প্রকাশ : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২১:৪৪
মতলবে অমর একুশে বইমেলা
বই পড়ার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শব্দভাণ্ডার সমৃদ্ধ করতে হবে
----অধ্যাপক ড. মোস্তফা জামান

মতলব উত্তর উপজেলার এখলাছপুরে দুইদিনের অমর একুশে বইমেলা সম্পন্ন হয়েছে। এখলাছপুর সেন্টার অব হেলথ ইকোর আয়োজনে দুইদিনব্যাপী অমর একুশ বইমেলার সমাপনী দিন শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ বইমেলার বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন। এ সময় বইমেলার আয়োজক বিশিষ্ট চিকিৎসক ও এখলাছপুর সেন্টার অব হেলথ ইকো’র প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ড. মোস্তফা জামান বিভিন্ন পেশার গণ্যমান্যদের বইমেলার স্টলগুলো ঘুরে দেখান।
সমাপনী দিনে মেলার স্টল পরিদর্শন করেন মতলব উত্তর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিল্লোল চাকমা, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ডা. মেহেদী হাসান নাহিদ, ডা. নাহিদ সরকার, ডা. সোহেল রানা, চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি মতলব উত্তরের এজিএম রায়হানুল ইসলাম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) আশরাফুল আলম, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মতিউর রহমান চৌধুরী, বাংলাদেশ আর্কাইভ সোসাইটির তালিকাভুক্ত গবেষক ও সহকারী অধ্যাপক কামরুজ্জামান শিকদার, সহকারী অধ্যাপক ও কবি খোরশেদ আলম নয়ন, নাউরি আহমদীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্য একেএম তাজুল ইসলাম, এখলাছপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান, দশানী মোহনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) শাহজাহান, উপজেলা স্কাউটের সম্পাদক আক্তার হোসেন, সমাজকর্মী গোলাম রসুল প্রমুখ। বিভিন্ন বয়সের শিক্ষার্থী ও তরুণরাও এই বইমেলায় আসে এবং বইমেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন।
আয়োজক অধ্যাপক ডা. মোস্তফা জামান বলেন, বই পড়ার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শব্দভাণ্ডার সমৃদ্ধ করতে হবে। শিক্ষার্থীরা দিন দিন মোবাইলে আসক্ত হয়ে যাচ্ছে। তাই তাদেরকে বইপড়ামুখি করা খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে। গ্রামের শিক্ষার্থীরা যেনো পিছিয়ে না থাকে সে কারণেই এখানে বইমেলার আয়োজন করে আসছি। তিনি আরো বলেন, শুধু শিক্ষার্থীদের নয় সমাজের শিক্ষিত সকল পেশার মানুষদেরকেই বইমেলার প্রতি উৎসাহিত করতে হবে। মতলবের এখলাছপুর এলাকায় কয়েক বছর যাবত আমি বইমেলার আয়োজন করে আসছি। এই বইমেলার প্রতি স্থানীয়দের উৎসাহ দিন দিন বাড়ছে। তাদের উৎসাহ এভাবে বাড়তে থাকলে মেলার পরিসর আমরা অবশ্যই আরো বৃদ্ধি করবো।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিল্লোল চাকমা বলেন, উপজেলা পর্যায়ের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে এ ধরনের বইমেলার আয়োজন সত্যিই চিন্তার বাইরে। তারপরেও আমাদের এই চিন্তাকে ছাপিয়ে যিনি এখানেই বইমেলার আয়োজন করে আসছেন তিনি সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখেন। গ্রামের ছাত্র ও তরুণ সমাজকে বইপড়ার প্রতি উৎসাহিত করতে এ ধরনের বইমেলা অবশ্যই যথেষ্ট সহায়ক বলে আমি মনে করি।
এখলাছপুর সেন্টার অব হেলথ ইকো হাসপাতাল চত্বরে আয়োজিত বইমেলায় ১৫টি স্টলে বিখ্যাত লেখকদের লেখা বই স্টলগুলোতে রাখা হয়। স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ও বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা দুদিনব্যাপী বই মেলায় বিচরণ করে এবং প্রিয় লেখকের বই কিনে। এই দৃশ্য দুইদিনের বইমেলার সমাপনী দিনে আগত বিভিন্ন পেশার গণ্যমান্যদের মুগ্ধ করেছে।