প্রকাশ : ১৩ জুলাই ২০২৫, ২২:৪৩
১২ দিনে এলো এক বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স

|আরো খবর
চলতি জুলাই মাসের প্রথম ১২ দিনেই প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ১০৭ কোটি (১.০৭ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২১ টাকা হিসাবে)। চলতি মাসের বাকি দিনগুলোতেও এ গতি অব্যাহত থাকলে, জুলাই মাস শেষে রেমিট্যান্স ২৭৬ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
চলতি জুলাই মাসের প্রথম ১২ দিনেই প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ১০৭ কোটি (১.০৭ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২১ টাকা হিসাবে)। চলতি মাসের বাকি দিনগুলোতেও এ গতি অব্যাহত থাকলে, জুলাই মাস শেষে রেমিট্যান্স ২৭৬ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সব শেষ জুন মাসে প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ২৮২ কোটি মার্কিন ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১১ শতাংশ বেশি।সদ্য সদ্যসমাপ্ত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে রেকর্ড প্রবাহ এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্যমতে, ২০২৪-২৫ অর্থবছর শেষে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৩০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ২৭ শতাংশ বেশি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছিল ২৩ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই অংক এক অর্থবছরে দেশে আসা সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স। প্রবাসী আয়ের এমন ধারাবাহিক বৃদ্ধি দেশের অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা ও ডলারের জোগানে স্বস্তি এনে দিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছর শেষে দেশের মোট রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩১ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বৈদেশিক মুদ্রার মজুতের এই অঙ্ক গত দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে ২০২৩ সালের জুনে রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন ডলার ছিল। ২০২৩-২৪ অর্থবছর শেষে মোট রিজার্ভ ছিল ২৬ দশমিক ৭১ বিলিয়ন ডলার।
আর ২০২৪-২৫ অর্থবছর শেষে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবপদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ ২৬ দশমিক ৬৬ বিলিয়ন ডলার। ২০২৩-২৪ অর্থবছর শেষে বিপিএম-৬ ছিল ২১ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন ডলার।
এদিকে, আগামী (২০২৫-২৬) অর্থবছরে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে ৩৪ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে বলে প্রাক্কলন করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের মিডিয়াম টার্ম ম্যাক্রোইকোনমিক পলিসি স্টেটমেন্ট অনুযায়ী, আগামী অর্থবছরে রপ্তানিতে ১০ শতাংশ, আমদানিতে ৮ শতাংশ এবং রেমিট্যান্সে ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে বলে ধারণা করা হয়েছে। সূত্র: ঢাকা পোস্ট