প্রকাশ : ১২ মে ২০২৫, ২৩:২৯
চাঁদপুর সড়ক বিভাগের উদ্যোগ
পুরাণবাজার ব্রিজ ও দোকানঘর-হরিণা রাস্তা সংস্কারে জনমনে স্বস্তি

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের আগে এবং পর থেকে অতিবৃষ্টি ও ভারী যানবাহনের চাপে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত চাঁদপুর পুরাণবাজার ব্রিজ ও দোকানঘর-বহরিয়া-হরিণা এবং রঘনাথপুর ওয়াপদা রাস্তায় খুবই ভঙ্গুর অবস্থা বিরাজমান ছিলো। এতে যান চলাচল ব্যাহত হবার পাশাপাশি যাত্রী সাধারণের পথ চলায় দুর্ভোগ পোহাতে হতো। এই রাস্তার সমস্যা নিয়ে চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের উন্নয়ন সভায় একাধিকবার আলোচনা হয়েছে। অবশেষে উল্লেখিত রাস্তাগুলো দ্রুত সংস্কারের উদ্যোগ নেয় চাঁদপুর সড়ক বিভাগ। ইতোমধ্যে পুরাণবাজার-নতুন বাজার ব্রিজ সংযুক্ত রাস্তার মেরামত কাজও করা হয়। রঘুনাথপুর ওয়াপদা এবং দোকানঘর হতে বহরিয়া-লক্ষ্মীপুর- হরিণা পর্যন্ত রাস্তার ছোট- বড় গর্তগুলো ভরাটসহ জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটির সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে।
দীর্ঘদিনের ভেঙ্গে যাওয়া সড়কগুলো দ্রুত সংস্কার হওয়ায় জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে। যোগাযোগ ব্যবস্থায় দুর্ভোগ লাঘব হওয়ায় জনগণ আনন্দিত।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় থেকে এই রাস্তাগুলোর সমস্যা বিদ্যমান ছিলো। সেগুলো দ্রুত সংস্কার হওয়ায় বর্তমানে এই সড়কগুলো দিয়ে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল করতে পারছে। তবে এই রাস্তার বড়ো ধরনের উন্নয়ন কাজের জন্যে
পিএমপি ম্যাজর অগ্রাধিকার তালিকায় প্রস্তাব প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, দোকানঘর থেকে হরিণা ফেরিঘাট চৌরাস্তা পর্যন্ত চাঁদপুর সদর দক্ষিণ এলাকা ও হাইমচর উপজেলার বাসিন্দাদের জেলা সদরে আসা-যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক এটি। অন্য সড়ক দিয়ে আসার ব্যবস্থা থাকলেও সময় ও অর্থ কম ব্যয় হয় এই সড়কে।
দোকানঘর রামদাসদী এলাকার বাসিন্দা টোটন মজুমদার বলেন, পুরাণবাজার রাস্তা, দোকানঘর থেকে বহরিয়া লক্ষ্মীপুর রাস্তাটির খুবই খারাপ অবস্থা ছিলো। সড়ক বিভাগ অবশেষে চলার মতো সংস্কার করায় আমরা স্বস্তিবোধ করছি। তবে ভারী যানবাহন চলাচল করে সড়কটি উঁচু-নিচু হয়ে আছে। যানবাহন খুবই ধীরগতিতে চলে। রাতের বেলায় আরো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠে সড়কটি। সাময়িক সমস্যা সমাধানে সংস্কার কাজ করা হলেও গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তাটির বড়ো ধরনের উন্নয়ন কাজ করা দরকার।
অপরদিকে পুরাণবাজার লোহারপুল থেকে এমদাদিয়া মাদ্রাসা পর্যন্ত চাঁদপুর পৌরসভার রাস্তাটি যাতায়াতের জন্যে অনুপযোগী হয়ে পড়ে রয়েছে। পৌর কর্তৃপক্ষের এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়া খুবই জরুরি।
এ বিষয়ে সড়ক বিভাগ চাঁদপুর (সড়ক শাখা-২)-এর উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. জসিম উদ্দিন জানান, জনদুর্ভোগ লাঘবে আপাতত আমরা সড়কটির বড়ো ধরনের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষার জন্যে পিএমপি মাইনর থেকে সংস্কার কাজ করছি। এসব রাস্তার জন্যে পিএমপি ম্যাজর অগ্রাধিকার তালিকায় প্রস্তাব প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, রঘুনাথপুর গুচ্ছগ্রাম এলাকা দিয়ে রাস্তার কার্পেটিং হয়েছে। দোকানঘর থেকে বহরিয়া বাজার পর্যন্ত সড়ক সংস্কার কাজ করা হচ্ছে। বরাদ্দ অনুসারে কাজ হচ্ছে।