তুই “বলে সম্বোধন করা। যেটা একজন প্রশিক্ষণবিহীন শিক্ষক প্রায় সময়ই করে থাকেন। এজন্যই ধারাবাহিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রতিটা আচরণ একজন শিক্ষককে শাণিত করে প্রতি পদক্ষেপে।

প্রাথমিক বিদ্যালয় বেশিরভাগ শিক্ষককে দেখা যায় শিশুদেরকে “তুই “বলে সম্বোধন করা হয়। যাতে শিশুরা নিজেদেরকে বেশ অসহায় বোধ করে। শিক্ষার্থীরা একটি জাতির ভবিষ্যৎ, তাদের প্রতি আচরণ ও ভাষা হওয়া উচিত সম্মানপূর্ণ ও অনুপ্রেরণামূলক।

‘তুই’ সম্বোধন সাধারণত বন্ধুবান্ধব, সমবয়সী বা পারিবারিক ঘনিষ্ঠতায় ব্যবহৃত হয়। কিন্তু শিক্ষক বা প্রবীণ কারও মুখে এই সম্বোধন শিক্ষার্থীর মর্যাদা ক্ষুণ্ন করতে পারে। শিক্ষার্থীর আত্মসম্মান, মানসিক বিকাশ ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ নষ্ট হয় এমন ব্যবহার থেকে। শিক্ষক হলেন আদর্শ, তাঁর প্রতিটি শব্দ শিক্ষার্থীর মনে ছাপ ফেলে। তাই তাঁর মুখে অমর্যাদাকর সম্বোধন শিক্ষার্থীর মনে আঘাত সৃষ্টি করে। ‘তুই’ শব্দটি অনেক সময় অবজ্ঞা, আদেশ বা তুচ্ছতাবোধের প্রকাশ ঘটায়। যা শিক্ষক-শিক্ষার্থীর পবিত্র সম্পর্কের সেতু ভাঙতে পারে শিক্ষণপ্রক্রিয়া শুধু জ্ঞান দান নয়, তা একটি চরিত্র নির্মাণের শিল্প।

এই শিল্পে ভাষার শুদ্ধতা ও ভদ্রতা অপরিহার্য। তুমি’ বা ‘আপনি’ সম্বোধন শিক্ষকের শালীনতা ও মানবিকতা প্রকাশ করে। এটি শিক্ষার্থীর মধ্যে শ্রদ্ধা, দায়িত্ববোধ ও আত্মবিশ্বাস জাগায়। ভদ্র ভাষা ব্যবহারে শ্রেণিকক্ষের পরিবেশ হয় আনন্দময় ও মনোযোগী।

অশোভন বা কর্তৃত্বমূলক ভাষা শিক্ষার্থীর মনে দূরত্ব সৃষ্টি করে। শিক্ষক যদি সৌজন্যমূলক ভাষায় কথা বলেন, শিক্ষার্থীরাও তা অনুসরণ করে। ভাষা হলো সংস্কৃতির প্রতিফলন; তাই শিষ্টাচারপূর্ণ ভাষা জাতিকে মহৎ করে। শিক্ষার্থীর প্রতি ‘তুই’ সম্বোধন মানবিকতার মানদণ্ডে শোভন নয়। এটি শিক্ষকের সম্মানও কমিয়ে দিতে পারে শিক্ষার্থীর চোখে। নেতৃত্ব ও প্রভাব গড়তে হলে, ভাষায় থাকতে হবে সৌজন্য ও মমতা। শিক্ষক-শিক্ষার্থী সম্পর্ক হোক পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় পূর্ণ। তুই’ নয়, ‘তুমি’ বা ‘আপনি’ সম্বোধনেই ফুটে উঠুক শিক্ষকের শিক্ষিত মনন। যে শিক্ষক শিক্ষার্থীর মর্যাদা রক্ষা করেন, তিনিই প্রকৃত শিক্ষাদাতা।

শ্রেণিকক্ষে প্রতিটি শব্দ শিক্ষার্থীর নৈতিকতার ভিত্তি নির্মাণ করে।

তাই অমার্জিত সম্বোধনের পরিবর্তে ব্যবহার হোক ভদ্র ও ইতিবাচক ভাষা। শিক্ষা শুধু বইয়ের নয়, এটি আচরণ ও সংস্কৃতির শিক্ষা।

শিক্ষার্থীর প্রতি সম্মান দেখানো মানে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সম্মান জানানো। ভালোবাসা ও সম্মান দিয়েই গড়ে ওঠে সুশৃঙ্খল ও মানবিক সমাজ।

তাই শিক্ষক সমাজকে ভাষার ব্যবহারেও হতে হবে আদর্শ।

‘তুই’ নয়Ñ‘তুমি’, ‘আপনি’ কিংবা নাম ধরে স্নেহের ডাকই শোভন ও মর্যাদাপূর্ণ।

এতে সম্পর্ক থাকে সুমধুর, শৃঙ্খলা থাকে দৃঢ়। শিক্ষকের দায়িত্ব কেবল জ্ঞান দেওয়া নয়, বরং মানবিকতার প্রদীপ জ্বালানো।

সেই আলোয় ফুটুক ভাষার সৌন্দর্য, সম্মান আর মানবিকতা।

শিক্ষার্থীর মর্যাদা রক্ষা করলেই শিক্ষা হবে সত্যিকার অর্থে মহৎ।

তাইÑশিক্ষার্থীদের ‘তুই’ সম্বোধন অশোভন ও অনৈতিক,

আর ভদ্র সম্বোধনই একজন শিক্ষকের নৈতিকতার প্রতিচ্ছবি।

এজন্য নতুন কারিকুলাম, নতুন পাঠ্যপুস্তক, শিশুর সাথে শিক্ষকের আচরণ, শিশু মনোবিজ্ঞান সম্পর্কে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা জানা ও প্রয়োগ করা -এগুলোর জন্য ধারাবাহিক পেশাগত উন্নয়ন প্রশিক্ষণের কোনো বিকল্প নেই, আমরা কল্পনাও করতে পারি না।

নতুন শিক্ষাক্রম (কারিকুলাম) সম্পর্কে না জেনে পাঠদান করলে এর ফলাফল বহুলাংশে নেতিবাচক হয় এবং তা শিক্ষক ও শিক্ষার্থী উভয়ের জন্যই ক্ষতিকর হতে পারে। এর প্রধান প্রভাবগুলো নিচে তুলে ধরা হলো :

* পাঠদানে প্রধান নেতিবাচক প্রভাবসমূহ

১. শিখন-শেখানো প্রক্রিয়ায় অকার্যকারিতা

নতুন শিক্ষাক্রমের সবচেয়ে বড় পরিবর্তন হলো শিখন পদ্ধতি (Pedagogy)। এই কারিকুলাম মুখস্থ-নির্ভরতার পরিবর্তে অভিজ্ঞতাভিত্তিক শিখন (Experiential Learning), দলগত কাজ (Group Work) এবং সমস্যা সমাধান-এর ওপর জোর দেয়।

* জ্ঞানগত ক্ষতি: শিক্ষক নতুন কৌশলগুলি (যেমন: অনুসন্ধানমূলক শিখন) সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে পারেন না। ফলে পাঠদান আবার পুরোনো, একঘেয়ে এবং শিক্ষক-কেন্দ্রিক পদ্ধতিতে ফিরে যায়।

* শিক্ষার্থীর নিষ্ক্রিয়তা: শিক্ষার্থীরা শুধু শিক্ষকের কথা শুনে যায়, কিন্তু হাতে-কলমে কাজ করার বা প্রশ্ন করার সুযোগ পায় না। এতে তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা (Critical Thinking) বাধাগ্রস্ত হয়।

২. মূল্যায়নে ত্রুটি (Flawed Assessment)

নতুন কারিকুলামে ধারাবাহিক মূল্যায়ন (Continuous Assessment) এবং শিক্ষার্থীর পারদর্শিতার মাত্রা (চবৎভড়ৎসধহপব ওহফরপধঃড়ৎ) যাচাই করা হয়। শিক্ষক কারিকুলাম না জানলে:

* অসঠিক মূল্যায়ন: শিক্ষক গতানুগতিকভাবে শুধু পরীক্ষা বা মুখস্থ বিদ্যার ভিত্তিতে মূল্যায়ন করেন। ফলে শিক্ষার্থীর আচরণগত, সামাজিক এবং হাতে-কলমে অর্জিত দক্ষতা সঠিকভাবে প্রতিফলিত হয় না।

* শিক্ষকের অনিশ্চয়তা: শিক্ষক বুঝতে পারেন না যে কোন মানদণ্ডে এবং কোন উপায়ে শিক্ষার্থীর অগ্রগতি বা ঘাটতি নির্ণয় করতে হবে।

৩. শিক্ষার লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থতা

নতুন শিক্ষাক্রমের লক্ষ্য হলো শিক্ষার্থীদের একুশ শতকের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতাগুলো (যোগাযোগ, সহযোগিতা, সৃজনশীলতা) অর্জন করানো।

* দক্ষতার ঘাটতি: শিক্ষক যদি কারিকুলামের উদ্দেশ্য না জানেন, তবে তিনি কেবল বইয়ের বিষয়বস্তু শেষ করার দিকে মনোযোগ দেন, কিন্তু শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও মূল্যবোধ বিকাশে ব্যর্থ হন।

* শিক্ষাক্রমের উদ্দেশ্য ব্যাহত: কারিকুলামের মূল দর্শন (যেমন: আনন্দময় শিখন) শ্রেণিকক্ষে বাস্তবায়িত হয় না।

৪. পেশাগত বিচ্ছিন্নতা ও আত্মবিশ্বাসের অভাব

যখন একজন শিক্ষক নতুন পদ্ধতি সম্পর্কে প্রশিক্ষণ বা জ্ঞান অর্জন করেন না, তখন তিনি স্কুলের অন্যান্য শিক্ষক ও শিক্ষাব্যবস্থা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন।

* আত্মবিশ্বাসের অভাব: নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে না পারায় শিক্ষকের পেশাগত আত্মবিশ্বাস কমে যায়।

* নেতিবাচক পরিবেশ: শিক্ষকের অপ্রস্তুতি বা অনিশ্চয়তা দেখে শিক্ষার্থীরাও শিখনে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে।

সংক্ষেপে, নতুন কারিকুলাম না জেনে পাঠদান করা অনেকটা মানচিত্র ছাড়া যাত্রা করার মতোÑগন্তব্যে পৌঁছানো কঠিন, এবং পথের দিশা না জানায় সময়ের অপচয় হয়। একজন শিক্ষকের জন্য ঈচউ-এর মাধ্যমে এই নতুন কারিকুলামের জ্ঞান অর্জন করা তাই অত্যাবশ্যকীয়।

রাশেদ আতিক রোজী : ইন্সট্রাক্টর, উপজেলা প্রাইমারি এডুকেশন ট্রেনিং সেন্টার (ইউপিইটিসি), হাজীগঞ্জ চাঁদপুর।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়