প্রকাশ : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫:২৩
চাঁদপুর হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ, তদন্তে প্রশাসন

শাহরাস্তি উপজেলার দোয়াভাঙ্গায় অবস্থিত চাঁদপুর হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে শিক্ষক নিয়োগে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। প্রভাষক পদে নিয়োগ পাওয়া অন্তত ১০ জন শিক্ষকের ক্ষেত্রে বয়সসীমা, শিক্ষাগত যোগ্যতা ও চিকিৎসক রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত শর্তাবলি মানা হয়নি বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
|আরো খবর
অভিযোগে বলা হয়, অনেক শিক্ষক ছাত্র অবস্থাতেই প্রভাষক পদে যোগ দেন। কেউ কেউ বয়সসীমা অতিক্রম করেও নিয়োগ পান। আবার রেজিস্ট্রেশন সনদ পাওয়ার আগেই অনেককে নিয়োগ দেওয়া হয়। অভিযোগে নাম এসেছে—ডা. আব্দুল বাসেত, ডা. বিলকিছ আক্তার, ডা. ফরিদ আহম্মদ, ডা. নাজভীন সুলতানা, ডা. ফাতেমা আক্তার, ডা. মোহাম্মদ ইয়াছিনসহ আরও কয়েকজন শিক্ষকের।
এ বিষয়ে কলেজের প্রভাষক ডা. মো. মনজুর হোসেন ২০২৫ সালের ১৬ মার্চ স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। এরপর মন্ত্রণালয়ের চিকিৎসা শিক্ষা-২ শাখা চাঁদপুর জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়।
অভিযোগের ভিত্তিতে শাহরাস্তি উপজেলা প্রশাসন উপজেলা আইসিটি অফিসার মো. শাহজাহানকে তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব দিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। অভিযোগ ওঠা শিক্ষকদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে তদন্ত কর্মকর্তার কার্যালয়ে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এই বিষয়ে অভিযোগকারী ডা. মনজুর হোসেন জানান, "কয়েক মাস হয়ে গেলেও রহস্যজনকভাবে তদন্ত প্রতিবেদন এখনো জমা দেওয়া হয়নি।"
তদন্ত কর্মকর্তা শাহজাহান জানান, “তদন্ত চলছে, শিগগিরই প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।”
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজিয়া হোসেন বলেন, “আমি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নই। তবে শিগগিরই বিস্তারিত জানবো।”
অভিযোগে আরও বলা হয়, অনেক শিক্ষক দীর্ঘদিন শ্রেণি পাঠদান না করেও নিয়মিত বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা ভোগ করছেন। বিষয়টি ২০২২ সালে কলেজ পরিচালনা কমিটির বৈঠকেও আলোচনায় আসে। পরে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় এবং ২০২৩ সালের মার্চে তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়।
বর্তমানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় অভিযোগ যাচাই-বাছাই করছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের নিয়োগ বাতিলসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।