রবিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৫
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   শ্রীমঙ্গল থেকে অপহৃত কিশোরী রীমাকে সিলেটে মাসির বাসা থেকে উদ্ধার
  •   পরকীয়ার জেরে ঘুমন্ত স্বামীর ওপর স্ত্রীর এসিড নিক্ষেপ
  •   ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর অভিযানে ইয়াবা সহ ১ জন গ্রেফতার
  •   রহমতপুর কলোনীতে গ্রীল কেটে দুর্ধর্ষ চুরি
  •   আজ সন্ধ্যায় বিএনপির ৫ মনোনয়ন প্রত্যাাশী গুলশানে যাচ্ছেন মতবিনিময়ে

প্রকাশ : ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১১:০২

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য

৫ বছরে কার্ডের লেনদেন বেড়েছে তিন গুণ

অনলাইন ডেস্ক
৫ বছরে কার্ডের লেনদেন বেড়েছে তিন গুণ

দেশে কার্ডভিত্তিক লেনদেন বাড়ছে। গত পাঁচ বছরে দেশে নতুন কার্ডের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় আড়াই গুণ। এ সময়ে কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন বেড়েছে তিন গুণের বেশি। কার্ডের ব্যাংকের প্রকাশিত সর্বশেষ জুলাই মাসের প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে ক্রেডিট, ডেবিট ও প্রিপেইড কার্ডের ব্যবহার, লেনদেনের প্রবণতা ও বিভিন্ন খাতে ব্যয়ের ধরনের চিত্র তুলে ধরা হয়। বর্তমানে দেশের ৫৬টি ব্যাংক ও একটি ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফসি) কার্ড সেবা দিয়ে থাকে। এর মধ্যে ৪৮টি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড, দ্বৈত মুদ্রার ডেবিট কার্ড ও প্রিপেইড কার্ড সেবা দেয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২০ সালের আগস্ট শেষে দেশে ডেবিট, ক্রেডিট ও প্রিপেইড কার্ডের সংখ্যা ছিল প্রায় ২ কোটি ২২ লাখ। ২০২৫ সালের জুলাই শেষে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫ কোটি ৬৯ লাখ। অর্থাৎ মাত্র পাঁচ বছরে কার্ডের সংখ্যা বেড়েছে ১৫৬ শতাংশ বা আড়াই গুণের বেশি। দেশে সর্বাধিক প্রচলিত তিন ধরনের কার্ডের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ডেবিট কার্ডের সংখ্যা।

পাঁচ বছরে ডেবিট কার্ডের সংখ্যা দ্বিগুণের বেশি (১২০ শতাংশ) বেড়েছে। সেই তুলনায় ক্রেডিট কার্ডের বৃদ্ধি কম, ৯৪ শতাংশ। সর্বশেষ পাঁচ বছরে কার্ডের মাধ্যমে লেনদেনও ২৩২ শতাংশ বেড়েছে। ২০২০ সালের আগস্ট মোট কার্ডভিত্তিক লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১৪ হাজার ৩৮৪ কোটি টাকা, যা ২০২৫ সালের জুলাইয়ে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৭ হাজার ৮১৭ কোটি টাকা।

ব্যাংক খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, মূলত বেতন ভাতা, নগদ উত্তোলন ও দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটাতে লেনদেনের ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হলো ডেবিট কার্ড। ক্রেডিট কার্ডের সংখ্যা তুলনামূলক কম হলেও এখনো এটির ব্যবহার শহরকেন্দ্রিক। শহুরে মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত শ্রেণির মধ্যে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার দ্রুত বাড়ছে। অন্যদিকে প্রিপেইড কার্ডের ব্যবহারও উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জুলাই মাসে বিদেশে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে বাংলাদেশিরা ৪৭৯ কোটি টাকা খরচ করেছেন। বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যাংকের ইস্যু করা ক্রেডিট কার্ড দিয়ে বিদেশে সবচেয়ে বেশি খরচ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে। এরপর রয়েছে যুক্তরাজ্য, থাইল্যান্ড, সিংগাপুর, মালয়েশিয়ার অবস্থান। একসময় ক্রেডিট কার্ডে সবচেয়ে বেশি খরচ হতো ভারতে, কিন্তু ভিসা জটিলতায় ভারতে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার কমে যাওয়ায় দেশটি এখন ৬ নম্বরে নেমে এসেছে। আর ব্যাংকগুলোর ইস্যু করা ডেবিট কার্ড বিদেশে বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে যুক্তরাজ্যে। এরপর ব্যবহার হয় যুক্তরাষ্ট্র, আয়ারল্যান্ড, চীন ও ভারতে। প্রিপেইড কার্ডও সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয় যুক্তরাজ্যে।

গত জুলাই মাসে দেশের অভ্যন্তরে বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যাংকের ইস্যু করা ক্রেডিট কার্ড দিয়ে ৩ হাজার ৮৪ কোটি টাকা খরচ করেছেন গ্রাহকেরা। এর মধ্যে বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টাল স্টোরেই লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৫০৮ কোটি টাকা। এছাড়া খুচরা বিক্রয়কেন্দ্র; বিদ্যুৎ, গ্যাসের মতো বিভিন্ন পরিষেবা বিল; ওষুধ ও ফার্মেসি, নগদ উত্তোলন, পরিবহন ও তহবিল স্থানান্তর হিসেবে ক্রেডিট কার্ড থেকে অর্থ লেনদেন হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়