মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৫
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ১০:০২

সাক্ষাৎকার : নুরুন্নবী নোমান

এবারেও জেলা প্রশাসক কাপে ফরিদগঞ্জ চ্যাম্পিয়ন হবে

প্রবীর চক্রবর্তী
এবারেও জেলা প্রশাসক কাপে ফরিদগঞ্জ চ্যাম্পিয়ন হবে

সাংবাদিকরা খুব কমই ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়া সংগঠক হয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে চাঁদপুর প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কামরুজ্জামান চৌধুরী (বর্তমানে মরহুম) ছিলেন ব্যতিক্রম। তিনি একাধারে ক্রীড়াবিদ, ক্রীড়া সংগঠক, ক্রীড়া শিক্ষক, ক্রীড়া কর্মকর্তা ছিলেন। তাঁর সমসাময়িক এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া গেলেও জেলা শহরের বাইরে তাঁর মতো অনেকটা খুঁজে পাওয়া গেছে একজনকে। তিনি হচ্ছেন নুরুন্নবী নোমান। তিনি ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক, একটি স্থানীয় পত্রিকার সম্পাদক, জেলা সদর থেকে প্রকাশিত একটি পত্রিকার ফরিদগঞ্জ অফিস প্রধান ও একটি সাড়াজাগানো জাতীয় দৈনিকের ফরিদগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি। সবকিছুর ঊর্ধ্বে যেটি বেশি দৃশ্যমান, সেটি হচ্ছে, তিনি একজন নিবেদিতপ্রাণ ক্রীড়া সংগঠক ও ক্রীড়াপ্রেমী।তিনি ফরিদগঞ্জ উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সহ-সভাপতি ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং বর্তমান এডহক কমিটির সদস্য। চাঁদপুর কণ্ঠের ‘ক্রীড়াকণ্ঠ’ বিভাগ থেকে তাঁর একটি সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হয়, যেটি প্রশ্নোত্তর আকারে নিচে পত্রস্থ করা হলো-

ক্রীড়াকণ্ঠ : সাংবাদিক না ক্রীড়া সংগঠক-কোন্ পরিচয়ে আপনি বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন? কেনো?

নুরুন্নবী নোমান : আমি এবং আমার পরিবারের প্রায় সবাই শিশুকাল থেকেই বরাবরই সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংগঠন ও খেলাধুলার সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম। বিশেষ করে আমি খেলাধুলা বেশি পছন্দ করি এবং করে আসছি। তাছাড়া আমার মরহুম আব্বা শ্রদ্ধেয় কলিম উল্লাহ নিজেই তখনকার সময় কুমিল্লার একজন ক্রীড়া সংগঠক ছিলেন। স্বাভাবিক কারণেই খেলাধুলা আমার রক্ত-মাংসে মিশে আছে।

তাছাড়া, আমি নিজকে কখনো ক্রীড়া সংগঠক দাবি করি না, শুধু ক্ষুদ্র একজন সহায়ক হিসেবে এই জগতে এসে কাজ করছি।

সংবাদকর্মী বা সাংবাদিকতায় পরিবারের শ্রদ্ধেয় বড়োভাই জনাব ফরিদ আহমেদ রিপনের প্রেরণায় এসেছি। ১৯৯৩ সালের শেষের দিকে সাপ্তাহিক রূপসী চাঁদপুর পত্রিকা দিয়ে এই জগতে প্রবেশ। দীর্ঘদিন ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবেরও নেতৃত্বে ছিলাম। তারপরেও নিজেকে সংগঠক দাবি করতে সাহস পাচ্ছি না।

ক্রীড়াকণ্ঠ : আপনি তো নিশ্চয় একসময় খেলোয়াড় ছিলেন। কী কী খেলতেন? না খেলোয়াড় না হয়েও ক্রীড়াপ্রেমী থেকে সংগঠক হয়েছেন?

নুরুন্নবী নোমান : আমি অতো ভালো খেলোয়াড় ছিলাম না। তবে ফুটবল ও ক্রিকেট খেলেছি স্টুডেন্ট লাইফে অনেক। জেলা পর্যায়ে স্কুল ও কলেজ লাইফে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক খেলায় অংশ নিয়েছি। তবে ইনডোর গেমসের মধ্যে টেবিল টেনিস ও ক্যারাম পছন্দ। আমি ফরিদগঞ্জ উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার দায়িত্বে থাকাকালীন বাংলাদেশ অলিম্পিক ও দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক ক্রীড়া বিষয়ে চাঁদপুর ও কুমিল্লায় প্রশিক্ষণ নেয়ার সৌভাগ্য হয়েছে। ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতায় অল্প বয়স থেকে ছোট-বড় অনেক খেলাধুলা এবং বড়ো বড়ো ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করতে পেরেছি স্থানীয় বিশিষ্টজন, ক্রীড়া সংগঠক ও ছোট ভাইদের সহায়তায়। সব মিলিয়ে আমি একজন ক্রীড়াপ্রেমিক।

ক্রীড়াকণ্ঠ : আগের দিনের ক্রীড়াচর্চার সাথে বর্তমান সময়ের ক্রীড়াচর্চার পার্থক্য কোন্ জায়গায়?

নুরুন্নবী নোমান : পূর্বে ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ও ক্রীড়া অধিদপ্তর, ফেডারেশনগুলো জেলা ক্রীড়া অফিস ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার মাধ্যমে খেলাধুলার আয়োজন করতো ও বিভিন্ন ইভেন্টের প্রশিক্ষণ দিতো, তাতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও উন্মুক্ত ছিলো। কিন্তু এখন সেটি বন্ধ বা নেই। যা কিছু হচ্ছে ব্যক্তি বা সংগঠনভিত্তিক। শুধুমাত্র স্কুলভিত্তিক বছরে দু/এক বার খেলাধুলা হচ্ছে।

তারপরেও আমি বলবো, অন্য উপজেলার তুলনায় ফরিদগঞ্জ উপজেলায় ফরিদগঞ্জ ফুটবল একাডেমী, নূতন করে খাজুরিয়া ফুটবল একাডেমী এবং ব্যক্তিগতভাবে এ আরের মাঠে জিয়া, আনোয়ার, সাদ্দাম গিয়াস ও শামীমসহ আমরা ক’জন চেষ্টা করছি আমাদের খেলাধুলার ঐতিহ্য ধরে রাখতে। তবে আমি আশাবাদী খুব অল্প সময়ের মধ্যে ক্রীড়াঙ্গনের হারানো ঐতিহ্য ফিরে আসবে।

ক্রীড়াকণ্ঠ : আগে তো ফরিদগঞ্জ উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। এখন আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। এতে উপজেলার ক্রীড়া উন্নয়নে দায়িত্বপালনের ক্ষেত্রে কি স্বাচ্ছন্দ্যহীনতা বোধ করেন?

নুরুন্নবী নোমান : দেখুন, দেশের রাজনৈতিক দোলাচাল ও বিভিন্ন কারণে সরকারি আয়োজক প্রতিষ্ঠানগুলো রুটিনমাফিক আয়োজন ছাড়া খেলাধুলার মানোন্নয়নে তেমন কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করছে না। ফলে স্থানীয়ভাবে নিজস্ব আয়োজন ছাড়া অন্য আয়োজন বন্ধ।

উপজেলা ক্রীড়া সংস্থাটি সরকারি। অথচ এখানে সরকারি বরাদ্দ নেই বললেই চলে। বছরে সরকার আমার জানামতে দুবার কিছূ খেলাধুলা আয়োজনের জন্যে সর্বোচ্চ ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়। এই টাকা ছাড়া অন্য কোনো বরাদ্দ নেই। আমরা অতীতে ডিসি কাপসহ বিভিন্ন খেলাধুলা আয়োজন করে থাকি স্থানীয় বিশিষ্টজনদের সহযোগিতা ও প্রশাসনের হাত ধরে। ‎যার কারণে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা বড়ো কোনো আয়োজন করতে পারছে না। তবে ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ও ক্রীড়া অধিদপ্তর--সরকারি এই দপ্তরগুলো আরো আর্থিক বরাদ্দ বাড়িয়ে ও ক্রীড়া সামগ্রী দিয়ে ক্রীড়া কার্যক্রম সচল করতে পারে।

ক্রীড়াকণ্ঠ : মোবাইল আসক্তি ক্রীড়াপ্রেমকে গিলে ফেলেছে--মন্তব্য করুন।

নুরুন্নবী নোমান : এই বিষয়টি ভয়ঙ্কর রূপে আমাদের কিশোর ও যুব সমাজকে কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে। আমাদের এই জনগোষ্ঠীর বিশাল একটি অংশ আগের যুগে গৃহস্থালি কাজের সাথে পড়াশোনার পাশাপাশি জমিতে চাষাবাদে সহায়তার পর মাঠে খেলাধুলায় ব্যস্ত থাকতো। আর এখন এই কিশোর-কিশোরী ও যুবসমাজ মোবাইল ফোনে আসক্ত হয়ে পড়েছে। ফলে, এখান থেকে আমরা বের হয়ে আসতে না পারলে সামনে কঠিন পরিস্থিতিতে পড়তে হবে।

আমি আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে বুঝি, মাদক, মোবাইল আসক্তি ও ইভটিজিং থেকে এই সম্প্রদায়কে বাঁচাতে হলে তাদেরকে খেলাধুলার পরিবেশ ও পাড়া-মহল্লায় বেশি বেশি করে ফুটবল, ক্রিকেট, হা-ডু-ডু, কাবাডিসহ নানান ধরনের গ্রামীণ খেলাধুলা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে জাগিয়ে রাখতে হবে। সার কথা, ক্রীড়া, সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চায় ব্যস্ত রাখলে এই আসক্তি দূর হবে।

ক্রীড়াকণ্ঠ : ফরিদগঞ্জ ফুটবলের জন্যে উর্বর এক ক্ষেত্র। অতীতে জেলা প্রশাসক কাপ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হওয়া এবং চলমান জেলা প্রশাসক কাপে দাপুটে খেলা উপহার দিয়ে ফাইনালে উত্তীর্ণ হওয়ার মধ্যে সেটি মনে হয়। কারণ কী?

নুরুন্নবী নোমান : দেখেন, এক সময় আবিদুর রেজা উচ্চ বিদ্যালয় ও ফরিদগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের আমাদের কয়েকজনকে নিয়ে একটি টিম গঠন করে ডিসি কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার তৎকালীন সেক্রেটারী শ্রদ্ধেয় সোলায়মান স্যার (বর্তমানে মরহুম) চাঁদপুর স্টেডিয়ামে যেতেন। তখন আমরা মানে উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা টিম ৫/৬ গোল হজম করে চলে আসতাম। আসলে তখন এসব খেলাধুলায় এতো আয়োজনে সহায়তা করার মানুষজনও ছিলো না। কালের বিবর্তনে আজ ডিসি কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে ফরিদগঞ্জ উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা টিম মানে বাকি সাতটি উপজেলার কাছে জয়/ পরাজয়ের আতঙ্ক।

এটা সম্ভব হয়েছে আমাদের উপজেলার খেলোয়াড়, ক্রীড়া সংগঠক ও সর্বস্তরের মানুষের ফুটবলপ্রেমী মনোভাবের জন্য। বিশেষ করে ২০০৪-২০০৫ সাল থেকে ফুটবলের হারানো ঐতিহ্য ফিরে আসা শুরু করেছে। ডিসি কাপ ফুটবলে যে ঐতিহ্য ছিলো তার প্রমাণ, নব্বইয়ের দশকে ফরিদগঞ্জ উপজেলা দলের জেলা থেকে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি ছিনিয়ে আনার ইতিহাস রয়েছে। তখন উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সেক্রেটারি ছিলেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও পৌর প্রশাসক জনাব সফিকুল ইসলাম পাটোয়ারী।

আলহামদুলিল্লাহ এখন সব মিলে ফুটবলে ফরিদগঞ্জ উপজেলা মোটামুটি ভালো অবস্থানে রয়েছে। এখানে বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক রেজা ও জাতীয় দলের খেলোয়াড় রাফি, ফরিদগঞ্জ ফুটবল একাডেমী, খাজুরিয়া ফুটবল একাডেমীসহ আমাদের ক্রীড়া সংগঠক জিয়া, আনোয়ার, সাদ্দাম, আব্দুল্লাহ, শামীম, গিয়াস আরো অনেকের আন্তরিক প্রচেষ্টায় এবং সার্বিক সহযোগিতায় নূতন নূতন ফুটবলার সৃষ্টি হচ্ছে এবং হবে।

এছাড়াও আমাদের ফুটবলারদের ধারাবাহিক সফলতায় ফরিদগঞ্জ উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা ডিসি কাপ ফুটবলে বেশ ক’বার চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স আপ ট্রফি অর্জন এবং জেলায় প্রথম প্রমীলা ফুটবল দল চ্যাম্পিয়ন ট্রফি ছিনিয়ে আনে ফরিদগঞ্জ। ইনশাআল্লাহ! সব ঠিক থাকলে আমাদের রাহিম, বাবু, তরিকুল, সিদ্দিক, উদয়, পুষ্প, মারুফ, হামীম, সৈকত, সাইমুন, বিল্লাল, অপু, মোশাররফ, ইয়াসিন, রবিউল শাহাদাত, তমালরা তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী পারফরম্যান্স শো করতে পারলে এবারও আমরা অর্থাৎ ফরিদগঞ্জ উপজেলা চ্যাম্পিয়ন হবে।

ক্রীড়াকণ্ঠ : সকল ক্রীড়ায় ফরিদগঞ্জের ক্রীড়াঙ্গনকে চাঙ্গা করতে কী কী পদক্ষেপ নেয়া দরকার বলে আপনি মনে করেন?

নুরুন্নবী নোমান : আমি আগেই বলেছি, ক্রীড়াঙ্গনের সকল অর্গানগুলো সচল ও সঠিক পরিকল্পনা ও তার বাস্তবায়ন থাকলে অবশ্যই ক্রীড়াঙ্গনে প্রাণ ফিরে আসবে।

এছাড়াও পূর্বের মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বাৎসরিক ক্রীড়ানুষ্ঠানসহ ব্যাপক খেলাধুলার আয়োজন ও শিক্ষক, অভিভাবক, ছাত্র-ছাত্রীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ও আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতা থাকলে চাঙ্গা হয়ে যাবে ক্রীড়াঙ্গন।

ক্রীড়াকণ্ঠ : সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার বাইরে কীভাবে ক্রীড়াক্ষেত্রে বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতাকে আকৃষ্ট করা যায় বলে আপনি মনে করেন?

নুরুন্নবী নোমান : দেখুন, জাতীয় পর্যায় ছাড়া মফস্বল এলাকাগুলোতে খেলাধুলা চলেই স্থানীয় ও বিশিষ্টজনদের সহযোগিতায়। সরকারি কোনো সহায়তা বলতে গেলে শূন্যের কোঠায়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যে আয়োজন হয় তাও শিক্ষার্থীদের টাকায় হয়। সেখানে আমার জানা মতে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা নেই। জাতীয় পর্যায়ে এই সংক্রান্ত কোনো আয়োজন করলে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বা বড়ো বড়ো ব্যবসায়ীদের স্পন্সর পাওয়া যায় বা সহজে পায়। কিন্তু উপজেলা বা মফস্বল এলাকায় এই ধরনের সহযোগিতা পাওয়া কঠিন।

তাছাড়া, আপনারা জানেন, স্থানীয় পর্যায়ে যে কোনো বিষয়ে কোনো আয়োজন করতে স্থানীয় বিশিষ্টজনদের পৃষ্ঠপোষকতা ও সার্বিক সহযোগিতা ছাড়া সম্ভব নয়।

পরিচ্ছন্ন, দৃষ্টিনন্দন ও আকর্ষণীয় এবং ব্যাপক জনসমাগম হয় এমন খেলাধুলা ও টুর্নামেন্টের আয়োজন করে বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারলে তারা এগিয়ে আসবে বলে আমার বিশ্বাস।

ক্রীড়াকণ্ঠ : উপরোল্লিখিত প্রশ্নসমূহের জবাবের বাইরে আপনার কোনো বক্তব্য আছে কি?

নুরুন্নবী নোমান : আমার বক্তব্য হচ্ছে : সমাজ থেকে নানা অসংগতি দূর করতে আপনার আমার সন্তানসহ শিশু-কিশোর থেকে সর্বস্তরে প্রজন্মের সর্বপ্রথম নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করা এবং শিশু-কিশোরদের বেশি বেশি করে খেলাধুলায় মনোনিবেশ করাতে হবে। মোবাইল ও মাদকাসক্তি থেকে বের করে আনতে পারে একমাত্র ক্রীড়াশৈলী ও ক্রীড়াচর্চা।

আমি কৃতজ্ঞচিত্তে ধন্যবাদ জানাই আপনার মাধ্যমে জেলার সর্বজন গ্রহণযোগ্য দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ পত্রিকাকে। কারণ এই পত্রিকাটি চাঁদপুরসহ আমাদের এই অঞ্চলের ক্রীড়াঙ্গনকে নিয়ে লেখনির মাধ্যমে অনেক সমৃদ্ধ করতে চমৎকার ভূমিকা পালন করছে। একই সাথে এই পত্রিকার সবার কাছে আমার প্রত্যাশা, তারা আমাদের চাঁদপুরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্রতিভাবানদের তুলে ধরা এবং ক্রীড়াঙ্গনের সমস্যা ও সমাধানের বিষয়ে বেশি বেশি রিপোর্টিং করার মাধ্যমে এই জগৎকে সহযোগিতা করবেন।

উল্লেখ্য, নুরুন্নবী নোমান ফরিদগঞ্জ উপজেলার একজন সফল ক্রীড়া সংগঠক, ক্রীড়াপ্রেমী হিসেবে তাঁর দায়িত্বশীল ও কর্মব্যস্ত আচরণের মধ্য দিয়ে উপজেলা এবং জেলার ক্রীড়াঙ্গনকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার বর্তমান এডহক কমিটির সদস্য তিনি। ইতঃপূর্বে তিনি উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। সম্প্রতি ফরিদগঞ্জে একটি বড়ো ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজনের প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। এই টুর্নামেন্ট আয়োজকদের একজন হিসেবে কাজ করে চলেছেন। এর বাইরেও গণমাধ্যমকর্মী হিসেবে তাঁর যথেষ্ট সুখ্যাতি রয়েছে। ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তিনি প্রেসক্লাবকে উপজেলার গণমাধ্যমকর্মীদের আশ্রয়স্থল হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করেছেন। দৈনিক আমার দেশের ফরিদগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি ও দৈনিক ইলশেপাড়ের অফিস প্রধান হিসেবে কাজ করা ছাড়াও তিনি ফরিদগঞ্জ উপজেলার প্রথম সাপ্তাহিক আলোকিত ফরিদগঞ্জ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়