শুক্রবার, ০৯ মে, ২০২৫  |   ৩০ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে নেতাকর্মীদের ঢল

প্রকাশ : ০৮ মে ২০২৫, ২২:০৬

শাহরাস্তির কৃষকদের হাতেকলমে কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহারে পার্টনার ফিল্ড স্কুল

শাহরাস্তি ব্যুরো।।
শাহরাস্তির কৃষকদের হাতেকলমে কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহারে পার্টনার ফিল্ড স্কুল
শাহরাস্তি উপজেলায় পার্টনার ফিল্ড কৃষকের স্কুলের একটি দৃশ্য।

শাহরাস্তি উপজেলার টামটা দক্ষিণ ইউনিয়নের উয়ারুক ব্লকে 'প্রোগ্রাম অন এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন, এন্টারপ্রেনরশিপ অ্যান্ড রেজিলিয়েন্স ইন বাংলাদেশ'-এর আওতায় 'পার্টনার ফিল্ড স্কুল-ধান' এর একটি সেশন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত ব্লকের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. মমতাজুজ্জামানের উপস্থাপনায় স্কুলের এ সেশনটি পরিচালিত হয় এবং এ সময় ফ্যাসিলিটেটর হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ইউনুস পাটোয়ারী। প্রশিক্ষক হিসেবে সেশনে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি অফিসার আয়েশা আক্তার এবং কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মো. রেজাউল হাসান।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, চাঁদপুরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আবু তাহের এই পিএফএস সেশনের সার্বিক কার্যক্রম মনিটরিং করেন। সেশন শেষে স্কুলে অংশ নেয়া কৃষক মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, আমি পিএফএস-ধান স্কুলের দশটি সেশনেই অংশগ্রহণ করেছি। স্কুলে অংশগ্রহণ করে আমি আধুনিক উচ্চ ফলনশীল ধান উৎপাদনে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার সম্পর্কে জানতে পেরেছি। মাটি, পরিবেশ এবং আমাদের স্বাস্থ্যের কোনো ক্ষতি না করেও স্বল্প খরচে, স্বল্প সার ও কীটনাশক ব্যবহার করে কীভাবে অধিক ফলন পাওয়া যায় তা জানতে পেরেছি।

উপজেলা কৃষি অফিসার আয়েশা আক্তার জানান, পার্টনার প্রকল্প কর্তৃক আয়োজিত ব্লক পর্যায়ে দশ সেশনভিত্তিক এসব ফিল্ড স্কুলের মাধ্যমে কৃষকদের হাতেকলমে কৃষি প্রযুক্তি বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। এ সময় কৃষকদের কয়েকটি গ্রুপে ভাগ করে মাঠ পর্যায়ে কৃষি প্রযুক্তি চর্চা, রোগ-পোকামাকড়, কীটনাশক ও ফসল চাষাবাদের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে সম্যক ধারণা দেয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, শাহরাস্তি উপজেলায় চলতি অর্থ বছরে মোট দশটি 'পার্টনার ফিল্ড স্কুল' (পিএফএস)-এর কার্যক্রম বাস্তবায়িত হয়েছে।

উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আবু তাহের জানান, পিএফএস-এর মাধ্যমে কৃষকের নিজেদের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে, নতুন প্রযুক্তি গ্রহণের হার বৃদ্ধি পাবে, উৎপাদন খরচ কমবে এবং ফসলের গুণগত মান ও ফলন বৃদ্ধি পাবে, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় সক্ষমতা তৈরি হবে এবং সর্বোপরি নারী ও প্রান্তিক কৃষকদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়