প্রকাশ : ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৭:০২
২০১৪ সালের ৭ আগস্ট রেললাইন স্থাপনে চাহিদাপত্র মন্ত্রণালয়ে দাখিল করা হয়েছিলো
লক্ষ্মীপুরে রেললাইনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে জামায়াত

লক্ষ্মীপুরে রেললাইন স্থাপনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে জামায়াতে ইসলামী। রোববার (১৯ অক্টোবর ২০২৫) দুপুরে জেলা জামায়াতের ব্যানারে লক্ষ্মীপুর প্রেস ক্লাবে এ আয়োজন করা হয়।
|আরো খবর
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগরী উত্তর জামায়াতের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মাদ রেজাউল করিম বলেন, রেললাইন স্থাপন হলে আঞ্চলিক অর্থনীতিতে গতি আসবে। জেলার কৃষিপণ্য পরিবহন সহজ হবে। শিল্প, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। এখানে অর্থনৈতিক অঞ্চল হওয়ার কথা রয়েছে। এজন্যে সমৃদ্ধ অর্থনৈতিক লক্ষ্মীপুর গড়তে রেললাইন স্থাপনে সরকারের কাছে জোরালো দাবি জানাচ্ছি।
জেলা জামায়াতের আমির এস ইউ এম রুহুল আমিন ভূঁইয়া লিখিত বক্তব্যে বলেন, ১৯৭৩ সালে চৌমুহনী থেকে লক্ষ্মীপুর পর্যন্ত রেললাইন স্থাপনের জন্যে সর্বপ্রথম মাঠ জরিপ পরিচালিত হয়। তখন রেল স্টেশনের জন্যে কয়েকটি সম্ভাব্য স্থান শনাক্ত এবং সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়। পরবর্তীতে ২০১৪ সালের ৭ আগস্ট লক্ষ্মীপুরবাসীর পক্ষ থেকে রেললাইন স্থাপনের জন্যে একটি চাহিদাপত্র মন্ত্রণালয়ে দাখিল করা হয়। তখন তৎকালীন রেলমন্ত্রী রেলওয়ে চট্টগ্রাম পূর্বাঞ্চলীয় জিএমকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশনা প্রদান করেন। কিন্তু আজও এই অঞ্চলের মানুষ রেল যোগাযোগের সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছে।
এ সময় জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি এ আর হাফিজ উল্যাহ, সহকারী সেক্রেটারি নাছির উদ্দিন মাহমুদ, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের জেলা কমিটির সভাপতি মমিন উল্যাহ পাটওয়ারী, লক্ষ্মীপুর শহর জামায়াতের আমির আবুল ফারাহ নিশান ও চন্দ্রগঞ্জ থানা জামায়াতের সেক্রেটারি রেজাউল ইসলাম খান সুমন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
লক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরীরহাট লঞ্চ ও ফেরি ঘাটটি মেঘনা নদী হয়ে নৌপথে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার, সিলেট, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, নরসিংদী, ভোলা, বরিশাল, খুলনা অঞ্চলসহ দেশের প্রায় ২৫টি জেলার সঙ্গে সহজ যোগাযোগমাধ্যম। ২০১৭ সালের ১৪ মার্চ তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মজুচৌধুরীর হাট ঘাটে আধুনিক নৌবন্দর নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। স্থানীয়রা আশাবাদী এখানে নৌবন্দর-রেললাইন স্থাপন হলে লক্ষ্মীপুর অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হবে।