মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই, ২০২৫  |   ২৯ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ১৫ জুলাই ২০২৫, ০৩:১১

পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের অবহেলায় প্রাণ গেলো অটোরিকশা চালকের

অনলাইন ডেস্ক
পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের অবহেলায় প্রাণ গেলো অটোরিকশা চালকের

রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি।। লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের অবহেলায় পারভেজ হোসেন (১৯) নামের এক সিএনজি অটোরিকশা চালকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্বজনরা। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ৩নং ভাদুর ইউনিয়নের উত্তরগ্রাম এলাকার মাইঝের বাড়ি সংলগ্ন রাস্তায়।

এলাকাবাসী জানান, সোমবার (১৪ জুলাই ২০২৫) বিকেলে বসত বাড়ির রাস্তার ওপর বিদ্যুতের খোলা তার পেঁচিয়ে কেথুড়ী বাজারের অদূরে উপজেলার ৩নং ভাদুর ইউনিয়নের উওরগ্রাম এলাকার মাইঝের বাড়ির পারভেজ (১৯) নামের এক সিএনজি অটোরিকশা চালকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। দুপুরের খাবার খেতে বাসায় যাওয়ার পথে রাস্তায় পড়ে থাকা পল্লী বিদ্যুতের খোলা তারের সাথে পেঁচিয়ে তার মৃত্যু হয়।

পারভেজ হোসেনের চাচা মনির হোসেন জানান, উত্তরগ্রাম মাইঝের বাড়ি ও রশিদ বেপারীর বাড়ির মধ্যকার পল্লী বিদ্যুতের খোলা তার কোনো এক সময় ছিঁড়ে রাস্তার ওপর পড়ে যায়। আমার বড় ভাইয়ের ছেলে পারভেজ হোসেন হাজীগঞ্জ থেকে গ্যাস নিয়ে বাড়িতে ভাত খেতে আসে। রাস্তার উপর পড়ে থাকা খোলা তারে বিদ্যুতায়িত হয়ে পড়লে আমরা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে ৫বার মোবাইল ফোনে কল করার পর পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম কল রিসিভ করে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে। আমরা তাকে উদ্ধার করে রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বাড়ির লোকজন ও নিহতের বাবা বাবুল মিজি বলেন, পল্লী বিদ্যুতের বর্তমান ও সাবেক ডিজিএমের কাছে মাইঝের বাড়ি ও রশিদ বেপারী বাড়ির মধ্যকার পল্লী বিদ্যুতের খোলা তার সরানোর জন্যে কয়েকবার মৌখিক ও লিখিত আবেদন করেও কোনো সাড়া মিলেনি। বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে অবহেলার কারণে পারভেজের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

এলাকাবাসী ও স্থানীয় বাসিন্দা রবিন পাটোয়ারী বলেন, ২ বছর আগে একই বাড়ির জামাল (৬৫) বাঁশ কাটতে গিয়ে একই তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এছাড়া ২০২৪ সালে খোলা তার ছিঁড়ে মাইঝের বাড়ির পুকুরে পড়লে পুকুরের সব মাছ মরে যায়।

রামগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক আবদুল বারী মৃধা জানান, এ বিষয়ে থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের করেনি কেউ। তবে পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম শাহীন রেজা ফরাজীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি লক্ষ্মীপুরে একটি মিটিং সেরে রামগঞ্জে ফিরছি। ঐ জায়গার তার সরানোর আবেদন সম্পর্কে আমার কিছু জানা নেই। ঘটনার সময় ফোন পেয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়