প্রকাশ : ২০ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:১৭
স্ট্রোকের পর ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা

স্ট্রোকের ফলে ব্রেইনের কোনো অংশে রক্ত সঞ্চালন বন্ধ বা রক্তক্ষরণ হলে সেই অংশের নিউরন মারা যায়। এর ফলে মুভমেন্ট কন্ট্রোলের সিগনাল দুর্বল বা বন্ধ হয়ে যায় হাত-পা কাজ করে না। কিন্তু পুরো ব্রেইন একসাথে মারা যায় না। ব্রেইনের আশপাশের অংশ ও অপর পাশের অংশ এখনো জীবিত থাকে এবং তারা শিখে নিতে পারে হারানো কাজগুলো। একে বলে নিউরোপ্লাস্টিসিটি। ফিজিওথেরাপি মূলত এই নিউরোপ্লাস্টিসিটিকেই কাজে লাগায়। রিপিটেড এক্সারসাইজ ও ট্রেনিং দিলে বেঁচে থাকা নিউরনগুলো নতুন কানেকশন তৈরি করে।
সময়ের সাথে ব্রেইন ‘রিওয়ারিং’ করে এবং প্যারালাইজড অংশে ধীরে ধীরে সিগনাল পাঠাতে শুরু করে।
প্যাসিভ এক্সারসাইজ (রোগী নাড়াতে না পারলেও ফিজিওথেরাপিস্ট নাড়ান) জয়েন্ট শক্ত হয়ে যাওয়া ও মাংসপেশি ক্ষয় হওয়া রোধ করে।
অ্যাক্টিভ এক্সারসাইজ (রোগী একটু-আধটু চেষ্টা করে) নতুন নিউরন কানেকশন জোরদার করে।
ফাংশনাল ট্রেনিং (যেমন দাঁড়ানো, হাঁটা অনুশীলন) দৈনন্দিন কাজে ফেরায়।
চলুন জানি গবেষণা কী বলে!
Cochrane Review (2020) : নিয়মিত ফিজিওথেরাপি স্ট্রোক রোগীর হাঁটা, হাতের ফাংশন ও দৈনন্দিন কাজ করার ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ায়।
WHO guideline : স্ট্রোক রিহ্যাবে যত দ্রুত সম্ভব ফিজিওথেরাপি শুরু করতে হবে, কারণ এতে রিকভারি অনেক দ্রুত ও ভালো হয়।
এমআরআই স্টাডিতে দেখা গেছে, ফিজিও এক্সারসাইজ করার পর স্ট্রোক রোগীর ব্রেইনে নতুন নিউরাল কানেকশন তৈরি হয়। তাই, যদিও প্রথমে মনে হয় ‘সিগনাল আসছে না’, আসলে ফিজিওথেরাপি ব্রেইনকে নতুন পথ খুঁজতে শেখায়। ফলাফল রোগী ধীরে ধীরে নড়াচড়া, হাঁটা, এমনকি কিছু ক্ষেত্রে হাত দিয়ে কাজ করার ক্ষমতা ফিরে পায়।