প্রকাশ : ১৯ মে ২০২৫, ২২:০৭
হাজীগঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার নামে গ্রাম পুলিশের সাথে প্রতারণা!

খোদ প্রধান উপদেষ্টার নামে একাধিক গ্রাম পুলিশের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়ে গেছে একটি প্রতারক চক্র। টাকা বিকাশে নেয়া হয়েছে। সোমবার (১৯ মে ২০২৫) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে এসে তারা বিষয়টি বুঝতে পারেন যে, তারা প্রতারণার শিকার হয়েছেন । এদিন দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে দেয়া চাল-ডালসহ খাদ্যসামগ্রী ও নগদ টাকা গ্রহণের উদ্দেশ্যে তারা ইউএনওর কার্যালয়ে আসেন। তবে এখন বিকাশের সেই নম্বরগুলো বন্ধ রয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্তরা জানান।
|আরো খবর
মাত্র দুই হাজার টাকায় রেজিস্ট্রেশনের বিনিময়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুসের পক্ষ থেকে চাল, ডাল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসহ খাদ্যসামগ্রী এবং নগদ টাকা দেয়া হবে বলে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে গ্রাম পুলিশ সদস্যদের।ইউএনও কার্যালয় থেকে এসব খাদ্যসামগ্রী ও নগদ টাকা গ্রহণ করতে হবে। এমন প্রলোভনের শিকার হন গ্রাম পুলিশের একাধিক সদস্য।
হাজীগঞ্জের গ্রাম পুলিশের সদস্য আবু ইউছুফ জানান, একটি ফোন নম্বর থেকে তাকে বলা হয়, ওই নম্বরে ২ হাজার টাকা পাঠালে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে চাল, ডাল ও নগদ ৩ হাজার টাকাসহ মূল্যবান মালামাল দেয়া হবে এবং তা সোমবার ইউএনও অফিস থেকে গ্রহণ করতে হবে। আমি সরল মনে বিশ্বাস করে ওই নম্বরে ২ হাজার টাকা পাঠিয়ে দিই। এভাবে আমাদের ১০ থেকে ১৫ জন গ্রাম পুলিশ টাকা পাঠিয়েছেন। এখন বুঝতে পারলাম, আমরা প্রতারণার শিকার হয়েছি।
গ্রাম পুলিশ সদস্য হারাধন চক্রবর্তী বলেন, একই কথা বলে আমাকেও ফোন দিয়েছে, কিন্তু আমি কোনো টাকা পাঠাইনি। পরে জানতে পেরেছি, আমাদের অনেকে টাকা পাঠিয়েছেন। এখন দেখি ওই ফোন নম্বরগুলো বন্ধ।
উপজেলা জেলা গ্রাম পুলিশের সাধারণ সম্পাদক নিত্যনন্দন সূত্রধর জানান, আমাদের ১০ থেকে ১৫ জন সদস্য প্রতারণার শিকার হয়েছেন। বিষয়টি জানাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়ের কার্যালয়ে এসেছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইবনে আল জায়েদ হোসেন জানান, আজকাল বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে প্রতারক চক্রের সদস্যরা মানুষের কাছ থেকে টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র হাতিয়ে নিচ্ছে। বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যম ও আমাদের আশপাশের লোকজনের মাধ্যমে আমরা অনেকেই জানতে পেরেছি। তিনি সবাইকে সতর্ক ও সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, কেউ এমন ফোন বা ম্যাসেজ পেলে অবশ্যই এর সত্যতা নিশ্চিত করার জন্যে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়, থানা কিংবা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে যোগাযোগ করবেন। এর আগে আমরা সবধরনের লেনদেন থেকে বিরত থাকবো। আর গ্রাম পুলিশের বিষয়টি আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখছি।