শুক্রবার, ১৩ জুন, ২০২৫  |  
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ১২ জুন ২০২৫, ১০:৫২

অ্যাড. ফজলুল হক সরকারের মৃত্যুতে শোক

অনলাইন ডেস্ক
অ্যাড. ফজলুল হক সরকারের মৃত্যুতে শোক

চাঁদপুর ল’ কলেজের অধ্যক্ষ, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. ফজলুল হক সরকার বৃহস্পতিবার (৫ জুন ২০২৫) রাত পৌনে দশটায় রাজধানী ঢাকার বারডেম হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকাকালীন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন। তাঁকে চাঁদপুর শহরের পুরাতন বাস টার্মিনাল সংলগ্ন পৌর গোরস্তানে দাফন করা হয়েছে। শুক্রবার (৬ জুন ২০২৫) বাদ জুমা চাঁদপুর শহরের বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন গোর-এ-গরিবা মসজিদ প্রাঙ্গণে মরহুমের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার পূর্বে তাঁকে রাষ্ট্রীয় গার্ড অফ অনার দেওয়া হয়।

অ্যাড. ফজলুল হক সরকারের মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিলো ৭৮ বছর। তিনি ২ ছেলে ও ২ মেয়ে সহ বহু আত্মীয়-স্বজন এবং শুভাকাক্সক্ষী রেখে যান। তিনি ১৯৭৩ সালে চাঁদপুর জেলা আইনজীবী সমিতিতে যোগদান করেন। মৃত্যুর দিন পর্যন্ত তিনি আইনজীবী সমিতির সদস্য ছিলেন। তিনি ন্যাপের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকলেও আওয়ামী লীগে যোগদান করেন ও জেলা সেক্রেটারীর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়নে চাঁদপুর সদর আসন থেকে এমপি পদে নির্বাচন করেন। পরবর্তীতে তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতি ছেড়ে বিরতি দিয়ে মাহমুদুর রহমান মান্নার নাগরিক ঐক্যে যোগদান করেন ও গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। তিনি চাঁদপুর ল’ কলেজের অধ্যক্ষ পদে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত দীর্ঘদিন অধিষ্ঠিত ছিলেন। তিনি বহুবার চাঁদপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি পদে দায়িত্বপালন করেন।

অ্যাড. ফজলুল হক সরকারের জন্মস্থান হাইমচর উপজেলায় হলেও তিনি বসবাস করতেন চাঁদপুর শহরের কোড়ালিয়া এলাকায়। তাঁর বাবার নাম ছিলো মরহুম হাজী পিয়ার আলী সরকার। তিনি দীর্ঘদিন রাজনীতি ও আইন পেশার পাশাপাশি বহুবিধ সমাজসেবামূলক কাজে সুনামের সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি ছিলেন চাঁদপুরের কিংবদন্তিতুল্য সমাজসেবক মরহুম আলহাজ্ব ডা. এম এ গফুর সাহেবের ছোটভাই।

অ্যাডভোকেট ফজলুল হক সরকারের মৃত্যুতে চাঁদপুরের সকল মহলে গভীর শোকের ছায়া নেমে আসে। তিনি চাঁদপুর জেলায় বহুল পরিচিত ব্যক্তিদের অন্যতম ছিলেন। একসময় রাজনীতিতে তিনি দোর্দণ্ড প্রতাপশালী হলেও আওয়ামী লীগের রাজনীতি থেকে সরে আসার পর, বিশেষ করে তাঁর স্ত্রীর অকাল মৃত্যু হলে তাঁকে চাঁদপুর ল’ কলেজের অধ্যক্ষ পদে এবং সামাজিক কর্মকাণ্ডে বেশি মনোযোগী থাকতে দেখা যায়। তাঁর ল’ কলেজ থেকে এলএলবি পাস করা বহু ছাত্র আজ আইন পেশায় সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছেন এবং আইনজীবী সমিতির নেতৃত্বে সমাসীন ছিলেন ও আছেন। তাঁর আন্তরিকতার কারণে চাঁদপুরে আইন শিক্ষার প্রসার হয়েছে এবং অনেক যুবকের কর্মসংস্থান হয়েছে। তিনি তাঁর অগণিত ভক্ত ও বহু শিক্ষার্থীসহ দলমত নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন নিঃসন্দেহে। আমরা তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়