শনিবার, ১০ মে, ২০২৫  |   ৩৯ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে নেতাকর্মীদের ঢল

প্রকাশ : ০৬ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০

হামলার এমন দুঃসাহসকে প্রশ্রয় দেয়া যাবে না
অনলাইন ডেস্ক

চাঁদপুর সদর উপজেলার তরপুরচণ্ডীতে অবস্থিত জিএম ফজলুল হক উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে একদল দুর্বৃত্তের অনুপ্রবেশ ও প্রধান শিক্ষককে লাঞ্ছনার তাজা স্মৃতি মন থেকে মুছে না যেতেই ফরিদগঞ্জে ঘটলো আরেক ঘটনা। গতকাল চাঁদপুর কণ্ঠে প্রকাশিত হয়েছে সেই ঘটনার সংবাদ। শিরোনাম হয়েছে ‘ফরিদগঞ্জে মাদ্রাসায় ঢুকে হামলার অভিযোগ’। সংবাদটিতে লেখা হয়েছে, ফরিদগঞ্জে মাদ্রাসার বাইরে মাদ্রাসার দপ্তরি এবং পরে মাদ্রাসায় ঢুকে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। ফরিদগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের হর্ণি সৈয়দ তাহেরিয়া দাখিল মাদ্রাসায় গত ৪ অক্টোবর বুধবার এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। জানা যায়, মাদ্রাসাটির কিছু সম্পত্তি নিয়ে আদালতে মামলা রয়েছে। মাদ্রাসার দপ্তরি দেলোয়ার হোসেন জানান, মাদ্রাসার সামনে থাকা একটি সুপারি বাগান থেকে সুপারি পাড়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ৪ অক্টোবর বুধবার সকালে স্থানীয় জনৈক ফজল আহাম্মদের সাথে তার কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তাকে হুমকি ও গালাগাল দেয় ফজল আহাম্মদ এবং লাঞ্ছিতও করেন। এছাড়া মাদ্রাসার সুপার জয়নুল আবেদীনকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও হুমকি দেন। বিষয়টি নিয়ে ফজল আহাম্মদকে মাদ্রাসার অফিস কক্ষে বসিয়ে ঘটনাটি সমাধানের চেষ্টাকালে তার ভাই তছলিম মোল্লা ও তার ছেলে জিহাদ উপস্থিত হন। তারাও হুমকি-ধমকি দেন। এক পর্যায়ে রাকিব, শাওন ও তাহছিন নামে মাদ্রাসার তিন শিক্ষার্থীকে মারধর করেন। পরিস্থিতি খারাপ দেখে মাদ্রাসার সহঃসুপার ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মাদ্রাসার সুপার জয়নুল আবেদিন জানান, হঠাৎ করেই হুমকি, গালাগাল এবং হামলার ঘটনা ঘটে। গত শনিবারও ফজল আহাম্মদ তাকে হুমকি প্রদান করেন। মাদ্রাসা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আজিজুর রহমান জানান, কয়েকদিন পূর্বে ফজল আহাম্মদ মাদ্রাসা সুপারের সাথে খারাপ আচরণ করেন। মাদ্রাসার জমি নিয়ে ফজল আহাম্মদের সাথে আদালতে মামলা থাকলেও তারা মাদ্রাসার জমি নিয়ে ঝামেলা করবে না বলে ইতিপূর্বে অঙ্গীকার করে। কিন্তু তারা আবারো এই কাজ করেছে। ফলে বাধ্য হয়ে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। ফরিদগঞ্জ থানার এসআই ইসামাইল হোসেন ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছেন বলে জানিয়েছেন।

আমরা কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঢুকে শিক্ষক-কর্মচারী কিংবা শিক্ষার্থীকে কারো মারধর করার ঘটনাকে স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে পারছি না। আমরা এমন ঘটনাকে দুর্বৃত্তায়নের দুর্ভাগ্যজনক প্রসার ও দুর্বৃত্তদের সীমাহীন বাড়াবাড়ি বলেই মনে করি। আমরা জায়গা-সংক্রান্ত মামলার কারণে ফরিদগঞ্জে মাদ্রাসায় ঢুকে কোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এই ঘটনায় ফরিদগঞ্জ থানার পক্ষ থেকে শাস্তিপূর্ণ সমাধান প্রত্যাশা করছি। আমরা মনে করি, কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঢুকে কারো হামলা করাটাই দুঃসাহস, যেটিকে কোনোভাবেই প্রশ্রয় দেয়া যাবে না।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়