সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলকদ ১৪৪৫  |   ৩৩ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   এসএসসি সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ

প্রকাশ : ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০

শিশু ধর্ষণ হ্রাসে অধিক সতর্কতা প্রয়োজন অভিভাবকদের

অনলাইন ডেস্ক
শিশু ধর্ষণ হ্রাসে অধিক সতর্কতা প্রয়োজন অভিভাবকদের

২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ফরিদগঞ্জে দুই শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। পৃথক দুটি ঘটনায় দুই শিশুর মা বাদী হয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ অভিযুক্ত একজনকে গ্রেপ্তার ও অপরজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে। রূপসা উত্তর ইউনিয়নে বুধবার (২৪ এপ্রিল) ও গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নে (২৩ এপ্রিল) মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, রূপসা উত্তর ইউনিয়নের বদরপুর গ্রামের নানার বাড়িতে সহপাঠীদের সাথে খেলা করছিল ৬ বছর বয়সী শিশু। এ সময় শিশুটির আত্মীয় সম্পর্কে নানা আব্দুল হাই (৬০) সুযোগ পেয়ে শিশুটিকে ধর্ষণ করে। শিশুটির অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে তার মা বিষয়টি বুঝতে পেরে প্রথমে চিকিৎসার জন্যে হাসপাতালে নিয়ে যান। শিশুটির অবস্থার অবনতি হলে স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযুক্তকে আটক করে জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল দিলে ঘটনাস্থল থেকে ফরিদগঞ্জ থানার পুলিশ অভিযুক্তকে আটক ও শিশুটিকে উদ্ধার করে। পরে ওই তিন সন্ধ্যায় শিশুটির মা থানায় মামলা দায়ের করেন। এদিকে গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় চকলেট কিনে দেয়ার লোভ দেখিয়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে হাঁসা গ্রামের আবুল কালাম (৫৫) নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। শিশুটির মা মশার কয়েল কিনতে বাড়ির পাশের একটি দোকানে পাঠায় শিশুটিকে। এ সময় শিশুটির সম্পর্কে চাচা আবুল কালাম সুযোগ বুঝে শিশুটিতে চকলেট কিনে দেয়ার লোভ দেখিয়ে বাড়ির পাশের একটি নির্মাণাধীন ভবনে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে শিশুটি বাড়িতে আসার পর তার চলাফেরা কষ্টকর দেখে তার মা জিজ্ঞাসা করেন। এক পর্যায়ে শিশুটি ঘটনা বর্ণনা করে। পরে শিশুটির মা রাতেই ফরিদগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত আবুল কালাম পলাতক থাকায় তাকে আটক করা যায়নি। এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ সাইদুল ইসলাম বলেন, ধর্ষণের দুটি ঘটনা নিয়মিত মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। একজনকে আটক ও অপরজনকে আটকের চেষ্টা চলছে। ভিকটিমদের ডাক্তারি পরীক্ষার জন্যে জেলা সদরস্থ সরকারি জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

উপরোল্লিখিত সংবাদটি সহ চাঁদপুর কণ্ঠ ও অন্যান্য গণমাধ্যমে প্রকাশিত নানা সংবাদ থেকে শিশু ধর্ষণের ঘটনার যে বিবরণ পাওয়া যায়, তাতে মেয়েশিশুরা বিপথগামী কিশোর-তরুণ ও যুব বয়সী ছেলেদের কাছেতো বটেই, লম্পট চরিত্রের নানা, দাদা, চাচা, খালু তথা বেশি বয়সী পুরুষের কাছেও যে নিরাপদ নয় সেটা ধারণা করতে অসুবিধা হয় না। একইভাবে লেবাসধারী তথা ছদ্মবেশী কিছু ইমাম, মুয়াজ্জিন, মাদ্রাসার শিক্ষকের কাছেও মেয়ে/ছেলে শিশুরা ধর্ষণ, বলাৎকার সহ নানারূপী যৌন নির্যাতনের প্রশ্নে মোটেও নিরাপদ নয়। এ ব্যাপারে পিতা/মাতা সহ বিভিন্ন ধরনের অভিভাবকদের বিরাট একটি অংশ খুবই কম সচেতন। তারা ধর্মের লেবাসধারী সকলকে, বেশি বয়সী আত্মীয়স্বজনকে গড়পরতা কিংবা ঢালাওভাবে বিশ্বাস করে, যে বিশ্বাস থাকে না নিয়ন্ত্রিত। সেজন্যে যখনতখন যেখানেসেখানে শিশুদের যাতায়াত ও অবস্থানে তারা থাকে উদার ও উদাসীন। আর এতেই ঘটে ছোট/বড়ো বিপদ। শিশুদের ধর্ষণ/বলাৎকার পুরোপুরি নির্মূল করা হয়তো বা সম্ভব নয়। তবে অভিভাবকদের তীক্ষè সচেতনতায় অনেকটা হ্রাস করা সম্ভব, যদি তারা স্বীয় সন্তান/পোষ্য কখন কোথায় যায়, কার কাছে যায়, কীভাবে যায়, কতক্ষণ অবস্থান করে সেটা নিয়ে এবং এ সংক্রান্ত ঔচিত্যের পরিমাপ নিয়ে ভাবে ও সচেতন থাকে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়