মেঘনার সকল স্থানে মতলব উত্তরের ন্যায় অভিযান চাই

মতলব উত্তর উপজেলায় মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়ে ৩০০টি চায়না দুয়ারী চাঁই, ১টি বেহুন্দী জাল ও ১টি পাঙ্গাসের পোনার চাঁই জব্দ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন ২০২৫) সকাল ১০টা হতে দুপুর ৩টা পর্যন্ত মেঘনা নদীর বাহাদুরপুর, সুগন্ধি, সটাকী, বাবুরবাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এগুলো জব্দ করা হয়। উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, মৎস্য রক্ষায় এই অভিযান চালানো হয়। এতে জব্দকৃত মৎস্য শিকারের অবৈধ উপকরণগুলো পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার বিজয় কুমার দাস, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড মোহনপুর আউটপোস্টের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার নাসির উদ্দিন, মোহনপুর নৌ পলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক মো. এহসানুল। এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে মৎস্য অফিসার জানান।

মতলব উত্তরে মেঘনা নদীতে জাটকা রক্ষায় মার্চ-এপ্রিল দু মাসের অভয়াশ্রম চলাকালে মৎস্য বিভাগের যে সক্রিয় তৎপরতা দেখা গেছে, সেটা চাঁদপুর সদর ও হাইমচরে দেখা যায় নি। কাগুজে পরিসংখ্যানে এই দুটি উপজেলার তৎপরতা যদি বেশি দেখানো হয়, সেটা ভিন্ন কথা। কিন্তু বাস্তবতা মতলব উত্তরের পক্ষেই। অসাধু জেলেরা যে কখনো বসে থাকে না, সেটা মতলব উত্তরে মৎস্য বিভাগের তৎপরতা দেখেই মনে হয়। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবারের অভিযানই তার সুস্পষ্ট প্রমাণ। এমন অভিযান মেঘনার সকল স্থানেই হওয়া দরকার।

বাহুল্য হলেও বলতে হয়, যারা চাকুরি করেন শুধু বেতন পাওয়ার জন্যে, বাড়তি রোজগারের জন্যে, তাদের কাছ থেকে কখনো দেশ ও জাতি বাড়তি সেবা পায় না। আমাদের বিশ্বাস, মতলব উত্তরের সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা শুধু বেতন পাওয়ার জন্যে চাকুরি করছেন না, দেশের মৎস্য সম্পদ রক্ষার্থে আন্তরিকভাবেই কাজ করছেন। তিনি আর কিছু না হোক, অন্তত অজুহাতপ্রবণ নয়-এটা আন্দাজ করা যায়। আমাদের দেশের অধিকাংশ মৎস্য কর্মকর্তা যে কতোটা অজুহাতপ্রবণ সেটা তাদের সাথে আলোচনা করলেই অনুধাবন করা যায়। আমরা মনে করি, বিজয় কুমার দাসের মতো মৎস্য কর্মকর্তা দেশের সর্বত্র থাকা দরকার, যারা মৎস্য সম্পদ রক্ষার্থে জাটকা ও মা ইলিশ রক্ষার সরকার নির্ধারিত কর্মসূচিতেই কেবল তৎপর থাকবেন না, সারা বছরই সমান তৎপর থাকবেন। মেঘনা, পদ্মা সহ মৎস্যবহুল সকল নদীতে, বিভিন্ন জলাশয়ে সারা বছরই অবৈধভাবে মৎস্য শিকারী জেলেদের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকবেন, প্রয়োজনীয় ও সম্ভাব্য সকল ব্যবস্থাই গ্রহণ করবেন। এতে দেশের মৎস্য সম্পদ রক্ষা পাবে, মাছেভাতে বাঙালির ঐতিহ্য টেকসই হবে।