প্রকাশ : ২১ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:১৩
শিক্ষার্থী সাক্ষাৎকার : মাহবুবা আক্তার মিথিলা
আমি একজন আদর্শ নার্স হতে চাই

বাজাপ্তী রমনী মোহন উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির মেধাবী শিক্ষার্থী মাহবুবা আক্তার মিথিলা পড়াশোনার পাশাপাশি বিতর্ক ও ছবি আঁকায় সমান পারদর্শী। সহপাঠীদের মাঝে প্রাণবন্ত উপস্থিতি আর শিক্ষকদের প্রিয় ছাত্রী হিসেবেও সে পরিচিত। ভবিষ্যতে সে একজন আদর্শ নার্স হয়ে মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে চায়।
|আরো খবর
চাঁদপুর কণ্ঠ : কেমন আছেন?
মাহবুবা আক্তার মিথিলা : আলহামদুলিল্লাহ, ভালো আছি।
চাঁদপুর কণ্ঠ : স্কুলের প্রথম দিন কেমন কেটেছিল?
মাহবুবা আক্তার মিথিলা : স্কুলের প্রথম দিন বলতে গেলে ভালোই কেটেছে। একটু নার্ভাস ছিলাম, তবে বন্ধুবান্ধব ও শিক্ষকদের আন্তরিক আচরণ আমাকে মুগ্ধ করেছে। তাই দিনটি খুব সুন্দরভাবে কেটেছে।
চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনার প্রিয় শিক্ষক কে? কেন প্রিয়?
মাহবুবা আক্তার মিথিলা : সব শিক্ষকই আমার প্রিয়। তাঁরা প্রত্যেকেই আলাদা দিক থেকে অনুপ্রেরণাদায়ক। তবে সবচেয়ে প্রিয় দুজন শিক্ষক হলেন সৈয়দ স্যার ও পলাশ স্যারÑতারা খুবই বিনয়ী ও মিশুক।
চাঁদপুর কণ্ঠ : সহপাঠক্রমিক কার্যক্রমে আপনি অংশগ্রহণ করেন কি?
মাহবুবা আক্তার মিথিলা : জি, আমি বিতর্কে অংশগ্রহণ করি। কারণ বিতর্ক জ্ঞানকে প্রসারিত করে এবং যুক্তিভিত্তিক চিন্তা গড়ে তোলে।
চাঁদপুর কণ্ঠ : এ প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে কিছু বলুন।
মাহবুবা আক্তার মিথিলা : আমাদের বিদ্যালয়টি সত্যিই অনন্য। এখানকার শিক্ষকরা খুব বন্ধুসুলভ, নিয়মশৃঙ্খলা প্রশংসনীয়। প্রতি বছর বিদ্যালয়টি নানা ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করে আসছে।
চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনি এ প্রতিষ্ঠানের প্রধান হলে বিশেষ যে তিনটি কাজ করতেন?
মাহবুবা আক্তার মিথিলা : প্রথমত শিক্ষাব্যবস্থায় কিছু নতুনত্ব আনতাম, দ্বিতীয়ত গরিব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে পড়ার সুযোগ দিতাম, আর তৃতীয়তÑপড়াশোনার পাশাপাশি সবাইকে ব্যবহারিক দক্ষতা অর্জনে উৎসাহিত করতাম।
চাঁদপুর কণ্ঠ : সহপাঠীদের সম্পর্কে কিছু বলুন।
মাহবুবা আক্তার মিথিলা : আমার সহপাঠীরা খুবই প্রাণবন্ত ও হাসিখুশি। তারা সবসময় পাশে থাকে, মন খারাপ থাকলে হাসিয়ে রাখে। তাদের সঙ্গে সময় কাটানো দারুণ লাগে।
চাঁদপুর কণ্ঠ : স্কুলজীবনের একটি স্মরণীয় ঘটনা বলুন।
মাহবুবা আক্তার মিথিলা : একদিন ক্লাসে জুতা খুলে বাইরে গিয়েছিলাম। ফিরে এসে দেখি জুতা নেই! সবাই বলল জানে না। পরে ছুটির সময় দেখি বন্ধুরা আমার জুতা নিয়ে খেলছিল। তখন ভীষণ রাগ হয়েছিল, কিন্তু পরে ওরা এমনভাবে শান্ত করল যে রাগ ভুলে হেসে ফেলি। এখন মনে হলে মজাই লাগে।
চাঁদপুর কণ্ঠ : পড়াশোনা শেষ করে কী হতে চান?
মাহবুবা আক্তার মিথিলা : আমি একজন আদর্শ নার্স হতে চাই। ছোটবেলা থেকেই নার্সিংয়ের প্রতি আগ্রহ ছিল। মানুষের সেবা করাই আমার লক্ষ্য।
চাঁদপুর কণ্ঠ : অবসর সময়ে কী করেন?
মাহবুবা আক্তার মিথিলা : অবসর সময়ে প্রকৃতির সঙ্গে সময় কাটাই, ছবি আঁকি, গান শুনি, খেলাধুলা করি, আর নতুন কিছু শেখার চেষ্টা করি।