বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৫
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ২২ অক্টোবর ২০২৫, ২১:৫১

রায়পুরে প্রবাসীর বসতবাড়িতে হামলা ভাংচুর লুটপাটের অভিযোগে মামলা

রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি।।
রায়পুরে প্রবাসীর বসতবাড়িতে হামলা ভাংচুর লুটপাটের অভিযোগে মামলা

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে জমি ও ভবন দখল করতে না পেরে বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোনো সময় সংঘর্ষের সম্ভাবনা রয়েছে। এ নিয়ে প্রবাসীর পরিবারের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

ওই বসতবাড়ির মালিক ভুক্তভোগী আহত ফাতেমা বেগম (৫৮) বুধবার (২২ অক্টোবর ২০২৫) লক্ষ্মীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।

অভিযুক্তরা হলো : রায়পুরের দক্ষিণ চরমোহনা গ্রামের ওয়ার্ড ছাত্রলীগ নেতা মাইনুদ্দিন, শহিদ মিজি ও প্রবাস ফেরত মন্তাজ মিয়া, মোশারফ হোসেন, হাসান আলী ও আলী হায়দার।

বুধবার রায়পুরের চরমোহনা ইউনিয়নের দক্ষিণ চরমোহমা গ্রামের ছৈয়াল বাড়ীতে এ হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এ সময় বাধা দিতে আসায় মানিক, নুর হোসেন, সেলিম, স্বর্ণা বেগম, রত্না বেগম ও আমির আলীকে বেধড়ক মারধর করে হামলাকারীরা। পরে ছাত্রলীগ নেতা মাইনুদ্দিনের নেতৃত্বে বিবাদীরা ঘরে থাকা নগদ ৩০ হাজার টাকা, মোবাইল ও ৫ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার লুটে নেয়।

প্রায় এক মাস আগে ফাতেমা বেগমকে আদালতের মাধ্যমে তালাকনামা পাঠায় এবং ভরন পোষণ না দিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করে বলে বাদী অভিযোগ করেন।

মামলার এজাহারে জানা গেছে, ওই বাড়িতে বিগত ১৮ বছর ধরে বসবাস করে আসছিলেন ফাতেমা বেগম ও তার প্রবাসী ছেলে জাকির হোসেন। গত ২৪ বছর ধরে প্রবাস ও বাড়িতে আসা- যাওয়া করে মন্তাজ মিয়া। এরই মাঝে ৩৪ শতাংশ জমি বিক্রি করাকে কেন্দ্র করে পারিবারিক কলহ শুরু হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফাতেমা বেগম, তার দু মেয়ে ও এক জামাতাকে বুধবার সকালে আসামি মাইনুদ্দিন ও মন্তাজ মিয়াসহ ওই বাড়িতে এসে হত্যার হুমকি ও ভয়ভীতি দেখায়। ফাতেমা বেগম প্রতিবাদ করলে দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট করে বিবাদিরা।

অভিযুক্ত মন্তাজ মিয়া বলেছেন, ফাতেমা বেগমকে আমি এক মাস আগেই তালাক দিয়েছি। ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা মিথ্যা।

আমিও ফাতেমাসহ কয়েজনের বিরুদ্ধে লক্ষ্মীপুর আদালতে দুটি মামলা করেছি।

রায়পুর থানার ওসি নিজাম উদ্দিন ভুইয়া বলেন, ৯৯৯ এর মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ২০-২৫ মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে যায়। এ বিষয়ে থানায় মামলা হয়নি। শুনেছি দু পক্ষই আদালতে পৃথক চারটি মামলা করেছেন। আদালত থেকে আসামিদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট আসলে দ্রুত গ্রেফতার করা হবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়