বৃহস্পতিবার, ১৫ মে, ২০২৫  |   ২৮ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে নেতাকর্মীদের ঢল

প্রকাশ : ১৫ মে ২০২৫, ০৯:০৩

ফেসবুক থেকে ৩টি পদ্ধতিতে আপনি টাকা আয় করতে পারবেন

আহমাদ স্বাধীন
ফেসবুক থেকে ৩টি পদ্ধতিতে আপনি টাকা আয় করতে পারবেন

বর্তমানে ফেসবুক কিছু কিছু মানুষের আয়ের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে সৃষ্টি হয়েছে। তবে কীভাবে এই আয়গুলো করা যায় আজ আমরা সেই বিষয়ে আলোচনা করবো। ফেসবুক থেকে ৩টা পদ্ধতিতে আপনি টাকা আয় করতে পারবেন। যেমন :

১. বাটপারি করে।

২. বিজনেস করে।

৩. কন্টেন্ট তৈরি করে।

এক নাম্বার পদ্ধতি তাদের জন্যে, যারা শর্টকাট খোঁজে। যাদের মধ্যে নূন্যতম ব্যক্তিত্ব নেই৷ যারা মানুষের হক্ব নষ্ট করে মানুষ ঠকিয়ে আয় করতে পছন্দ করে। এটা অনেকটা চুরি-ডাকাতি করার মতো৷

যেমন, একাউন্ট হ্যাক করে ব্লাকমেইল করে আয় করা। পেইজ বা বিভিন্ন গ্রুপের মাধ্যমে পণ্যের প্রচারণা করে টাকা হাতিয়ে নিয়ে লো কোয়ালিটি পণ্য দেয়া কিংবা গায়েব হয়ে যাওয়া। নিজের মিথ্যে বিপদ সাজিয়ে বন্ধুদেরকে বোকা বানিয়ে সহযোগিতা চাওয়ার মাধ্যমে প্রতারণা করা। এরকম অনেক ভাবেই এই বাটপারি পদ্ধতি প্রয়োগ করে থাকেন বাটপারগণ।

দুই নাম্বার পদ্ধতি হচ্ছে সহি শুদ্ধ মানসিকতা নিয়ে, কোয়ালিটিফুল প্রোডাক্টের বিজনেস করা। এক্ষেত্রে প্রচুর মেধা শ্রম ও সময়, সর্বোপরি ধৈর্য লাগবে। ফেসবুকে বিজনেস করে অসংখ্য উদ্যোক্তা তাদের জীবন জীবিকায় পরিবর্তন এনেছেন--এ রকম নজির আছে।

শুধু সঠিক নিয়ম মেনে ক্রেতার সাথে সম্পর্ক তৈরি করে ধৈর্য নিয়ে কাজ করতে হবে। তাহলে এই পদ্ধতি বিফল হবার সম্ভাবনা খুব কম।

তিন নাম্বার, মানে সর্বশেষ পদ্ধতি হচ্ছে কন্টেন ক্রিয়েট করে টাকা আয় করা। এই পদ্ধতিতে ইনকাম করতে হলে অবশ্যই আপনাকে প্রচুর সময় দিতে হবে। ভালো ভালো কন্টেন তৈরি করে পোস্ট করতে হবে৷ সেটা লেখা, ছবি, রিলস্, ভিডিও এবং লাইভ সহ। এসব কন্টেন্ট অবশ্যই অরিজিনাল হতে হবে৷ মানে কোনো কপি বা কারো থেকে নিয়ে নয়।

এই পদ্ধতিতে আপনার একটা অরিজিনিয়াল একাউন্ট থাকা জরুরি। তারপর মনিটাইজেশনের নিয়ম অনুযায়ী সাপ্তাহিক চ্যালেঞ্জ ফিলাপ করতে হবে। যেটা আপনার বন্ধু, ফলোয়ার বা শুভাকাঙ্ক্ষীরা দেখে তাতে এনগেজ্ড থাকতে হবে। আপনার এক্টিভিটি ও কন্টেন্ট এনগেজমেন্টের ভিত্তিতে আপনার আইডিতে জমা হতে থাকবে সেন্ট ও ডলার। যা ব্যাংকিং মাধ্যমে তুলে নিতে পারবেন নিজের হাতে।

মজার ব্যাপার হচ্ছে, এই পদ্ধতিতে আয় আপনার ফিজিক্যাল কোনো পণ্য লাগবে না, লাগবে শুধু মেধা। তবে অনেকে জোকারির নাম করে অনেক বাজে কন্টেন্টও করে থাকেন, যেগুলোতে প্রচুর ভিউ বা এনগেজডমেন্ট হয়, কিন্তু সেই আইডিধারীর ব্যক্তিত্ব কিন্তু ক্ষুণ্ন হয়।

অপরদিকে যারা সুস্থ সুন্দর দরকারি কন্টেন্ট তৈরি করে সকলের উপকারে আসে এমন কাজে করতে চায়, তাদের ভিউ এনগেজমেন্ট দেরিতে হলেও একসময় হয়। এবং সে মাথা উঁচু রেখেই এই আয় গ্রহণ করতে পারে।

এখন আপনি কি আজীবন ফেসবুকের স্ক্রিন স্ক্রল করে সময় পান করবেন, নাকি আয়ের চেষ্টা করবেন তা আপনার ইচ্ছে। আর আয় করতে চাইলে কোন্ পদ্ধতিতে করবেন সেটাও আপনার ইচ্ছে। এতে আমার কোনো দায় নাই ভাই, আমার বলার দরকার ছিলো, আমি বললাম ব্যাস্ এটুকুই।

লেখক পরিচিতি : লেখক ও সাংবাদিক।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়