বুধবার, ০৮ অক্টোবর, ২০২৫  |   ৩০ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ১৩:২৪

চার উপজেলায় মা ইলিশ রক্ষা অভিযান ২০২৫

৪৫ হাজার জেলেকে খাদ্য সহায়তা বিতরণ কার্যক্রম চলছে

অনলাইন ডেস্ক
৪৫ হাজার জেলেকে খাদ্য সহায়তা বিতরণ কার্যক্রম চলছে

চাঁদপুরের মেঘনা-পদ্মা নদীতে বাইশ দিনের অভিযানে মৎস্য আহরণে বিরত থাকা ৪৫ হাজার ৬শ’ ১৫ জেলেকে মানবিক খাদ্য সহায়তা হিসেবে ভিজিএফ-এর আওতায় ২৫ কেজি করে চাল বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

বুধবার (৮ অক্টোবর ২০২৫) সকালে জেলা ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে এসব তথ্য জানাগেছে।

জেলেদের এসব খাদ্য সহায়তা দ্রুত সময়ের মধ্যে সরবরাহ করার জন্যে গত ২৯ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসক মেঘনা উপকূলীয় মতলব উত্তর, মতলব দক্ষিণ, সদর ও হাইমচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর চিঠি দিয়েছেন। ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ৩ অক্টোবরের মধ্যে যাতে নিবন্ধিত জেলেরা খাদ্য সহায়তা পান।

জেলা মৎস্য বিভাগ জানায়, এ বছর জেলেদের হালনাগাদ সংখ্যা হিসেবে পৌর এলাকাসহ ৪৩টি ইউনিয়নের ৪৫ হাজার ৬১৫ জন জেলের জন্যে খাদ্য সহায়তার বরাদ্দ আসে ১১৪০.৩৭৫ মেট্রিক টন চাল। এসব চাল গুদাম থেকে ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত পৌঁছানোর জন্যে দু লাখ ৮৫ হাজার ৯৩টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। টন প্রতি পরিবহন ব্যয় ধরা হয় ২৫০টাকা।

হাইমচর উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা এবিএম আশরাফুল হক বলেন, আমাদের উপজেলায় ১২ হাজার ৩শ’ ৩ পরিবারের মাঝে খুবই সুশৃঙ্খলভাবে খাদ্য সহায়তার চাল বিতরণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো জেলে এই বিষয়ে অভিযোগ করেননি।

সকালে চান্দ্রা ইউনিয়নের জেলেদের মাঝে খাদ্য সহায়তা বিতরণ করা হয়। ওই ইউনিয়নের জেলে সাইফুল ইসলাম বলেন, এবার চাল ওজনে ঠিক পেয়েছি। কারণ দুজন জেলেকে ২৫ কেজি করে ৫০ কেজির বস্তা দেয়া হয়েছে। যার ফলে আলাদা করে ওজন দিতে হয়নি।

একই এলাকার জেলে বাবুল মিজি বলেন, চাল পেয়ে আমাদের উপকার হয়েছে। কারণ ২২ দিন আমাদের বেকার থাকতে হবে। তবে এই সহায়তা আরো বৃদ্ধি করা দরকার।

সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, পূজার বন্ধের কারণে সদরে চাল বিতরণ কার্যক্রম কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। তবে নিবন্ধিত সব জেলের চাল পাওয়ার বিষয়টি আমরা নিশ্চিত করেছি।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র চন্দ বলেন, প্রত্যেক উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে জেলেদের ভিজিএফ চাল বিতরণ করা হয়েছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা এই কাজটি সম্পন্ন করার চেষ্টা করেছি।

মৎস্যবিজ্ঞানী, ইলিশ গবেষক ড. আনিছুর রহমান বলেছেন, অভয়াশ্রমে জেলেদের নিয়ন্ত্রণ করা গেলে মা ইলিশ নির্বিঘ্নে ডিম ছাড়তে পারবে। এতে ১০ শতাংশ ডিমও যদি রক্ষা পায়, তাহলে সফল হবে সরকারের এই কার্যক্রম।

এদিকে নদী তীরবর্তী এলাকা সূত্রে জানা গেছে, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রতিদিনই অগণিত জেলে ইলিশ শিকারে নদীতে যাচ্ছে। খোদ চাঁদপুর শহর এলাকার আশপাশের টিলাবাড়ি, পুরাণবাজার হরিসভা, রনাগোয়াল, বাবুর্চিঘাট, জাফরাবাদ দোকানঘর গুচ্ছ গ্রাম, সাখুয়া, বহরিয়া, লক্ষ্মীপুর গুচ্ছ গ্রাম সংলগ্ন খাল, হরিনা, আখনেরহাট খাল এবং চর এলাকায় যেন ইলিশ ক্রয়-বিক্রয়ের হাট বসছে। নৌ পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃংখলা বাহিনী দায়সারা অভিযান করছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

সন্ধ্যার পর এবং ভোরবেলায় ইলিশের রমরমা অবস্থা সকাল নয়টার আগেই ফুরিয়ে যায়।

এমন কিছু জেলে রয়েছে, তারা সরকারের চালও খাচ্ছে আবার ইলিশ মাছও ধরছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়