বৃহস্পতিবার, ২২ মে, ২০২৫  |   ২৯ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   ঢাকা থেকে উড্ডয়নের পরপরই তার্কিশ এয়ারলাইন্সের ইঞ্জিনে আগুন

প্রকাশ : ২২ মে ২০২৫, ০৮:৪১

সড়ক সংস্কারের এই বিক্ষোভটি মূল্যায়ন করুন

অনলাইন ডেস্ক
সড়ক সংস্কারের এই বিক্ষোভটি মূল্যায়ন করুন

চাঁদপুর পৌরসভার পুরাণবাজার লোহারপুল-জাফরাবাদ দোকানঘর সড়ক সংস্কারের দাবিতে রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ভুক্তভোগী বিভিন্ন যানবাহনের চালক ও এলাকাবাসী। মঙ্গলবার (২০ মে ২০২৫) দুপুরে বেলা ১২টায় কয়েক শতাধিক সিএনজি চালকসহ এলাকাবাসী সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেন। খবর পেয়ে পুরাণবাজার ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চেষ্টা করে।

জানা যায়, চাঁদপুর পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক হচ্ছে পুরাণবাজার লোহারপুল থেকে দোকানঘর-বহরিয়া-হরিণা ফেরিঘাট, চান্দ্রা চৌরাস্তা ও হাইমচর উপজেলা সড়ক। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় সড়কটির পৌরসভার অংশ বেহাল অবস্থায় রয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন হাইমচর উপজেলায় যাতায়াতকারী হাজার হাজার মানুষসহ চাঁদপুর সদর উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন ও চাঁদপুর শহরের ক’টি এলাকার বাসিন্দা। প্রায় এক কিলোমিটার পৌরসভার এটুকু রাস্তার কারণে এ সড়ক দিয়ে যাতায়াতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় যাত্রী ও চালকদের। এ অঞ্চলের বাসিন্দাদের যাতায়াতের একমাত্র এই সড়কটি কেবল খানাখন্দে ভরা। সড়কের মাঝখানে থাকা বড়ো বড়ো গর্তে পড়ে উল্টে যাচ্ছে সিএনজি, ভ্যানগাড়ি, অটোরিকশাসহ ছোট-বড় অসংখ্য যানবাহন। কিন্তু বিকল্প সড়ক না থাকায় বাধ্য হয়ে ঝুঁকি নিয়েই সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করছে হাজারো মানুষ। জাফরাবাদ এমদাদিয়া মাদ্রাসা এলাকার বাসিন্দা জুয়েল বলেন, সড়কটি সংস্কারের অভাবে লোহারপুল থেকে মক্কা মিল ইছুব কোম্পানির মোড়, পালপাড়া জাফরাবাদ মোড়, আলম খানের বাড়ির সামনে এমদাদিয়া মাদ্রাসা হতে দোকানঘর চৌরাস্তা পর্যন্ত চলাচল খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। ছোট-বড় গর্তের কারণে যাত্রীরা শারীরিকভাবে ঝুঁকিতে রয়েছেন। যদি রাতের বেলায় কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েন তাহলে তাকে হাসপাতালে নিতে কোনো গাড়ি পাওয়া যায় না। বৃষ্টি হলে গর্তগুলো নালায় পরিণত হয়। এই ভাঙ্গা সড়ক দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে অনেক গর্ভবতী নারীর রাস্তায় প্রসব হয়েছে।

এলাকাবাসী জানান, জেলা প্রশাসক ও পৌর প্রশাসকের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনায় লোহারপুল থেকে দোকানঘর সড়ক সংস্কারের দাবিতে সিএনজি অটোরিকশা ও অটোবাইক চালকরা বিক্ষোভ করেন। এ সময় তারা সড়কের মাঝখানে টিনের বেড়া দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় গাছ ফেলে সড়ক বন্ধ করে দেয়। পুরোদিন এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি বন্ধ থাকায় জনগণের চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। এর পূর্বেও এই সড়কটি চালকরা সংস্কারের দাবিতে বন্ধ করে দেওয়ার পর চাঁদপুর পৌর প্রশাসক এক মাসের মধ্যে সড়কের কাজ করার আশ্বাস দেন। তবে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এক মাস পেরিয়ে গেলেও রাস্তার কাজ না করায় তারা পুনরায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এ সময় শত শত অটো ও সিএনজি চালক সড়ক সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ করতে দেখা যায়।

আমরা পুরাণবাজারের লোহারপুল-দোকানঘর সড়ক সংস্কার নিয়ে সৃষ্ট অসন্তোষ এবং সড়কে টিনের বেড়া দিয়ে ও গাছ ফেলে দিনব্যাপী যানবাহন চালকসহ ভুক্তভোগীদের বিক্ষোভ প্রদর্শনকে গতানুগতিক কোনো বিক্ষোভ মনে করছি না। এই বিক্ষোভে দীর্ঘদিনের ভোগান্তিতে চরম অসন্তোষের ব্যাপকতা তুলে ধরা হয়েছে। এটি চাঁদপুর পৌরসভার সাথে সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিকে যেমন আন্তরিকতার সাথে হৃদয়ঙ্গম বা সংবেদনশীলতার সাথে উপলব্ধি করতে হবে, তেমনি জেলার অভিভাবক হিসেবে মাননীয় জেলা প্রশাসককেও করতে হবে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে লেখালেখি, যোগাযোগ সহ সর্বোচ্চ তদবির চালাতে হবে সড়কটির টেকসই সংস্কারে পর্যাপ্ত বরাদ্দ আনতে। কেননা এই সড়কটিতে ঠুনকো সংস্কার, জোড়াতালি মার্কা মেরামত কাজ দেবে না। প্রতিবছর বর্ষা ও বন্যার পানিতে সড়কটি প্লাবিত হয়। এই সড়কটি কার্যত পুনর্নির্মাণ করতে হবে সিসি ঢালাইয়ে। পিচ ঢালাই করলে বর্ষা-বন্যা-জলাবদ্ধতার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হবেই। সেজন্যে ব্যয়বহুল হলেও উন্নত সিসি ঢালাই করতে হবে বলে পর্যবেক্ষক ও অভিজ্ঞজনদের অভিমত।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়