প্রকাশ : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:২৫
ক্রীড়াসহ অনন্য স্বকীয়তায় হাজীগঞ্জ সবুজ সংঘ

হাজীগঞ্জ সবুজ সংঘ। অনন্য এক অরাজনৈতিক আর অলাভজনক সামাজিক সংগঠন। ক্রীড়াসহ সামাজিক কাজ, মানবিক কাজÑকিসে নেই সবুজ সংঘের কর্ম। সবখানে মানবিকতায় সবুজ সংঘ থাকবেই। এ সংগঠনে যারা সদস্য হন বা দায়িত্বে থাকেন, সবার মাঝেই মানবিকতা থাকা বাঞ্ছনীয়। প্রায় ২০০ সদস্যের মধ্যে ১৯ সদস্যের কার্যকরী কমিটির মেয়াদ ২ বছর। বতর্মান কার্যকরী কমিটির সভাপতি খায়রুল কবির আবাদ। তিনি নিজে প্রতিষ্ঠাতা দাতা ও আজীবন সদস্য। সাধারণ সম্পাদক স্থানীয় গাজী বাড়ির গাজী মো. জসিম উদ্দিন।
১৯৬৫ সালে হাজীগঞ্জ বাজারস্থ শহীদ আলী আজ্জম সড়কের পাশে স্টেশন সড়কস্থ রেজিস্ট্রী অফিস সংলগ্ন স্থানে প্রতিষ্ঠা লাভ করে সংগঠনটি। বর্তমানে এ সড়কের পাশে পাশাপাশি দুটি ভবনÑসবুজ সংঘ ভবন ১ ও সবুজ সংঘ ভবন ২। মালিকানা সবুজ সংঘের নিজেরই।
সবুজ সংঘের দপ্তর সম্পাদক ও গণমাধ্যমকর্মী কবির আহমেদ স্বপন জানান, আমাদের প্রতিটি কদমে মানবিকতা নিয়ে কাজ করি। কোথাও কোনো মানুষকে সেবা দেবার মতো আমাদের সাধ্য থাকার মধ্যে হলে আমরা সেখানেই ছুটে যাই। আমরা ঠিক কতো শত মানুষের পাশে দঁাড়িয়েছি, তার কোনো হিসেব নেই।
সবুজ সংঘের সাধারণ সম্পাদক গাজী মো. জসিম উদ্দিন জানান, কোথায় নেই আমরা, মানে সবুজ সংঘের সদস্যরা। যে কোনো দুর্যোগে আর্ত মানবতার সেবায় সবার আগে সবুজ সংঘ। দুঃস্থ ও অসহায়দের সহায়তা প্রদান, যে কারো নিতান্ত প্রয়োজনে আর্থিক সহায়তা, দরিদ্র পরিবারের কন্যা সন্তানদের বিবাহে সহায়তা প্রদান, সরকারি ভাবে বিনামূল্যে বই দেওয়ার আগে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে বই প্রদান, সবুজ সংঘ ভবন ২-এর সামনে মানবতার দেয়াল স্থাপন, পথচারীসহ স্থানীয়দের জন্যে সপ্তাহের ৭ দিনে ২৪ ঘণ্টার জন্যে সুপেয় পানির টেপ স্থাপন, শীতকালীন শীতবস্ত্র বিতরণ, রমজান মাসে দুঃস্থ অসহায়দের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ, বৃক্ষরোপণ, করোনাকালীন সময় করোনাক্রান্ত রোগীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে অক্সিজেন সিলিন্ডার পেঁৗছে দেয়া ও খালি সিলিন্ডার ফিরিযে আনার কাজÑএসব কিছুই করেছে সবুজ সংঘের সদস্যরা। যার কার্যক্রম শুধু হাজীগঞ্জে নয়, সমগ্র চঁাদপুরে চলমান ছিলো।
খেঁাজ নিয়ে জানা যায়, জাতীয় দিবসগুলোতে সবুজ সংঘের খেলাধুলার আয়োজন চোখে লাগার মতো। এর সদস্য পদ পেতে হলে কমপক্ষে ১০ম শ্রেণী আর সর্বোচ্চ কোনো সীমাবদ্ধতা নেই। তবে সদস্য হতে হলে অবশ্যই হাজীগঞ্জ উপজেলার স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে, আর দাতা সদস্য বা আজীবন সদস্যপদের বিষয়টি সবসময় উন্মুক্ত।
খেলাধুলাতে সবুজ সংঘের কমতি নেই। সেই নব্বইয়ের দশক থেকে সবুজ সংঘের খেলাধুলার নামডাক জেলার মধ্যে বিস্তৃত। ১৯৯৩/৯৪ সালে ফুটবলের লীগ খেলায় উপজেলা পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয়ে জেলা লীগে চ্যাম্পিয়ন হয় সবুজ সংঘের নিজস্ব টিম। অভ্যন্তরীণ খেলাধুলার মধ্যে ব্যাডমিন্টন, দাবা, কেরামের নিয়মিত প্রতিযোগিতা চলে। আর সময়-সুযোগ মতে প্রীতি ফুটবলের আয়োজন তো থাকেই।








